
আমাদের এমপি মন্ত্রীরা বেশ কয়েক বছর থেকেই বলে আসছে আমরা নাকি সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার মতো হয়ে যাচ্ছি। আমাদের অজান্তেই আমাদের ইনকাম বেড়ে যাচ্ছে। এরা এসব কি জন্য বলে মোটামুটি সবাই বুঝতে পারেন। তবে গতকাল আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী নাকি বলেছেন টিসিবি'র ন্যায্যমূল্যে বিতরণ করা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নাকি অনেক ভালো ভালো পোশাক পরা মানুষও কিনতে আসে। যাক উনি যদি এটা আপসুসের সুরে বলতেন তাহলে বিষয়টা ঠিক ছিল। কিন্তু উনি বুঝাতে চেয়েছেন ভালো ভালো পোশাক পড়া মানুষেরা টিসিবি'র ন্যায্য মূল্যে পণ্য কিনার কারণে গরিব মানুষেরা পর্যাপ্ত পাচ্ছে না! এই হলো উনার মেধা!
উনি সে পিকআপ ভ্যানের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে যদি ভালো পোশাক পড়া কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করতে পারতেন কেনো তারা লাইনে দাঁড়িয়েছে তাহলে বুঝতে পারতেন উনি কি মারাত্মক ভুল স্ট্যাটমেন্ট দিয়েছেন!
যারা বাজার করেন তারা বলতে পারবেন নিত্যে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম কেমন করে বেড়ে চলছে! আয়ের সাথে ব্যয়ের সামঞ্জস্য রাখা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে। এমন না যে পণ্যের যোগান কম! পণ্যের যোগান যতটুকুই আছে সে হিসেবেও বাজার এমন অস্থিতিশীল হওয়ার কথা নয়। তাহলে কেনো হচ্ছে? হচ্ছে কেনো সেটা আমি আপনি বুঝলেও বাণিজ্যমন্ত্রী মনে হয় বুঝতে পারছেন না! উনি শেষ কবে নিজের পরিবারের জন্য বাজার করেছেন কে জানে! সাম্প্রতিক করে থাকলে টিসিবি'র লাইনে ভালো পোশাক পড়া মানুষ দেখে উনি অবাক হতেন না!
যাইহোক নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের সাথেসাথে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির বিল বাড়ছে এবং আরো বাড়ানোর প্রস্তাব আসছে। এসব ব্যয় বহন করতে না পেরে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষরা আস্তে আস্তে শহর ছেড়ে পালাতে শুরু করবে। কেউ কেউ ভূমধ্যসাগরের লাশ হবে, কেউ আফ্রিকার জঙ্গলে গন কবরের বাসিন্দা হবে! আবার কেউ আরবের উট, ছাগল, ভেড়ার পালের রাখাল হবে!
এরপর আমাদের সরকার রিজার্ভের অংকের ডানপাশে শূন্য বসিয়ে বাহবা কুঁড়াবে!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



