বাংলাদেশ গড়ে কয়টি শিশু সঠিক ওজন নিয়ে ও সুস্থ দেহে জন্মগ্রহণ করে? জন্মের পরে গড়ে কয়টি শিশু ঠিকভাবে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার পায়, বয়সের সাথে ঠিক রেখে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়? এগুলোর সঠিক ডাটা আমাদের কাছে নেই সরকারের কাছেও ঠিকভাবে নেই! যাইহোক ঢাকার মোহাম্মদপুরের এক স্কুলে দেখলাম বাচ্চাদের তাদের স্কুলে ভর্তি হতে হলে এমন কিছু শর্ত দিয়ে রেখেছে!
শর্ত গুলো অনেকটা এরকম, বাচ্চার ওজন ১৩ থেকে ২১ কেজির মধ্যে হতে হবে। তার সব দুধদাঁত থাকতে হবে। কোনো ছোঁয়াচে রোগ থাকতে পারবে না। আর বাচ্চার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা থাকতে হবে!
বাচ্চাদের স্কুলে যারা এমন উদ্ভট শর্ত আরোপ করতে পারে তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। এ ধরনের শর্ত যারা আরোপ করে, তাদের অধীনে আপনার বাচ্চাকে শিক্ষাদান করলে ফলাফল শূন্যই আসবে। বুঝা যাচ্ছে প্রশ্নফাঁস জেনারেশনের লোকজন দেশের বিভিন্ন সেক্টরে নিয়োগ পেয়েছে, এরা নিজেদের স্বল্প বুদ্ধি দিয়ে কাজ করতে গিয়ে জাতির ক্ষতি করা শুরু দিয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে কিংবা আইনে শিক্ষা পাওয়ার ক্ষেত্রে কি এই ধরনের কোনো শর্তের কথা বলা হয়েছে? যদি করা হয়ে না থাকে তবে তারা এ ধরনের শর্ত আরোপ করে পরোক্ষভাবে হলেও বেআইনি কাজ করেছে। এদেরকে ডেকে এনে এসবের কারন জিজ্ঞাসা করা উচিত। সঠিক জবাব না দিতে পারলে এদের শাস্তি হওয়া উচিত!
শিক্ষা প্রতিটি শিশুর জন্মগত অধিকার। আমাদের রাষ্ট্র এই অধিকারটুকু সঠিকভাবে পালন করতে পারছে না বিধায়, অনেকেই এই শিক্ষাকে পণ্য বানিয়ে বিভিন্ন ধরনের দোকান খুলে বসেছে। এসব দোকানে তারা প্রতিটি বাচ্চাকেই কাস্টমার হিসেবে দেখে। দোকানদার তার পণ্য কোন ধরনের কাস্টমারের কাছে বিক্রি করবে সেটা সে দোকানদার নির্ধারণ করতেই পারে। আর এই কারনেই এ ধরনের শর্ত সেই স্কুল কর্তৃপক্ষ জুড়ে দেওয়ার সাহস বা অজ্ঞতা দেখাতে পেরেছে।
তাই অভিভাবকদের বলছি এই ধরনের দোকানে গিয়ে আপনার শিশুর জন্য শিক্ষা না খরিদ করাই উত্তম। কাস্টমার না পেয়ে এধরনের দোকানগুলি বন্ধ হয়ে যাক এই কামনাই করি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:১০