somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শেখ হাসিনা আমেরিকার বিপক্ষে কি ভাবনা চিন্তা ছাড়াই কথা বলছেন?★

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমেরিকা হল পৃথিবীর শক্তিশালী অর্থনীতি দেশের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ। তারা অর্থনীতিতে শক্তিশালী হওয়ার আগে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে। একটি দেশ রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী না হলে কখনোই অন্য আরেকটি দেশের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেনা। শুধুমাত্র অর্থনৈতিক শক্তি দিয়ে বর্তমান বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এজন্যই রাশিয়া, চীন, ভারত যতই অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হোক রাজনৈতিকভাবে যদি তারা শক্তিশালী না হয়, তাহলে বিশ্ব অর্থনীতি, রাজনীতি কোনটাই তারা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।
যতই বলা হোক আমেরিকার পতন হচ্ছে, বিশ্ব রাজনীতিতে দুর্বল হচ্ছে বস্তুত এটি পুরোপুরি সঠিক নয়। তবে হ্যাঁ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আমেরিকা যে প্রতাপের সহিত বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে গেছে সেটার প্রভাব কমতে শুরু করেছে। কমতে শুরু করেছে এর মানে এই নয় যে, কমতে কমতে তলানিতে এসে ঠেকবে! শেষমেশ তারা কোন একটা পলিসি তৈরি করবে যাতে তারা সার্ভাইভ করবে এবং বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতিতে তাদের প্রভাব বজায় থাকবে।

যাই হোক ভূমিকায় যা বললাম মূল আলোচনা সেটা নয়। আলোচনা হচ্ছে গত বেশ কয়েক দিন থেকেই আমাদের রাজনীতিতে আমেরিকানদের পদচারণা অনেক বেশি। তারা আমাদের আসন্ন নির্বাচন ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে বেশ সরব। যেমনটি হয় যারা ক্ষমতায় থাকে তারা এ ধরনের কথাবার্তা ও আচরণ পছন্দ করেনা, শেখ হাসিনাও সেটা করার কথা নয়। যার জন্য শেখ হাসিনাও আমেরিকাকে নিয়ে বেশ বড় ধরনের অভিযোগ ও হুঁশিয়ারি দিয়েছে। আমেরিকান ফরেন পলিসি মেকাররা এগুলিতে খুবই অভ্যস্ত এবং যার জন্য এসব তৃতীয় বিশ্বের সরকার থেকে এসব বক্তব্যকে সিরিয়াসলি বিবেচনা করে না।
তারপরেও সরকার প্রধান থেকে যেভাবে বলা হয়েছে আমেরিকা ছাড়া কি আমরা চলতে পারব না? এটা বাস্তবিক অর্থে কতটুকু সঠিক? সহজ উত্তর হচ্ছে এটা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। আমেরিকার কথা আসলে প্রথমেই আসবে তাদের সাথে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আর সেটা হচ্ছে RMG প্রোডাক্ট। আমাদের RMG প্রোডাক্টের একক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বড় ক্রেতা আমেরিকা, যারা ৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদের থেকে কিনে থাকে। এই ডলার রেমিটেন্স হিসেবে আমাদের রিজার্ভে যোগ হয়। আমার আগের একটি পোস্টে আমি বলেছিলাম আমাদের পোশাক রপ্তানিতে আমরা শুধু এতে আমাদের সস্তা শ্রমমূল্য যোগ করি। আর বাকি এক্সেসরিজ গুলি বাইরে থেকে আমদানি করে নিয়ে আসি। এজন্য ৫ বিলিয়ন ডলার দেশে আনার জন্য আমরা ৪ বিলিয়ন ডলার আবার চীন, তাইওয়ান, হংকং, জার্মানিতে ব্যয় করি! যোগ বিয়োগ করলে ১ বিলিয়ন ডলারের মত টিকে। তবে টাকার অংক বাইরে রাখলে এই খাতে বিশাল পরিমাণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান হচ্ছে। তারপরেও আমেরিকা চাইলেও এককথায় এদেশ থেকে গার্মেন্টস পণ্য কেনা বন্ধ করতে পারবেনা। জিএসপি সুবিধা বাতিল হওয়ার পর অনেক বায়ার তাদের অর্ডার ভারত, পাকিস্তান এবং কেউ কেউ মায়ানমার পর্যন্ত প্লেস করেছিল। কিন্তু পন্যের কোয়ালিটি ও নির্ধারিত সময় ডেলিভারি দিতে না পারার কারণে তারা আবার পুনরায় বাংলাদেশে ফিরে এসেছে।

যাইহোক প্রধানমন্ত্রী যখন সাহস করে আমেরিকার বিপক্ষে এত বড় স্টেটমেন্ট দিয়েই ফেলেছে, এখন তার উচিত সে অনুযায়ী দেশের অর্থনীতি গড়ে তোলা। আমেরিকা নির্ভরতা কমিয়ে আনার জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করা। দেশে ব্যাবসার পরিবেশ সৃষ্টি করা। উৎপাদনমুখী শিল্প স্থাপনে আমলাদের সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে কাজ করা। সচিবালয়ে সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়ীদের প্রবেশ করার পথ সহজ করা। অন্যথায় এসব কথার কথা বলে কোনো লাভ নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:১৮
১২টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×