আজ দুপুরে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তার অফিসে তলব করেছে। তলবের কারণ ছিলো মিয়ানমার তাদের মানচিত্রে আমাদের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে তাদের দেশের অংশ হিসাবে দেখিয়েছে। আসলে এসব গিনিপিগ তলব করে লাভ নেই, মিয়ানমারের এমন দৃষ্টতার জবাব আরো কড়াভাবে দেওয়া উচিত। এই রাষ্ট্রদূতকে সচিবালয়ে আটকে রেখে মিয়ানমারের মানচিত্র আঁকতে দেওয়ার দরকার ছিলো। এরপর সে কি এঁকেছে তা মিয়ানমার সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিয়ে তাদের দেখতে বলা উচিত ছিলো।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে এর আগেও উলটপালট একটা বই বের করেছে, সেখানে মগজহীন জল্লাদ গুলি নেট থেকে ছবি নিয়ে একটু এডিট করে বইতে ছাপিয়ে দিয়েছিলো। বইয়ের ব্যপারে পরে বলেছিলো ভুলক্রমে নাকি হয়ে গেছে।
মানচিত্রের ব্যাপারেও মনে হয় এমন ভুল হয়ে গেছে বলে দিবে। আসলে এই জল্লাদ গুলির জন্মও মনে হয় ভুলে হয়ে গেছে।
চীনাদের ফাঁদে পড়ে এই জাতির জেনারেল গুলির মগজ ফাঁকা হয়ে গেছে। কোন সময় কি করে, কি বলে কিছুই ঠিক করে বলতে পারে না।
তবে এটা অনেকটা পরিষ্কার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়াকে আরো জটিল করতে তাদের এই হীন কৌশল। গত সপ্তাহে চীনাদের সাথে রাখাইনে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে ফাইনাল চুক্তি করেছে মায়ানমার। তাই যে কোন কিছুর বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে রাখার চেষ্টা চীন এবং মায়ানমার করবে এই চুক্তির বাস্তবায়ন পর্যন্ত! আর বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের ভাসান চরে স্থানান্তর করার বিষয়ে জাতিসংঘে ফলাও করে প্রচার করার কারণে কিছুটা স্বস্তিও পাচ্ছে মায়ানমার এবং বিশ্ব নেতৃবৃন্দ। এর কারণে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া আরো ধীর হয়ে যাবে।
সে যাই হোক সেন্টমার্টিন আমাদের নিজস্ব ভুখন্ড, আমাদের সম্পদ, ১৯৪৭ সালে ভারতে ভাগের সময় সেইন্ট মার্টিন পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এটি বাংলাদেশে অন্তর্গত। ১৯৭৪ সালে সেইন্ট মার্টিন দ্বীপপুঞ্জকে বাংলাদেশের ধরে নিয়েই মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা চুক্তি হয়।
এগুলি জল্লাদ গুলিকে কড়া ভাষায় বলে দিতে হবে, দরকার হলে এদের দূতাবাস সরিয়ে নিতে বলে দেওয়া উচিত। শুয়রের সাথে সম্পর্ক রাখলেই বা কি না রাখলেই বা কি!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩০