চলচ্চিত্র অভিনেতা ফারুক আহমেদ, সম্ভবত তিনি রানিং সংসদ সদস্যও। কয়েকদিন আগে উনি অসুস্থ্য হয়ে ঢাকার নামকরা এক হাসপাতালে ভর্তি হোন। সেখানে বেশ কয়েকদিন থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ডাক্তাররা তার কোনো রোগ ধরতে পারেনি। এরপর তিনি ঢাকার আরেকটি নামকরা হাসপাতালে যান সেখানেও একই অবস্থা নানান টেস্ট মেস্ট করে কোনো রোগ খুঁজে পায়নি সে হাসপাতালের ডাক্তাররা। বেচারা উপায় না দেখে চলে যায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে জানতে পারে তার টিভি রোগ বা যক্ষা হয়েছে। চারজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তার দেখভাল করছে আর বলেছে চার সপ্তাহের ভিতর হাসপাতাল ত্যাগ করতে পারবে।
আমাদের দেশে এমনিতেই চিকিৎসা সেবা দুষ্প্রাপ্য। বহু মানুষ এখনো তাবিজ কবজ, পানি পড়া দিয়ে চিকিৎসা চালায়। এসব বড় বড় হাসপাতালে নাকি নামকরা সকল চিকিৎসকরা চিকিৎসা দেয়। এত বড় বড় চিকিৎসকরা সামান্য টিভি রোগ ধরতে পারেনি, অজানা রোগ বলে রোগীকে রিলিজ দিয়ে দেয়! ফারুক সাহেবের টাকা আছে, উনি এমপি তারপরেও উনার পকেট থেকে লাখ লাখ টাকা খসিয়ে দিয়ে বলেছে অজানা রোগে আক্রান্ত। উনি দেশে ফিরে যদি তাদের কাছে ক্ষতিপূরণ চায় তাহলে ব্যাপারটা খারাপ হতো না। যাইহোক উনি দেশে এসে এমন কান্ড করবেননা, কারন সংসদে উনার পাশে বসা উনার কোন সহকর্মীর এসব হাসপাতালে শেয়ার আছে এমনকি উনার নিজেরও থাকার সম্ভাবনা আছে।
আমাদের দেশের চিকিৎসা সেবা নাকি বিশ্বসেরা, অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত ডাক্তার পয়দা করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় গুলো। এসব বিখ্যাত ডাক্তারদের অনেকে নাকি আবার দেশে থাকে না, তাদেরকে নাকি ইউরোপ আমেরিকা সিআইএ, মোসাদের মাধ্যমে কিনে নিয়ে যায়। সিআইএ, মোসাদ প্রশ্নফাঁস করে পাস করা এসব ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে আসলে কি করে কে জানে! গত ২০-২৫ বছরে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো জাতির জন্য কি কোয়ালিটির ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার প্রডিউস করেছে? দেশের ব্রিজ, কালভার্ট করে চীনা, জাপানি এমনকি ইন্ডিয়ানরা হার্ড কারেন্সি বস্তা ভরে নিয়ে যাচ্ছে। সামান্য অসুখ বিসুখ হলে ফারুক সাহেবরা সিঙ্গাপুর চলে যায়, আবুল, বাবুলরা হুজুরের কাছে পানি পড়ার জন্য বোতল নিয়ে লাইনে দাঁড়ায়!
এদিকে শেখ হাসিনা করোনা ভ্যাকসিন কিভাবে বিতরণ হবে জাতিসংঘে তার দিক নির্দেশনা প্রদান করেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৯