আমাদের জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের কথা এবার নতুন করে উঠছে না। তবে হ্যাঁ, এবারের মত প্রচার হয়তো আগে হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করার পর খন্দকার মোশতাক ২৫শে আগস্ট অর্থাৎ দশ দিন পর কেবিনেট মিটিং করেছিলো জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের জন্য। ১৯৭৮ সালে জাতীয় সঙ্গীত বিধিমালা প্রণয়ন করলেও ১৯৭৯ সালে মেজর জিয়ার সংসদে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের প্রস্তাব আনা হয়েছিল।
এরশাদও রাষ্ট্র ধর্ম কে ইসলাম করার পরে জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছিল। এরা কেউ সফল হতে পারেনি, এখন যারা হাউ কাউ করছে এরাও সফল হতে পারবে না। মানুষের সামান্য এটেনশন পাবে এই যা।
আইয়ূব খান আমাদের কাছে আমাদের দেশ বুঝিয়ে দিয়েছে, আর আমাদের নেতারা একদিন বিকেল বেলা খাতা কলম নিয়ে বসে জাতীয় সঙ্গীত লিখে ফেলেছে এমন কিন্তু না। এই সঙ্গীত আমাদের যুদ্ধের নয় মাস আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের মুখেমুখে উচ্চারিত হয়েছে। তারা সকাল বেলা যুদ্ধে যাওয়ার আগে এই গান গেয়ে যুদ্ধে যেতো। সকাল বেলা এই গান গেয়ে যুদ্ধে গেছে কিন্তু যুদ্ধে থেকে আর ফিরে আসেনি এমন মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা অনেক। তাদের জীবনের শেষ গান ছিল এই গান, শেষ অনুপ্রেরণা ছিল এই সুর।
এই গান এই সুরকে যারা পরিবর্তন করতে বলে এরা মননে বাংলাদেশি হতে পারে না।
এরা জাতীয় সঙ্গীত গাইলে এর অর্থ উপলব্ধি করে না, তাদের চোখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি ভাসে।
জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় কিংবা শুনার সময় যে শিহরণ জাগে এটা এদের বুঝানো যাবে না। এরা ইনিয়ে বিনিয়ে নিজের দেশ ,নিজের মাকে অপমান করে যাবেই। এদের সাথে তর্কে যাবেন না, দেখলে এড়িয়ে যাবেন। বকবক করতে করতে এক সময় এরা হারিয়ে যাবে।
“মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি।”
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:০৪