somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায়

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যুক্তরাষ্ট্র : আমেরিকার আদিম অধিবাসী রেড ইন্ডিয়ানরা সম্ভবত এশীয় বংশোদ্ভূত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে এরা কয়েক হাজার বছর ধরে বসবাস করছে। প্রাথমিক পর্যায়ে আটলান্টিক মহাসাগর তীরের উত্তর আমেরিকার তেরটি ব্রিটিশ উপনিবেশ নিয়ে গঠিত হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই এই উপনিবেশগুলো একটি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করে। এর মাধ্যমে তাদের আÍনিয়ন্ত্রণের অধিকার ঘোষণা এবং একটি সমবায় সংঘের প্রতিষ্ঠা করে। আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে এই বিদ্রোহী রাজ্যগুলো গ্রেট ব্রিটেনকে পরাস্ত করে। এই যুদ্ধ ছিল ঔপনিবেশিকতার ইতিহাসে প্রথম সফল স্বাধীনতা যুদ্ধ। ১৭৮৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ক্যালিফোর্নিয়া কনভেনশন বর্তমান মার্কিন সংবিধানটি গ্রহণ করে। পরের বছর এই সংবিধান স্বাক্ষরিত হলে যুক্তরাষ্ট্র একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকারসহ একক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।
কানাডা : ১৮৬৭ সালের ১ জুলাই কানাডা স্বাধীনতা লাভ করে চারটি রাজ্য নিয়ে। এ রাজ্য চারটি হলÑ অনতারিও, কুইবেক, নোভা স্কটিয়া এবং নিউ ব্রান্সউইক। ১৫তম শতকের শুরুতে ইংরেজ এবং ফরাসি অভিযাত্রীরা আটলান্টিক উপকূল আবিষ্কার করে এবং পরে বসতি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। ফ্রান্স দীর্ঘ সাত বছর যুদ্ধে পরাজয়ের পর ১৭৬৩ সালে উত্তর আমেরিকায় তাদের সব উপনিবেশ ইংরেজদের কাছে ছেড়ে দেয়। ১৮৬৭ সালের ১ জুলাই মৈত্রিতার মধ্য দিয়ে চারটি স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ নিয়ে দেশ হিসেবে কানাডা গঠন করা হয়। পরে জারিকৃত কানাডা অ্যাক্ট অনুসারে দেশটি সংসদীয় গণতন্ত্র এবং আইনগত রাজ্যতন্ত্র উভয়ই মেনে চলে।
যুক্তরাজ্য : যুক্তরাজ্য আজš§ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। এ রাষ্ট্রের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ এলাকা ও জনতা ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বর্তমানে এদের বেশিরভাগই স্বাধীন রাষ্ট্র হলেও অনেকগুলোই ব্রিটিশ আইন, প্রতিষ্ঠান এবং রীতিনীতি ধরে রেখেছে। এমনকি বিশ্বের যেসব এলাকা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অংশ ছিল না, সেখানেও ব্রিটিশ সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ছিল বিশ্বের ইতিহাসের বৃহত্তম সাম্রাজ্য। বর্তমান ভৌগোলিক কাঠামো নিয়ে মূল যুক্তরাজ্যের গঠন হয় ১৭০৭ সালের ১ মে। আর ১৮০১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আয়ারল্যান্ড দেশটির অন্তর্ভুক্ত হয়। যুক্তরাজ্য অনেকগুলো দ্বীপ নিয়ে গঠিত। দ্বীপগুলোকে একত্রে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ নামে অভিহিত করা হয়। এছাড়াও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকালীন দখলকৃত ১৪টি বাইরের এলাকা এখনও যুক্তরাজ্যের অধীনে রয়েছে।
রাশিয়া : ১৪ ও ১৫শ’ শতকে একটি শক্তিশালী রুশ রাষ্ট্র গঠিত হয় মস্কোকে ঘিরে। রাশিয়া বিশ্বের বুকে একটি বিরাট শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয় সম্রাট পিটারের সময়। ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবে বলশেভিকরা রুশ রাজবংশের পতন ঘটায়।
১৯২২ সালে বলশেভিকরা বিশ্বের প্রথম সাম্যবাদী রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করে। ১৯২২ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত রাশিয়া ছিল সোভিয়েত রাষ্ট্রকুঞ্জের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্র। অনেকে সোভিয়েত ইউনিয়নকে রাশিয়া নামে চিনলেও মূলত রাশিয়া ছিল এর ১৫টি অংশের একটি। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেলে রাশিয়া মুক্ত বাজার ও গণতন্ত্রকে স্বাগত জানায়। ১৯৯০ সালের ১২ জুন রাশিয়ার নতুন ফরমেশন হওয়ায় এ দিনটিকে রাশিয়া দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়।
ফ্রান্স : বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো জাতি-রাষ্ট্রের মধ্যে একটি হল ফ্রান্স। প্রাচীনকালে ফ্রান্স অঞ্চল কেন্টীয় গল নামে পরিচিত ছিল। প্রাচীন রোমানরা খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতকে অঞ্চলটির দখল নেয় এবং খ্রিস্টীয় ৫ম শতকে রোমান সাম্রাজ্যের পতন হওয়ার আগ পর্যন্ত শাসন করে। পরবর্তীকালে অনেক রাজবংশ ধারাবাহিকভাবে ফ্রান্স শাসন করে। ৮৪৩ সালে ভ্যরদাঁর চুক্তির মাধ্যমে ডিউক ও রাজপুত্রদের রাজ্যগুলো একত্রিত হয়ে একটিমাত্র শাসকের অধীনে এসে ফরাসি রাষ্ট্র গঠন করে। মধ্যযুগে রাজতন্ত্রের প্রভাব কমে এলেও ১৪ থেকে ১৮শ শতক ধরে আবার এর উত্থান হয়। ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবে রাজতন্ত্রের পতন ঘটে এবং এরপর বহু দশক ধরে রাজনৈতিক বিশৃংখলায় নিমজ্জিত হয়। বর্তমানে ফ্রান্স পঞ্চম প্রজাতন্ত্র পর্যায়ে রয়েছে। ১৯৫৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এ প্রজাতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়।
জার্মানি : জার্মানি ১৬টি রাজ্য নিয়ে গঠিত একটি ফেডারেল ইউনিয়ন। ১৮৭১ সালের আগে এটি কোন একক রাষ্ট্র ছিল না। ১৮১৫ থেকে ১৮৬৭ সাল পর্যন্ত জার্মানি একটি কনফেডারেসি এবং ১৮০৬ সালের আগে এটি অনেক স্বতন্ত্র রাজ্যের সমষ্টি ছিল। ১৯ শতকের শুরুতে ফ্রান্সের দখলদারিত্বের কারণে ১৮১৫ সালে প্রাশিয়ার নেতৃত্বে জার্মান রাষ্ট্রগুলো একটি কনফেডারেশন গঠন করে, যা ১৮৬৭ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। পরে ১৮৭১ সালের ১৮ জানুয়ারি রাষ্ট্রগুলো একত্রিত হয়ে জার্মান সাম্রাজ্য গঠন করে। ১৯৪০-এর দশকের শেষ দিকে জার্মানির সোভিয়েত নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটি পূর্ব জার্মানিতে পরিণত হয়। পশ্চিম নিয়ন্ত্রিত বাকি তিন অঞ্চল একত্রিত হয়ে পশ্চিম জার্মানি গঠন করে। জার্মানির ঐতিহাসিক রাজধানী বার্লিন পূর্ব জার্মানির অনেক ভেতরে থাকলেও এটিকে দুই দেশ ভাগ করে নেয়। ১৯৬১ সালে পূর্ব জার্মানি সরকার বার্লিনে একটি প্রাচীর তুলে দেয়। পরে ১৯৮৯ সালে পূর্ব ও পশ্চিম বার্লিনের বাসিন্দারা বার্লিন প্রাচীর ভেঙে ফেলে। এই ঘটনাটিকে পূর্ব ইউরোপে সাম্যবাদের পতন ও জার্মানির পুনঃএকত্রীকরণের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালের ৩ অক্টোবর দুই জার্মানি একত্রিত হয়ে জার্মান ফেডারেল প্রজাতন্ত্র গঠন করে।
সৌদি আরব : মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম রাষ্ট্র সৌদি আরব। এখানে জš§গ্রহণ করেছিলেন বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত হজরত মুহাম্মদ (সা.)। সৌদি আরবের বুকেই অবস্থিত পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু পবিত্র কাবা শরিফ। এ ভখণ্ডটির সংস্কৃতি ও ইতিহাস দীর্ঘ। তবে বর্তমান রাষ্ট্র সৌদি আরব যে আয়তন নিয়ে গঠিত তা আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষিত হয় ১৯২৬ সালের ৮ জানুয়ারি। ১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এর একত্রীকরণ হয়। এদেশের শাসনকারী রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল আজিজ আল সাউদের নামানুসারে সৌদি আরব নামকরণ করা হয়েছে।
মিসর : নীল নদের দেশ মিসর প্রায় ৩২০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকেই একটি সংহত রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিদ্যমান। ৬৪১ সাল থেকে দেশটি মুসলিম ও আরব বিশ্বের একটি অংশ। ১৮৮২ সালে ব্রিটিশ সেনারা মিসর দখল করার পর প্রায় ৪০ বছর এ ভূখল্ড তাদের উপনিবেশ ছিল। ১৯২২ সালের ৮ ফেব্র“য়ারি দেশটি একটি রাজতন্ত্র হিসেবে স্বাধীনতা অর্জন করে। কিন্তু তবুও ব্রিটিশ সৈন্যরা থেকে যায় মিসরে। ১৯৫২ সালের ২৩ জুলাই জামাল আবদেল নাসেরের নেতৃত্বে একদল সামরিক অফিসার রাজতন্ত্র উৎখাত করে প্রজাতন্ত্র দেশ হিসেবে মিসরকে প্রতিষ্ঠা করে। সে কারণেই ২৩ জুলাইকে মিসরের জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। মিসরকে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয় ১৯৫৩ সালের ১৮ জুন। নাসের ১৯৫৬ সালের মধ্যে দেশ থেকে সব ব্রিটিশ সেনাকে সরিয়ে দেন।
ব্রাজিল : ভূ-প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যে পূর্ণ ব্রাজিল ১৫০০ থেকে ১৮২২ সাল পর্যন্ত একটি পর্তুগিজ উপনিবেশ ছিল। ১৮২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর দেশটি স্বাধীনতা অর্জন করে। দক্ষিণ আমেরিকার অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক শান্তিপূর্ণভাবে উপনিবেশ থেকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ব্রাজিলের উত্তরণ ঘটে। এ সময় দেশে কোন রক্তপাত বা অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটেনি।
শ্রীলংকা : দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপ শ্রীলঙ্কা ১৯৭২ সালের আগে সিলন নামে পরিচিত ছিল। প্রাচীনকাল থেকেই শ্রীলঙ্কা একটি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক সৈকত ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে বণিকদের কাছে পরিচিত। ১৭৯৬ সালে দ্বীপটি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে চলে যায়। ১৯৩০ সালের দিকে স্থানীয়দের প্রতি ব্রিটিশদের নির্যাতন-অত্যাচারের জন্য স্বাধীনতার আন্দোলন শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্বাধীনতার আন্দোলন জোরদার হতে থাকে। ১৯৪৮ সালের ৪ ফেব্র“য়ারি সিলন নামে দেশটি স্বাধীনতা পায় যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে।
আফগানিস্তান : ১৭৪৭ সালে আহমদ শাহ দুররানি কান্দাহার শহরকে রাজধানী করে এখানে দুররানি সাম্রাজ্যের শুরু করেন। তখন থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান একটি রাজতন্ত্র ছিল। এরই মাঝে দেশের রাজধানী কান্দাহার থেকে কাবুলে স্থানান্তরিত হয় এবং দেশটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর কাছে অনেক অঞ্চল হারায়। ১৯ শতকে আফগানিস্তান ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য ও রুশ সাম্রাজ্যের মধ্যে এক বিরাট খেলার মধ্যবর্তী ক্রীড়নক রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ১৯৭৩ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে রাজার পতন ঘটে এবং একটি প্রজাতন্ত্র গঠন করা হয়। ১৯১৯ সালের ১৯ আগস্ট তৃতীয় ব্রিটিশ-আফগান যুদ্ধ শেষে আফগানিস্তান যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে।
মালয়েশিয়া : মালয়েশিয়া ব্রিটিশ শাসনের অধীন ছিল। ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ সরকার মালয়েশিয়াকে স্বায়ত্তশাসন দেয়ার ঘোষণা করলেও দ্বৈতচাপে বিলম্বিত হয় স্বাধীনতা অর্জন। একদিকে কমিউনিস্টদের সশস্ত্র সংগ্রাম, অন্যদিকে স্বাধীনতার জন্য ইউএমএনওর নেতৃত্বে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ। তখন টানা ১২ বছরের কমিউনিস্টদের সন্ত্রাসী আগ্রাসন ও সারাদেশে জরুরি অবস্থা জনজীবনে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করছিল। অবশেষে ১৯৫৬ সালের ৮ অক্টোবর লন্ডনে টুংকু আবদুর রহমান ও ব্রিটিশ কলুনিয়াল সেক্রেটারি এলান লেনক্সের মাঝে স্বাধীনতার ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, ১৯৫৭ সালের ৩১ আগস্ট মালয় ফেডারেশন তথা পশ্চিম মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সাবাহ, সারওয়াক ও ব্র“নাইয়ের একাংশ পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন লাভ করবে। সে চুক্তি অনুযায়ীই ১৯৫৭ সালের ৩১ আগস্ট মালয়েশিয়া ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। পরে অবশ্য নেতৃত্বের কোন্দলের কারণে লি কিউ উইনের নেতৃত্বে সিঙ্গাপুর পৃথক হয়ে ভিন্ন রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
জাপান : বিশ্বের বুকে একটি প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি জাপান। ৬৬০ খ্রিস্টপূর্বের ১১ ফেব্র“য়ারি জাপান জাতির প্রতিষ্ঠা হয়। তাই এ দিনটিকে তারা জাতীয় প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে পালন করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে সম্রাটরা রাষ্ট্রটিকে শাসন করে আসছে। জাপানিদের ধারণা, তাদের সম্রাটরা সূর্যদেবী আমাতেরাসুর বংশধর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর ১৯৪৫ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা সামরিকভাবে জাপান দখল করে এবং সংশোধিত সংবিধান অনুসারে সম্রাটকে আলংকারিক রাষ্ট্রপ্রধান বানানো হয়। পরে রাহুমুক্ত হয়ে বিশ্বের বুকে একটি প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে জাপানের পুনরুত্থান ঘটে।
চীন : বলা যেতে পারে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন হচ্ছে বর্তমান সময়ের একমাত্র সমাজতান্ত্রিক দেশ। খ্রিস্টপূর্ব একবিংশ শতাব্দি থেকে ষোড়ষ শতাব্দি পর্যন্ত প্রায় ৫০০ বছর চীনে সিয়া রাজবংশ স্থায়ী ছিল। সিয়াই হল চীনের ইতিহাসের প্রথম রাজবংশ। এরপর বিভিন্ন রাজবংশ চীনকে শাসন করে। গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠা পায় ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর। সে কারণে এ দিনটিকে দেশটির জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়।?১৯৪৯ সালে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর ১৯৫৪, ১৯৭৫, ১৯৭৮ এবং ১৯৮২ সালে মোট চারবার এর সংবিধান সংশোধন ও প্রকাশ করা হয়।
ইন্দোনেশিয়া : প্রায় ৫ হাজার দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত ইন্দোনেশিয়া পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। ২০শ’ শতকের প্রথম দশকে ইন্দোনেশিয়ায় স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয়। দুই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে তা ব্যাপক বিস্তার লাভ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত তিন বছর জাপানিরা ইন্দোনেশিয়া দখল করে। দেশটি তখন নেদারল্যান্ডের অধীনে ছিল। ১৯৪৫ সালের ১৭ আগস্ট মিত্রশক্তির হাতে জাপানের আÍসমর্পণের তিন দিন পর সুকর্ণ এবং মোহাম্মাদ আতার নেতৃত্বে একটি ক্ষুদ্র দল ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া : অবিভক্ত কোরিয়া মূলত জাপানিদের দখলে ছিল। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হেরে যাওয়ার সময় জাপানিরা সমাজতান্ত্রিক দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে আÍসমর্পণ করে। ফলে আদর্শগত কারণে অবিভক্ত কোরিয়া দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। উত্তর কোরিয়া সমাজতান্ত্রিক দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের মতাদর্শে সমাজতান্ত্রিক ব্লকে চলে যায়, অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া পুঁজিবাদী আমেরিকার মতাদর্শের ব্লকে যোগ দেয়। ১৯৪৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়া এবং ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়া স্বাধীন হয়।

বিদায় শ্যাভেজ

ল্যাটিন অ্যামেরিকার মানুষকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন শ্যাভেজ। ভোটযুদ্ধে জিতে চতুর্থবারের মতো ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মরণব্যাধি ক্যান্সারের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হল তাকে। সারাবিশ্বের কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। কিংবদন্তি এ নেতাকে নিয়ে লিখেছেনÑসাদিকুল নিয়োগী পন্নী

পুরো নাম হুগো রাফায়েল চাভেস ফ্রিয়াস। তিনি ছিলেন জাতীয়তাবাদী এবং বিপ্লবী নেতা। দেশের মানুষকে তিনি ভালোবাসতেন। এ জন্য অসম্ভব জনপ্রিয়তা ছিল তার। নিজের মেধা ও কর্মদক্ষতা কাজে লাগিয়ে তিনি ল্যাটিন আমেরিকার ভেনিজুয়েলায় সামাজিক বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। তেলসম্পৃদ্ধ এ দেশটির অধিকাংশ শাসকই দেশের মানুষের জন্য কাজ করেননি। শাসকরাই বিদেশী কোম্পানি এবং তাদের সঙ্গে যোগসাজশে দেশের সম্পদ নিজেদের ভোগ-বিলাসিতায় ব্যবহার করেছেন। কিন্তু শ্যাভেজ রাজনীতিতে আসার পর পরিবর্তন ঘটে এ অবস্থার। তিনি বিদেশী তেল কোম্পানিগুলোকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেন। একই সঙ্গে জনগণের অর্থনৈতিক জীবনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। যে কারণেই দেশ-বিদেশে তার শত্র“র কোনও অভাব ছিল না। ল্যাটিন আমেরিকার রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তার অবদান উল্লেখযোগ্য। শ্যাভেজের প্রভাব শুধু দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। ল্যাটিন অ্যামেরিকায় একের পর এক বামপন্থী নেতারা ক্ষমতায় আসার পেছনে শ্যাভেজের অবদান অস্বীকার্য। তিনি গোটা মহাদেশের মানুষকে এক পরিচয় দেয়ার স্বপ্ন দেখেছেন। বিশেষ করে মার্কিন ধনতন্ত্রের বিরুদ্ধে সাধারণ সংগ্রামের নেতা হিসেবেই নিজেকে ভাবতে ভালোবাসতেন তিনি। এমনকি চিরশত্র“ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বুশকে ধাক্কা দিতে তিনি বেলারুশ ও ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও জোট বেঁধেছিলেন। শ্যাভেজ একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন। জীবনের সন্ধিক্ষণে এসেও তিনি দেশের মানুষের জন্য লড়ে গেছেন। ভেনিজুয়েলার অনেক মানুষের কাছে তিনি কিংবদন্তি হয়ে থাকবেন।
জ্বালাময়ী বক্তা
জ্বালামীয় বক্তব্য প্রদানের জন্য শ্যাভেজ অল্প সময়েই বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছিলেন। কথা বলার সময় তিনি কাউকে ছাড় দিতেন না। বিশ্বের ক্ষমতাধর নেতাদেরও তিনি তুমুল সমালোচনা করেছেন। ২০০৬ সালে জাতিসংঘে ভাষণ দিতে গিয়ে হুগো শ্যাভেজ বলেছিলেন, এখানে এখনও যে গন্ধকের গন্ধ দেখি! গতকাল শয়তানটা এখানে এসেছিল নাকি? সেদিনের এমন জ্বালাময়ী ভাষণের লক্ষ্য ছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। এমন বিতর্কিত মন্তব্য তিনি বহুবার করেছেন। তার বেশিরভাগ লক্ষ্য ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ। এ জন্য তিনি শুধু নিজের দেশের নয়, গোটা বিশ্বের বামপন্থীদের হƒদয় জয় করেছেন। অনেকের কাছে শেষ পর্যন্ত তিনি নির্ভরযোগ্য নেতা হিসেবে বেঁচে ছিলেন। প্রায় ২০০ বছর আগে দক্ষিণ আমেরিকায় ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন অনেক নেতা, যাদের ‘কাউদিয়োস’ বলা হয়। সশস্ত্র সংগ্রামের পরিচালক ছাড়াও জনমোহিনী শক্তি ছিল তাদের। সেই ঘরানার নেতা ছিলেন শ্যাভেজ। তার জš§ও এমন এলাকায়। যেখানে একাধিক এমন ‘কাউদিয়োস’ সক্রিয় ছিলেন। চতুর্থবারের মতো ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে তার শেষ ভাষণে শ্যাভেজ বলেছিলেন, জনগণের প্রতি আনুগত্য আমাকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়ে এনেছে। ভেনিজুয়েলার জনগণ, জেনে রাখ, শ্যাভেজ হারবে না।
এক নজরে
হুগো শ্যাভেজ ১৯৫৪ সালের ২৮ জুলাই ভেনিজুয়েলার সাবানেতা গ্রামে জš§গ্রহণ করেন। তিনি সামরিক একাডেমী থেকে ১৯৭৫ সালে গ্রাজুয়েশন করেন। ৩০ বছর বয়সে ভেনিজুয়েলার সেনাবাহিনীতে থাকতেই রাজনীতির জগতে পা দেন । ১৯৮৩ সালে তিনি কয়েকজন কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে ‘বলিভারপন্থী আন্দোলন ২০০’ শুরু করেছিলেন। ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামের নায়ক সিমন বলিভারকে আদর্শ হিসেবে চিরকাল মেনে এসেছেন তিনি। ১৯৯২ সালে বলিভারপন্থী জোট শ্যাভেজের নেতৃত্বে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ জন্য শ্যাভেজকে প্রায় দু’বছর জেল খাটতে হয়। এরপর নতুন দল গঠন করে ১৯৯৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। তার আগেই ল্যাটিন আমেরিকাজুড়ে ফিদেল কাস্ত্রোর মতো নেতার সঙ্গে জোট বেঁধেছিলেন শ্যাভেজ। ক্ষমতায় এসে বামপন্থী মতবাদ কার্যকর করতে শুরু করে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। গরিব মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা থেকে শুরু করে সবার জন্য শিক্ষার মতো জনপ্রিয় কর্মসূচি কার্যকর করেন শ্যাভেজ। তার আন্তরিক চেষ্টায় ব্যাপক ভূমি সংস্কারের মাধ্যমেও গরিব কৃষকরা উপকৃত হন। গত ১৪ বছর ধরে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ছিলেন শ্যাভেজ। আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি, আর প্রকাশ্য মার্কিন বিরোধিতার কারণে দেশের ভেতরে ও বাইরে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ভেনিজুয়েলার এ মহান নেতা।

বিচিত্র তথ্য

ষ চেরোকি বিল নামের এক ব্যক্তিকে ফাঁসি দেয়া হয় ১৮৯৬ সালে। ফাঁসি দেয়ার আগে ওই ব্যক্তিকে তার শেষ কথা ব্যক্ত করতে বলা হলে তিনি বিরক্ত প্রকাশ করেন এভাবেÑ ‘এখানে আমি মরার জন্য এসেছি, ভাষণ দিতে নয়।’
ষ ১৮২৬ সালে ফাঁসি দেয়া হয় রুশ বিপ্লবী কাউন্ট প্যাসটেল নামের আরেক ব্যক্তিকে। ফাঁসির প্রথম চেষ্টা ব্যর্থ হয়। অনেকটা বিরক্তির স্বরে তিনি বলেছিলেনÑ ‘হায়রে কপাল! কেমন করে ফাঁসি দিতে হয় তাও জানে না এরা।’
ষ ফরাসি অভিজাত ব্যক্তি ভাক ডি ওরসিয়েমকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে প্রথানুসারে জুতা খুলতে বলা হলে তিনি বলেছিলেনÑ ‘আমার প্রাণহীন দেহ থেকে এগুলো সহজেই খুলতে পারবে। শিগগির কাজ সারো।’
ষ রুশ বিপ্লবী মিশেল বেস্তুজেভ রাইসনকে ঝোলানো হয় ফাঁসিকাষ্ঠে। ফাঁসি কার্যকর করতে গিয়ে হঠাৎ দড়ি ছিঁড়ে পড়ে যান তিনি। হতাশার সুর বেজে ওঠে তার কণ্ঠে। তিনি বলে ওঠেনÑ ‘আমার জীবন মানেই ব্যর্থতা। এমনকি জীবনের শেষ প্রান্তেও আমার সঙ্গী ওই ব্যর্থতা।’
ষ পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রেমের চিঠিতে মোট শব্দ সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ১০ হাজার।
ষ সদ্যজাত শিশু জšে§র পর আরও দুই সপ্তাহ ধরে তার হাতের মুঠিকে দৃঢ়ভাবে আটকে রাখে।
ষ সভ্যতার গোড়ার দিকে মানুষের ভেতরে এই বিশ্বাস প্রচলিত ছিল যে, মাথাব্যথার একমাত্র কারণ হচ্ছে কুচিন্তা।
ষ ১৭৮২ সালে কিসুহারবার্ট নামের ইংল্যান্ডের জনৈক মঞ্চ অভিনেত্রী মঞ্চে অভিনয় করার এক পর্যায়ে হাসতে শুরু করেন। হাসির এ চরিত্রটি তাকে এতই আচ্ছন্ন করে ফেলেছিল যে, এভাবে হাসতে হাসতেই এ সময় অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। এরপর আর কোনওদিনের জন্যই জ্ঞান ফেরেনি তার।
হআশফাক মুহতাসিম
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×