ব্যবসায়ী ও আমলারা মিলে ভোজ্যতেলের দাম এক লাফে ৪০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মধ্যে ভোজ্যতেল অন্যতম। এ ধরনের একটি পণ্যের দাম এত বেশি বাড়িয়ে দেওয়া সঠিক কাজ হয়নি। ঈদের ছুটিতে মানুষ বাড়ি থেকে এখনো পুরোপুরি আসেনি। মাত্র এক কর্মদিবসে(বৃহস্পতিবার) আমলা আর ব্যবসায়ীদের একটি বৈঠকে এই সিদ্বান্ত জাতিকে জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করে কোন পণ্যের দাম যদি বাড়াতে হয় সেটা বাড়াবে। যদি সব হিসেব নিকেশের পরে দেখা যায় সেটা ৪০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো দরকার তাহলে বাড়াবে কিন্তু এত তড়িঘড়ি করে কেন বাড়ানো হচ্ছে।
সব চেয়ে বড় কথা ঐ সভায় সরকারে থাকা আওমীলীগ কোথায়? তাদের স্ট্যান্ড কই?
এমন সভায় অবশ্যই বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের এই বিষয়ে যে দায়িত্বপ্রাপ্ত আছে তার উপস্থিত থাকা জরুরী ছিল। জনগণের দুর্ভোগে রাজনৈতিক দলই তো পাশে থাকবে। ব্যবসায়ী বা আমলারা থাকার কথা না। আমি বলছি না এই দাম বাড়ানোটা একেবারেই অযৌক্তিক। আমি যে কথাটা বলতে চাচ্ছি, সেটা হচ্ছে এ ধরনের বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের ভূমিকা কোথায়? আমলারা এবং ব্যবসায়ীরা মিলেমিশে একটা সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছে তার পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো রাজনৈতিক দলের শক্ত কোন মতামত দেখছিনা!
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনায় খরার কারণে সোয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের উৎপাদন কমেছে। এদিকে ইন্দোনেশিয়া পামওয়েল রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়াতে সরবরাহ কমে গেছে। তাই যৌক্তিকভাবেই ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে। তবে এই দাম কতটা বাড়বে কিভাবে বাড়ানো হবে সবগুলির হিসেব-নিকেশ উন্মুক্ত করে আমাদেরকে জানিয়ে দেওয়াটাই সঠিক প্রসেস হতো। শুধু একটা সভা শেষে প্রেস ব্রিফিং করে আজ থেকে তেলের দাম ৪০ টাকা বেড়েছে এই বললেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। আর এইভাবে বলে দেওয়াটাকে মনে হয় এক ধরনের চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত।
আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের মাঝে সঠিক সমন্বয়ের মধ্য দিয়েই জাতির জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত আসা সম্ভব এর ব্যতিক্রম হলে জনগণের দুর্ভোগই বাড়বে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:১৭