somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৫ অক্টোবর, বিশ্ব শিক্ষক দিব্সঃ "টেকসই সমাজ গড়তে শিক্ষকদের ক্ষমতায়ন" অত্যাবশ্যক

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


৫ অক্টোবর, বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ। শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্র শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রতিবছর পালন করা হয় বিশ্ব শিক্ষক দিবস। জাপানের একটা প্রচলিত প্রবাদ হলোঃ‘‘Better than a thousand days of dilligent study is one day with a great teacher’’। পৃথিবীর সকল দেশের শিক্ষক সমাজের নিকট এ দিনটি অত্যন্ত গৌরব ও মর্যাদার। তবে শিক্ষক দিবস পালনের ইতিহাস খুব বেশিদিন আগের নয়। দেশের অগণিত শিক্ষকদের আদর্শগত মহান কর্মকাণ্ডের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁদের পেশাগত অবদানকে স্মরণে-বরণে শ্রদ্ধায় পালন করার জন্য সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই মহান শিক্ষক পালন করার রীতি রয়েছে। নির্দৃষ্ট দিনটি বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন দিনে পালন করা হয়ে থাকে। যেমন বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই ৫ অক্টোবর, ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। UNICEF থেকেও, ৫ অক্টোবর দিনটিই ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবসের’ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের সর্বমোট ১৯টি দেশে অক্টোবর মাসের ৫ তারিখ ‘টিচার্স ডে’ পালিত হয়। দেশগুলি হলঃ কানাডা, জার্মানি, বুলগেরিয়া, আর্জেবাইজান, ইস্তোনিয়া, লিথোনিয়া, ম্যাকেডোনিয়া, মলদ্বীপ, নেদারল্যান্ড, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, কুয়েত, কাতার, রাশিয়া, রোমানিয়া, সার্বিয়া, ইংল্যান্ড, মাউরেটিয়াস, মলদোভা। আবার বিশ্বের অন্য ১১টি দেশে ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনটিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস চালু। দেশগুলি হল মরক্কো, আলজেরিয়া, টিউনেশিয়া, লিবিয়া, ইজিপ্ট, জর্ডন, সৌদিআরব, ইয়েমেন, বাহরেইন, ইউ এ ই, ওমান। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষকরা তাদের বিভিন্ন দাবী বাস্তবায়ন না করতে পেরে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো, অষ্টম বেতন কাঠামোয় সর্বোচ্চ বেতন ও পদমর্যাদা নিশ্চিতকরণের এ আন্দোলনে এখনো রাজপথে শিক্ষকরা। সরকারের পক্ষ থেকে এখনো ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি শিক্ষকদের জন্য। যার কারণে শিক্ষকরা প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পর্যন্ত বর্জনের হুমকি দিয়েছেন তারা। যাতে করে শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব। সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সেশনজটের সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। এসবের মধ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ সোমবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব শিক্ষক দিবস।


গোড়ার কথাঃ ১৯৯৩ সালে বিশ্বের ১৬৭টি দেশের ২১০ টি জাতীয় সংগঠনের প্রায় ৩ কোটি বিশ লক্ষ সদস্যদের প্রতিনিধিত্বকারী আন্তর্জাতিক শিক্ষক সংগঠন “এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল” গঠিত হয়, এ আন্তর্জাতিক সংগঠন জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলো কর্তৃক প্রণীত দলিলটি যথাযথ বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করার অর্থবহ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ক্রমাগত অনুরোধ ও আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৪ সালে ইউনেস্কোর ২৬ তম অধিবেশনে গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ইউনেস্কোর মহা-পরিচালক ডঃ ফ্রেডারিক এম মেয়রের যুগান্তকারী ঘোষণার মাধ্যমে ৫ অক্টোবর “বিশ্ব শিক্ষক দিবস” পালনের শুভ সূচনা করা হয়। ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর থেকে ইউনেস্কো দ্বারা ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ দিনটি সূচিত হয়। এটি সারা দেশ-বিদেশে ‘শিক্ষক’ পেশাজীবীদের জন্য সেরা সম্মান। পরবর্তী প্রজন্মও যাতে কার্যকরী ও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে এই দিনটি পালন করে সেটাও উদ্দেশ্যা। এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল মনে করে, জাতীয় স্তরে সমগ্র বিশ্বেই একটি বিশেষ দিনকে স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি—যেটি সমাজ-সংস্কার-শিক্ষায় শিক্ষকদের উপযুক্ত মাণ্যতা দান করার যোগ্য দিন। ১৯৯৪ সালের পর থেকে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে আসছে। শিক্ষকদের অধিকার ও মর্যাদা সম্পর্কিত সাফল্যকে সমুন্নত রাখাসহ আরো সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালের ৫ই অক্টোবর থেকে বিশ্বের ১০০টি দেশে এই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।


এই দিবসটি পালনে এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল (Education International - EI) ও তার সহযোগী ৪০১টি সদস্য সংগঠন মূল ভূমিকা রাখে। দিবসটি উপলক্ষে ইআই প্রতি বছর একটি প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করে থাকে যা জনসচেতনাতা বৃদ্ধির সাথে সাথে শিক্ষকতা পেশার অবদানকেও স্মরণ করিয়ে দেয়। ইউনেস্কো এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য করেছে, টেকসই সমাজ গড়তে শিক্ষকদের ক্ষমতায়ন ( Empowering teachers, building sustainable societies)। শিক্ষা যদি জাতির মেরুদন্ড হয় তবে শিক্ষকরা সে মেরুদন্ডের স্রষ্টা। গোটা মনুষ্য সমাজের মধ্যে নৈতিক বিচারে শিক্ষকদের চেয়ে সম্মানিত এবং শিক্ষকতার চেয়ে মরর‌্য্যাদাপূর্ণ পেশা আর একটাও নাই। শিক্ষকরা এ সমাজের প্রাণ। পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু বলেছিলেন, ‘‘He has served his nation in many capacities. but above all he is a great teacher from whom all of us have learnt much and will continue to learn.’’। পৃথিবীতে যে যত মহৎ হোক না কেন, সে কোন না কোন শিক্ষকের অধীনে জ্ঞান অর্জন করেছে। তাই পৃথিবীতে যতগুলো সম্মানজনক পেশা আছে তার মধ্যে শিক্ষকতা সর্বোচ্চ সম্মানিত পেশা। মানুষের মধ্যে যারা কৃতজ্ঞ শ্রেণীর তারা সার্বিকভাবে না হলেও ব্যক্তিগতভাবে কোন না কোন শিক্ষকের কাছে ঋণী এবং বিভিন্ন সভা সেমিনারে তাদের সে অভিব্যক্তিও ফুটে ওঠে। সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও শিক্ষকতা একটি মহান পেশা হিসেবে স্বীকৃত। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মানসম্মত শিক্ষা। বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফলে পাশের অধিক্য বাড়লেও গুনগত মান নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। তাই মানসম্মত শিক্ষাদানের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও দক্ষতা সম্পন্ন শিক্ষক দ্বারা সকল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান নিশ্চিত করতে হবে। এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল (Education International - EI) মানসম্মত শিক্ষার মূল উপাদান হিসেবেঃ ১) মান সম্মত শিক্ষক ২) মানসম্মত শিক্ষা উপকরণ ও ৩) মানসম্মত পরিবেশ নির্ধারণ করেছে।


এ বছরের বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়টি খুবই তাৎপর্যমন্ডিত। টেকসই সমাজ গড়তে শিক্ষকদের ক্ষমতায়ন (Empowering teachers, building sustainable societies)। কোন কিছু গড়তে হলে ক্ষমতার বিকল্প নাই। তাই টেকসই সমাজ গড়তে শিক্ষকদের পর্যাপ্ত ক্ষমতা ছাড়া তা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। টেকসই সমাজ গঠন ও শিক্ষার্থীদের মানম্মত শিক্ষার জন্য নিশ্চিত করতে হবে শিক্ষকদের ক্ষমতায়ন। মানসম্মত শিক্ষা শিশুসহ সকলের মৌলিক ও মানবিক অধিকার। তাই মানসম্মত শিক্ষার জন্য শিক্ষক, ছাত্র অভিভাবক, বিভিন্ন পেশার মানুষ ও সরকারের মধ্যে ঐক্য গড়ার মধ্য দিয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। একজন শিক্ষকের সাথে একজন শিক্ষার্থীর সম্পর্ক পিতামাতা সাথে সন্তানের সম্পর্কের মত। কাজেই শিক্ষকরা কোন অবৈধ বা অন্যায় কাজের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে নিজেকে সন্তানতুল্য ছাত্র এবং নিজ সম্প্রদায়কে কলুষিত করতে পারেন না। এ কথা বহুলাংশে সত্যি যে শিক্ষকতা এমনই এক পেশা যাকে একসময় বলা হত সব পেশার চেয়ে অন্যতম। তবে দিনকাল বদলেছে। অতীতের গুরুকুলে শিক্ষা, ব্রহ্মচর্য পালন এ সব বহু পুরাতন অতীত। সেই সুচারু শিক্ষাব্যবস্থার প্রচণ্ড অবনতি হতে দেখেছি কত মান পড়ে যাচ্ছে। সমালোচনাপ্রবণ দুর্মুখরা এও বলে থাকেন, শিক্ষকরা বছরে পাঁচ মাস প্রায় সবেতন ছুটি ভোগ করেন। বেতনও প্রচুর। প্রাইভেট টিউশনেও দ্বিগুণ আয়। তা ছাড়া অতিরিক্ত সরকারি খবরদারির ফলে শিক্ষকরা তাঁদের পেশাকে আর পাঁচটা চাকরির মতোই পেশাগত দৃষ্টিতে দেখেন। শিক্ষা বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ এবং সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যকার বৈষম্য দূর করতে হবে। বেসরকরী শিক্ষকরা বাড়ি ভাড়া পান মাত্র ১০০ টাকা। আর মেডিক্যাল ভাতা পান ১৫০ টাকা। দীর্ঘদিন ধরেই এটা চলে আসছে। অথচ সরকারি শিক্ষকরা বাড়ি ভাড়া পান মূল বেতনের ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ করে। সরকারি শিক্ষকরা বছরে দুটি উৎসব ভাতা পান পুরো মূল বেতনের সমান। সেখানে বেসরকারি শিক্ষকরা পান মূল স্কেলের ২৫ শতাংশ করে দুইবারে ৫০ শতাংশ। পদোন্নতিতেও রয়েছে সমস্যা। তা ছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় প্রভাবশালী ও দুর্বৃত্তদের পরিচালনা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করায় নিরীহ শিক্ষকরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এসব সমস্যা সমাধান করতে হবে।


তবে আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম, পর্যাপ্ত সংখ্যক যোগ্য শিক্ষক, প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষাদান সামগ্রী ও ভৌত অবকাঠামো যথার্থ শিক্ষন-শিখন পদ্ধতি, কার্যকর ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধান এবং গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ ও উপযুক্ত মূল্যায়ন ব্যতীত এ লক্ষ্য অর্জন পুরোপুরি সম্ভব নয়। ‘গত চার দশকে শিক্ষকদের অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে, এটা ঠিক। তবে সময় ও বিশ্বের তুলনায় এটা এখনো আশাব্যঞ্জক হয়নি। এখন মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসছে না। প্রবীণ দক্ষ শিক্ষকরা বিদায় নিচ্ছেন, কিন্তু এসব শূন্যস্থান যথাযথভাবে পূরণ হচ্ছে না।মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের প্রত্যাশা শিক্ষকরা সমাজ, রাষ্ট্রের আলোকবর্তিকার মত কাজ করবে। শিক্ষকদের কাছে সমাজের প্রত্যাশা এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে শিক্ষকদের প্রত্যাশা, মান মর্যাদা নিয়ে শিক্ষকদের বেঁচে থাকার আকুতি এবং তা নিশ্চিতকরণে সমাজের কাছে তাদের দায়বদ্ধতা, শিক্ষকতার মতো মর্যাদাপূর্ণ পেশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ঘনিষ্ঠ আচরণ কতটুকু সম্ভব হচ্ছে, তার যথাযথ মূল্যায়ন প্রয়োজন। তাই শিক্ষকদের পেশাগত স্বীকৃতি, সম্মানজনক বেতন, পেনশন, সামাজিক প্রাপ্তি ও চমত্কার কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষকদের সমস্যার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ একাধিকবার বলেছেন, শিক্ষকরা হলেন শিক্ষার নিয়ামক শক্তি। তাঁদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবেই। তবে শিক্ষকদেরও নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করতে হবে। অভীষ্ট সফলতার জন্য শিক্ষকদের পর্যাপ্ত ক্ষমতয়ন নিশ্চিতসহ সকল স্তরে শিক্ষক সংকট দূর করতে হবে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত গ্রহণযোগ্য পর্যায় আনতে হবে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে এই আমাদের প্রত্যাশা।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×