চাঁদের পিঠের একটি জ্বালামুখে সজোরে দুটি নভোযান আছড়ে ফেলার মাধ্যমে উত্থিত ধুলার পরীক্ষায় পানির অস্তিত্ব পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা এরকম ফলাফলই আশা করছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিসট্রেশন (নাসা) গত মাসে চাঁদের পিঠে 'লুনার ক্রেটার অবজারভেশন' এবং 'সেনসিং স্যাটেলাইট' (এলসিআরওএসএস) নামের দুটি নভোযান প্রচণ্ড জোরে আছড়ে ফেলে ধ্বংস করে। এতে যে ধুলো ওঠে তার কণাগুলোতে সামান্য হলেও পানির অস্তিত্ব ছিল।
নাসা'র চন্দ্র গবেষণার প্রধান মাইকেল ওয়ারগো বলেন, "আমরা সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশীর রহস্য ভেদের চেষ্টা করছি। আরও বড় পরিসরে দেখলে সৌরজগতেরও রহস্য ভেদ করছি।"
চাঁদে আগেই পানি পাওয়া গিয়েছিল, তবে বিজ্ঞানীরা আশা করছিলেন চাঁদের জ্বালামুখগুলোর স্থায়ী ছায়ামণ্ডিত জায়গায়ও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পানির অস্তিত্ব পাওয়া যাবে। 'কাবেউস' নামের একটি জ্বালামুখে ওই পরীক্ষায় তা খুঁজে পাওয়ায় সফল হয়েছেন তারা।
গবেষকরা সৃষ্ট ধুলোর মধ্যে দিয়ে আসা আলোকে 'স্পেকট্রোগ্রাফ' দিয়ে বিশ্লেষণ করেন। এই যন্ত্রের সাহায্যে কোনো বস্তুতে থাকা বিভিন্ন মৌলকে তাদের পৃথক আলোক তরঙ্গদৈর্ঘ্যরে মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়।
সন্ধান পাওয়া এই পানি যদি কোটি কোটি বছরের পুরানো হয়, তাহলে এর মাধ্যমে সৌরজগতের গড়ে ওঠা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া মহাকাশ অভিযাত্রীদের ব্যবহারের জন্য অথবা বিশ্লেষিত করে জ্বালানি হিসেবেও এই পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।
এই অভিযানের প্রধান এবং ক্যালিফোর্নিয়ার মোফেট ফিল্ডে অবস্থিত নাসা'র অ্যামিস রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানী অ্যান্টনি কোলাপ্রিট বলেন, "আমরা মহা খুশি। চাঁদে পানির সঞ্চয় ও বণ্টন নিয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন, তবে আপাতত এটা বলাই যায় যে 'কাবেউস' এ পানি আছে।
কোলপ্রিট বলেন, এই গহ্বরে পানির সঙ্গে আরো অনেক পদার্থও রয়েছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে আঁধারে ঢাকা চাঁদের এসব জ্বালামুখ সত্যিকার অর্থেই 'কোল্ড ট্র্যাপ', যেখানে কোটি কোটি বছর ধরে জমা হয়েছে বিভিন্ন পদার্থ।
চাঁদে পানির অস্তিত্ব সম্পর্কে আরও নিশ্চিত বিজ্ঞানীরা
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ



ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন
মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন
তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।