কিছুদিন পরপর দেশে একটা ঘটনা ঘটে, দুই একটা ডাকাত ধরা পড়ে যারা সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়ে ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়ে বা ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধরা পড়ার পর তার সাথে বড় বড় নেতা/আমলাদের ছবি প্রকাশ হয়। এরপর প্রকাশ হয় বিএনপি'র নেতাদের সাথে দুই একটা ছবি। সেগুলো দেখিয়ে তাকে হাইব্রিড, অনুপ্রবেশকারী বলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। হাইব্রিড তো ভালো জিনিস, কম জায়গায় বেশি ফসল পাওয়ার জন্য চাষ হয়। দলের ভিতর এদেরও সেইম কাজ, কম সময়ে বেশি টাকা উপার্জনের জন্য এদের আনা হয়। এরপর কোনো ভুলের কারণে কিংবা ইচ্ছা করেই এদের ধরিয়ে দেওয়া হয়।
দলবদল খারাপ কিছুনা, হিলারি ক্লিনটনও কলেজ জীবনে রিপাবলিকান সমর্থক ছিলো। আমাদের দেশে কেউ দলবদল করলে তাকে হাইব্রিড বলা হয়, অনুপ্রবেশকারী বলা হয়। আওমীলীগের গঠনতন্ত্রে কি বলা আছে অন্য দলের লোক তাদের দলে আসতে পারবে না? তো এমন বিধিনিষেধ না থাকলে ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়ার পর তাকে হাইব্রিড বলার কারন কি? আসলে এদের দলে আনা হয় ভালো ফসল দেওয়ার জন্য, ফসল দেওয়া শেষ হলে কিংবা অবস্থা বেগতিক দেখলে এদের সরিয়ে দেওয়া হয়। জনগন কয়েকদিন হাউকাউ করে এরপর ভুলে যায় অথবা নতুন কোনো ইস্যু আসলে সেটা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যায়।
শেখ হাসিনা সরকার এক যুগ ক্ষমতায় আছে, এখনো এমন চোর ডাকাত ধরা পড়লে বিএনপি জামাতকে টেনে আনা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। উনি কি জানেন না বিএনপি জামাতকে উনি ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিয়েছেন অনেক আগেই। ওরা জমে বরফ হয়নি ঠিক আছে কিন্তু হাত পা নাড়াতে তাদের অনেক সমস্যা হয়। নিজের দলের লোকজন ও অনেক আমলারা উনার জন্য বদনাম কুড়াচ্ছে। বিএনপি জামাতের কসাইদের যিনি থামাতে পেরেছেন তিনি এসব ডাকাতদের থামাতে পারছেন না কেনো?
নাকি ঠগ বাঁচতে গা উজাড় হওয়ার ভয়ে উনি কিছু করতে পারছেন না?