আজ খুব কষ্ট লাগল। ঢাকায় আসা পাকিস্তানি প্রতিনিধিদল যখন ১৯৭১-এর গণহত্যার ভয়াবহতাকে মুছে দিতে চাইল, তখন মনে হল এরা আসলে কোন দুনিয়ায় বাস করছে? এরা কি ভাবে যে বাংলাদেশিদের স্মৃতি এভাবে মুছে ফেলা যায়?
তাদের যুক্তি, তারা নাকি দু’বার দুঃখ প্রকাশ করেছে। একবার ১৯৭২ সালের ভারত–পাকিস্তান চুক্তির পর, যা ছিল মূলত ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে বন্দোবস্ত; আরেকবার পারভেজ মোশাররফ ঢাকায় এসে কিছু কূটনৈতিক ভদ্রতা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু এগুলোকে কখনোই ক্ষমা চাওয়া বলা যায় না।
আমরা ব্যবসা করব, পারস্পরিক স্বার্থে সহযোগিতা করব, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সমন্বয় করব। বাংলাদেশ আজ অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক উন্নয়ন প্রায় সব ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের থেকে এগিয়ে। কেবল সামরিক শক্তিতে তারা অগ্রসর, সেটা অস্বীকার করার কিছু নেই। তাই তাদের দুর্বল অর্থনীতিকে আমরা সাহায্য করতে পারি, সামরিক ক্ষেত্রেও কৌশলগত সমন্বয় সম্ভব।
কিন্তু চাই আনুষ্ঠানিক ও স্পষ্ট ক্ষমা। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে, সরকারের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে স্বীকার করতে হবে ১৯৭১ সালে একই দেশের মানুষকে হত্যার যে ভয়ংকর অপরাধ তারা করেছে, তার দায়। এই সত্যকে এড়িয়ে যাওয়া চলবে না।
এবং যতদিন না তারা এটা করে, ততদিন বাংলাদেশের প্রতিটি আনুষ্ঠানিক মঞ্চে, প্রতিটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে, আমাদের বারবার এই প্রশ্ন তুলতে হবে। মনে করিয়ে দিতে হবে সহযোগিতা হ্যাঁ, কিন্তু ইতিহাসকে মুছে ফেলার চেষ্টা কোনভাবেই নয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



