■ ঢাকা শহরে করোনা পরিস্থিতি সরকার যেসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে সেগুলো কোনটিই ঠিকভাবে কাজ করেনি। কিছু জায়গায় চেষ্টা করা হয়েছে তবে সেখানেও আশানুরূপ কোন ফলাফল দেখা যায়নি। আমার বাসার কাছাকাছি গলির দোকান গুলোকে সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে বন্ধ করার জন্য প্রতিদিন পুলিশ এসে রাগারাগি করতো। আজ দুইদিন যাবৎ পুলিশ এসে কিছু বলছে না, একজনকে জিজ্ঞেস করলাম পুলিশ কিছু বলেনা কেনো? সে বলল দোকান প্রতি কিছু টাকা উঠিয়ে তাদের দেওয়া হয় যার কারনে ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি মিলেছে!
আসলে মানুষ নিজের জীবিকার জন্য একটা না একটা পদ্ধতি বের করে নেয়। দোয়া করি তাদের বেচাবিক্রি ভালো হোক, পুলিশেরও একটা বাড়তি ইনকামের ব্যবস্থা হয়েছে, তারাও এই কয়েকমাস অনেক লস গুনেছে।
■ আমার দোকান থেকে বাসায় হেটে আসতে ৯মিনিট লাগে। আসার সময় প্রায় সময় ভ্যান, ফুটপাত থেকে কিছু না কিছু কিনে বাসায় নিয়ে যাই। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সরকার একটু নমনীয় হওয়াতে আগের মতোই মানুষের চলাফেরা শুরু হয়ে গেছে। মানুষের চলাফেরা যেমন শুরু হয়ে গেছে, তেমনি ভ্যানে করে তরকারি বিক্রি কিংবা ফুটপাতে ফল,ফলাদি বিক্রিও অনেক বেড়ে গেছে। তবে ইদানিং আমি লক্ষ্যে করলাম অনেক নতুন তরকারি আর ফল বিক্রেতা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভ্যানে করে এসব বিক্রি করছে। এদের আগে কখনো এই এলাকায় দেখিনি। এরা কি পার্ট টাইম ব্যবসা করছে, নাকি এসব ব্যবসায় অনেক লাভ থাকে? অথবা নিরুপায় হয়ে এসেছে?
■ আমার এক বন্ধু দীর্ঘদিন ধরে পুরান ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকে। প্রায় সময় তার মুখে শুনতাম এই বাসা সে ছেড়ে দিবে। কেনো জিজ্ঞেস করলে বলে বাড়িওয়ালা কিছুদিন পরপর এটাওটা বলে বাসা ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল সব বাড়তি হিসেব করে ধরে। গতকাল আমার সাথে দেখা হলে বলে, বাড়িওয়ালার চার মাসের বাসা ভাড়া বাকি। বাসা ভাড়া চাইলে সে বাড়িওয়ালকে বলে বাসা ছেড়ে দেবে। বাড়িওয়ালা বললো অন্তত একমাসের বাসা ভাড়া দাও কিন্তু সে বললো আমার অগ্রিম কেটে দিন আমি বাসা ছেড়ে দিবো। শেষমেষ বাড়িওয়ালা বললো ঠিক আছে আপনি থাকেন, ভাড়া ১০০০ টাকা কম দিয়েন আগের থেকে। এই প্রথম শুনলাম পুরান ঢাকার বাড়িওয়ালারা বাসা ভাড়া কমাইছে। বুঝা যাচ্ছে তারাও বেশ ভালো সমস্যায় পড়ে যাচ্ছে।
■ আমার পাশের ফ্ল্যাটে কয়েকদিন থেকে বেশ জোর গলার আওয়াজ শুনা যাচ্ছে। স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া, বেশ কিছু বিশ্রী শব্দ বিনিময় হয় ঝগড়া মাঝে। গত তিন বছর আমি তাদের রুম থেকে এমন কথাবার্তা শুনতে পায়নি। তাদের একটি ছেলে আছে, মাঝেমধ্যে আমার রুমে আসতো কিন্তু তাদের মা,বাবাকে কখনো আমি দেখিনি। আজ সকলে আমার রুমে আসলে জিজ্ঞেস করলাম তোমার আব্বু আম্মু কেনো ঝগড়া করে? ছেলেটি কিছুক্ষন চুপ করে থাকলো, এরপর বললো আঙ্কেল আব্বু আমাকে আর আম্মুকে গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে বলছে কিন্তু আম্মু যেতে চাহিছে না এজন্য ঝগড়া হয়। আমি বললাম কেনো চলে যেতে বলে? সে বলল সেটা আমি জানিনা আঙ্কেল।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫৫