
সম্প্রতি দুটি সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাশাপশি দেখা যাচ্ছে।
প্রথমটি—ইসরাইলের আক্রমণে ইরানে ৬০ জন নিহত।
দ্বিতীয়টি—ইরানের পাল্টা আক্রমণে ইসরাইলে তিনজন নিহত।
এই দুই খবরে কমেন্ট সেকশনে চোখ রাখলে এক বিষাদময় বাস্তবতা সামনে আসে।
ইসরাইলের আক্রমণের খবরে অনেকে হিব্রুতে লিখেছেন "Baruch Hashem" — অর্থাৎ “সমস্ত স্তুতি ঈশ্বরের জন্য”।
আর ইরানের আক্রমণের খবরে অনেকে লিখেছেন "Alhamdulillah" — অর্থাৎ “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য”।
কিন্তু প্রশ্ন জাগে—
একটি প্রাণ হত্যার পর, সেই হত্যাকে সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে প্রশংসা হিসেবে উৎসর্গ করা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত?
ধর্মীয়ভাবে আমরা জানি, সব সৃষ্টির মধ্যে মানুষের জীবন সবচেয়ে মূল্যবান। কুরআন, বাইবেল, তৌরাত—সব ধর্মগ্রন্থেই বলা হয়েছে:
"একজন মানুষের প্রাণ বাঁচানো গোটা মানবজাতিকে বাঁচানোর সমান"।
তাহলে একজন মানুষকে হত্যা করে সেই হত্যার উল্লাস যদি আমরা ঈশ্বর বা আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে করি, সেটা কি ঈমানদার মনুষ্যত্বের প্রকাশ, নাকি
একধরনের পাথর হওয়া হৃদয়ের সংকেত?
এতে করে ধর্মীয় শব্দগুচ্ছ, যেগুলো কৃতজ্ঞতা ও শান্তির প্রকাশ হওয়া উচিত ছিল, তা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মৃত্যুর উল্লাসে ব্যবহৃত ব্যঙ্গাত্মক হাতিয়ার।
একটা সময় ছিল—যখন যুদ্ধ হতো রাজায় রাজায় কিংবা সম্রাটে সম্রাটে। যুদ্ধের স্থান নির্দিষ্ট ছিল, সময় নির্ধারিত ছিল, দুই পক্ষের সৈন্যরা যুদ্ধ করত সামরিক নিয়ম মেনে। সাধারণ জনগণ তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরাসরি নিহত হত না। শিশু, বৃদ্ধ, নারী এরা—যুদ্ধের বাইরে থাকত।
কিন্তু আজকের “আধুনিক” সভ্যতায় যুদ্ধের চেহারাই বদলে গেছে। ড্রোন, রকেট, মিসাইল, ফাইটার জেট—সবকিছু এখন লক্ষ করে অসামরিক স্থাপনা, ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল।
সৈন্য নয়, বেশি মারা যায় শিশুরা।
যোদ্ধা নয়, কান্না করে মরে বৃদ্ধারা।
রাজার প্রসাদ নয়, পুড়ে যায় মানুষের বাসস্থান!
সভ্যতা কি তবে পিছিয়ে যাচ্ছে?
আমরা নিজেদের আধুনিক বলি, কিন্তু যদি আজকের যুদ্ধের চেহারা প্রাচীন রাজাদের যুদ্ধের চেয়েও বেশি বর্বর হয়—
তবে এই আধুনিকতা কি আসলেই সভ্যতা, নাকি প্রযুক্তির মুখোশে আড়াল হওয়া অমানবিকতা?
সৃষ্টিকর্তা কাকে ভালোবাসেন?
—যারা জীবন রক্ষা করে?
নাকি যারা জীবন ধ্বংস করে তাঁর নামে প্রসংশা প্রেরণ করে?
আপনার মন্তব্যে আমাকে বলুন — আপনি কি মনে করেন, সৃষ্টিকর্তা এইসব উল্লাস, প্রসংশায় খুশি হন?
সম্প্রতি দুটি সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাশাপশি দেখা যাচ্ছে।
প্রথমটি—ইসরাইলের আক্রমণে ইরানে ৬০ জন নিহত।
দ্বিতীয়টি—ইরানের পাল্টা আক্রমণে ইসরাইলে তিনজন নিহত।
এই দুই খবরে কমেন্ট সেকশনে চোখ রাখলে এক বিষাদময় বাস্তবতা সামনে আসে।
ইসরাইলের আক্রমণের খবরে অনেকে হিব্রুতে লিখেছেন "Baruch Hashem" — অর্থাৎ “সমস্ত স্তুতি ঈশ্বরের জন্য”।
আর ইরানের আক্রমণের খবরে অনেকে লিখেছেন "Alhamdulillah" — অর্থাৎ “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য”।
কিন্তু প্রশ্ন জাগে—
একটি প্রাণ হত্যার পর, সেই হত্যাকে সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে প্রশংসা হিসেবে উৎসর্গ করা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত?
ধর্মীয়ভাবে আমরা জানি, সব সৃষ্টির মধ্যে মানুষের জীবন সবচেয়ে মূল্যবান। কুরআন, বাইবেল, তৌরাত—সব ধর্মগ্রন্থেই বলা হয়েছে:
"একজন মানুষের প্রাণ বাঁচানো গোটা মানবজাতিকে বাঁচানোর সমান"।
তাহলে একজন মানুষকে হত্যা করে সেই হত্যার উল্লাস যদি আমরা ঈশ্বর বা আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে করি, সেটা কি ঈমানদার মনুষ্যত্বের প্রকাশ, নাকি একধরনের পাথর হওয়া হৃদয়ের সংকেত?
এতে করে ধর্মীয় শব্দগুচ্ছ, যেগুলো কৃতজ্ঞতা ও শান্তির প্রকাশ হওয়া উচিত ছিল, তা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মৃত্যুর উল্লাসে ব্যবহৃত ব্যঙ্গাত্মক হাতিয়ার।
একটা সময় ছিল—যখন যুদ্ধ হতো রাজায় রাজায় কিংবা সম্রাটে সম্রাটে। যুদ্ধের স্থান নির্দিষ্ট ছিল, সময় নির্ধারিত ছিল, দুই পক্ষের সৈন্যরা যুদ্ধ করত সামরিক নিয়ম মেনে। সাধারণ জনগণ তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরাসরি নিহত হত না। শিশু, বৃদ্ধ, নারী এরা—যুদ্ধের বাইরে থাকত।
কিন্তু আজকের “আধুনিক” সভ্যতায় যুদ্ধের চেহারাই বদলে গেছে। ড্রোন, রকেট, মিসাইল, ফাইটার জেট—সবকিছু এখন লক্ষ করে অসামরিক স্থাপনা, ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল।
সৈন্য নয়, বেশি মারা যায় শিশুরা।
যোদ্ধা নয়, কান্না করে মরে বৃদ্ধারা।
রাজার প্রসাদ নয়, পুড়ে যায় মানুষের বাসস্থান!
সভ্যতা কি তবে পিছিয়ে যাচ্ছে?
আমরা নিজেদের আধুনিক বলি, কিন্তু যদি আজকের যুদ্ধের চেহারা প্রাচীন রাজাদের যুদ্ধের চেয়েও বেশি বর্বর হয়—
তবে এই আধুনিকতা কি আসলেই সভ্যতা, নাকি প্রযুক্তির মুখোশে আড়াল হওয়া অমানবিকতা?
সৃষ্টিকর্তা কাকে ভালোবাসেন?
—যারা জীবন রক্ষা করে?
নাকি যারা জীবন ধ্বংস করে তাঁর নামে প্রসংশা প্রেরণ করে?
আপনার মন্তব্যে আমাকে বলুন — আপনি কি মনে করেন, সৃষ্টিকর্তা এইসব উল্লাস, প্রসংশায় খুশি হন?
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



