: আবুল যখন পদ্মা সেতু চুরি করলো, কামরুল গম খাইলো, নাসিম ঔষধ না দিয়া ট্যাকা মারলো, কালা বিলাই ধরা খাইলো আমি তখনো কিচ্ছু কই নাই ৷ ভাবছি সব দেশে সব দলে দুই, চারডা জাউরা থাকে ৷ জাউরা হইলেও দেশের পোলা ৷ দেশের ট্যাকা দেশেই থাকবো ৷ এখন শুনতাছি যে ট্যাকা বিদেশে গেছে তা দিয়া ২৫ টা পদ্মা সেতু হইতো ৷ আফনেতো দলের নেতা আফনে কিচ্ছু করেন নাই ক্যান?
সমাজে "চক্ষু লজ্জা" শব্দের প্রচলন থাকলেও "মুখ লজ্জা" শব্দের প্রচলন নাই ৷ তাই তিনি হাসতে হাসতে বললেনঃ আমরা কিচ্ছু না করলে কি আর গভর্ণর সাহেব পদত্যাগ করতো?
: মন্ত্রী ডাকাতি করলে পদত্যাগ, পুলিশ অপরাধ করলে পদত্যাগ, ব্যাংক ছিনতাই হলে পদত্যাগ ৷ এসব পদত্যাগ নাটক করলেই কি আর অপরাধ কমবো? দ্যাশের টাকা ফেরত আইবো? এসবের বিচার হইবো না?
: এসব চিন্তা বাদ দাও, আল্লায় হেগো বিচার করবো ৷ কি জন্য আইছো হেইডা কও?
: মাতলুব চোরা আমার মুরগী চুরি করছে, আফনার দলের লোক, আফনার লগে উঠে বসে, তাই হের বিচার চাইতে আছি ৷
: হালার পো হালা কই এখন? ধইরা আনো ৷ তোমার সামনেই ওর বিচার করুম ৷ ওর পেট থাইক্যা তোমার মুরগী আইজই বাইর কইরা আনুম ৷
ধরা খাওয়াতে, না ধরা পড়ার ভয়ে! মাতলুব চোরার উপর ঊনার রাগের কারন আমি বুঝি না ৷ ওর পেট থেকে মুরগী বের করে ঊনার পেটে ভরবে, না আমাকে ফেরত দিবে জিজ্ঞেস করি না ৷ কয় দিন পর হাতে নাতে মাতলুব চোরাকে ধরি, জিজ্ঞেস করিঃ ভাই, এই যে চুরি করেন, লজ্জা-শরম, ধরা পড়া, বিচার এসবের ভয় করে না?
মাতলুব চোরা বলেঃ চোরে চোর ধরে, চোরে চুরির বিচার করে ৷ চোরের বাড়ি, চোরের ঘর ৷ চোরে রান্ধে, চোরে বাড়ে, চোরে খায় ৷ জানেন না কবি কইছে, 'আমরা সবাই চোর, আমাগো এই চোরের রাজত্বে ৷' সুতরাং লজ্জা-শরম, ভয় এসবের প্রশ্নই আসে না ৷
আমি মাতলুব চোরার কন্ঠে বঙ্গবন্ধুর চোরের খনির প্রতিধ্বনি শোনতে পাই ৷ আমি তাকে কিছু বলি না পাছে নিজে চোর হয়ে যাই ৷ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি প্রয়াত সাংবাদিক এবিএম মূসাকে, ভাগ্যিস! তিনি চোরদের পরিচয় প্রকাশ করে গেছেন ৷ না হয় চোরের রাজত্বে আমাদের মত দিন মজুর, অবলা নারী, নিষ্পাপ শিশুদের চুরির অপরাধে মা কালীর চরণে বলির পাঁঠা হিসেবে উৎসর্গ করা হইত ৷ মূসা সাহেবের কারনে আমি বুক ফুলিয়ে বলতে পারছি চোরের রাজত্বে বাস করলেও "আমি চোর না ৷"
বিঃদ্রঃ ইহা সম্পূর্ণ কাল্পনিক ঘটনা যাহা বাস্তবতার সাথে মিলে গেলে ব্লগ সম্প্রদায় দায়ী থাকবে না। খিক খিক