somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারতের চতুর্দশ প্রধানমন্ত্রী ও অর্থনীতিবিদ ডঃ মনমোহন সিং এর ৮৮তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ভারতীয় গণতন্ত্রের প্রাক্তন এবং ১৪ তম প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং। ডঃ মনমোহন সিং’কে সঠিকভাবেই চিন্তানায়ক ও পণ্ডিত ব্যক্তি বলা হয়। ইনিই প্রথম শিখ ধর্মাবলম্বী প্রধানমন্ত্রী। ডঃ মনমোহন সিং ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতীয় রিসার্ভ ব্যাঙ্কের প্রশাসক, ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারতের যোজনা কমিশনের সহ অধ্যক্ষ এবং ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ভারতের অর্থ মন্ত্রী ছিলেন। তিনি বর্তমানে চতুর্থ বারের জন্য অসম থেকে একজন রাজ্য সভা সদস্য হিসাবেও মনোনীত হন। তাঁর পরিশ্রম এবং কাজের প্রতি জ্ঞানীর দৃষ্টিভঙ্গীর জন্য তিনি বিশেষভাবে শ্রদ্ধাভাজন হয়েছেন। এছাড়া, তাঁর সাহচর্য ও সাধাসিধে ধরণের মানুষ হওয়ার প্রবণতা ডঃ সিং – এর পরিচিতি অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এবং বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংগঠনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ডঃ মনমোহন সিং । ১৯৯০ এর দশকের গোড়ায় প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও এর অধীনে মনমোহন সিং অর্থমন্ত্রী হিসেবে ভারতের ব্যাপক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। ১৯৯৩ সালে সাইপ্রাসে তিনি কমনওয়েলথ রাষ্ট্র প্রধানদের বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এছাড়াও, ঐ বছরেই ভিয়েনায় মানবাধিকার বিষয়ে বিশ্ব সম্মেলনেও তিনি ছিলেন ভারতীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান। আজ ডঃ মনমোহন সিং এর ৮৮তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৩২ সালের আজকের দিনে তিনি ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের চতুর্দশ প্রধানমন্ত্রী ও অর্থনীতিবিদ ডঃ মনমোহন সিং এর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।


মনমোহন সিং ১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের এক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সালে ডঃ সিং পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। তাঁর শিক্ষাজীবন তাঁকে পাঞ্জাব থেকে ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যায়। ১৯৫৭ সালে তিনি সেখান থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণীর সাম্মানিক স্নাতক হন। এর পরেই, ১৯৬২ সালে ডঃ সিং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নাফিল্ড কলেজ থেকে অর্থনীতিতে ডি. ফিল পান। তাঁর বই ‘ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট ট্রেন্ডস্ অ্যান্ড প্রসপেক্টক্স ফর সেল্ফ সাসটেন্ড গ্রোথ’ (ক্ল্যারেনডন প্রেস, অক্সফোর্ড থেকে ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত) ছিল ভারতের অন্তর্মুখী বাণিজ্য নীতির প্রাথমিক পর্বের এক ধরণের সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ। শিক্ষা জগতে ডঃ সিং – এর পরিচিতি আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে তার অধ্যাপনার বছরগুলিতে এবং বিখ্যাত দিল্লি স্কুল অফ ইকোনোমিক্সে তাঁর কাজের সুবাদে এই সময়েই রাষ্ট্রসঙ্ঘের বণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা ‘আংটাড’ – এর সচিবালয়ের কাজে কিছুটা সংক্ষিপ্ত সময় অতিবাহিত করেন। ১৯৮৭ , ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ডঃ সিং এই সংস্থার সাউথ কমিশনের মহাসচিব পদে বৃত হন। ১৯৭১ সালে ডঃ সিং ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রকের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসাবে যোগ দেন। এর অব্যবহিত পরেই ১৯৯২ সালে তিনি কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পদে নিযুক্ত হন। এরপর , সরকারের যে সব গুরুত্বপূর্ণ পদ তিনি অলংকৃত করেছেন সেগুলি হল – অর্থ মন্ত্রকের সচিব, যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান, ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান। স্বাধীন ভারতের অর্থনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয় ১৯৯১ – ১৯৯৬ সালে তাঁর ভারতের অর্থমন্ত্রী হিসাবে পাঁচ বছরের কার্যকালের মেয়াদে। ভারতে অর্থনৈতিক সংস্কারের এক সামগ্রিক নীতির প্রচলনে তাঁর অবদান বর্তমানে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি অর্জন করেছে। সাধারণ মানুষের ধারণায় ভারতের সেই বছরগুলি ডঃ সিং – এর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে একাকার হয়ে আছে।


কর্মজীবনে ডঃ সিং বহু পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ১৯৮৭ সালে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘পদ্মভূষণ’ প্রাপ্তি। এছাড়া, ১৯৯৫ সালে তিনি ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের জওহরলাল নেহরু জন্ম শতবার্ষিকী পুরস্কার পান। ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে তিনি পান অর্থমন্ত্রীদের জন্য ‘এশিয়া মানি’ পুরস্কার। ১৯৯৩ সালেই তিনি বছরের সেরা অর্থমন্ত্রী হিসাবে পান ‘ইউরো মানি’ পুরস্কার। ১৯৫৬ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডঃ সিং পান অ্যাডাম স্মীথ পুরস্কার’। ১৯৫৫ সালে পান কেমব্রিজ – এর সেন্ট জনস কলেজের রাইট্স পুরস্কার অর্থনীতিতে তাঁর অসাধারণ কাজের স্বীকৃতিতে। অন্যান্য বেশ কয়েকটি সংগঠন ও সংস্থার কাছ থেকেও ডঃ সিং সম্মান পেয়েছেন। এর মধ্যে জাপানের নিহন কেইজাই শিম্বুন সংস্থা থেকে তাঁকে সম্মান দেওয়া হয়। কেমব্রিজ এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বহু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক জীবনে ডঃ সিং ১৯৯১ সাল থেকে সংসদের উচ্চ কক্ষ (রাজ্যসভার) – এর সদস্য ছিলেন। ১৯৯৮ – ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা ছিলেন। ২০০৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর ২২ মে ডঃ মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন এবং ২০০৯ সালের ২২ মে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয়বারের জন্য তিনি শপথ গ্রহণ করেন। মনমোহান সিং ভালো বক্তা নন তবে তিনি আন্তরিক, ভদ্র- যা ভারতের রাজনীতির জন্য কোন পূর্ব-শর্ত নয় ৷ তিনি আস্তে ধীরে কথা বলেন তবে দায়িত্ব সচেতনশীল এক রাজনীতিবিদ৷ সিং জানেন কিভাবে সমস্যার সমাধান করতে হয়৷ আর তাই তিনি তাঁর কার্যকালে বহু সংকটের সমাধানে সক্ষম হয়েছেন৷ ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র ছয় মাস পরেই দুই হাজার চার সালের ডিসেম্বরে সুনামির আঘাতে ভারতে আনুমানিক পনেরো হাজার মানুষের প্রাণহানী ঘটে৷ তাঁর সরকার সেই দুর্যোগ একক প্রচেষ্টায় মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়৷ দুই হাজার আট সালে তিনি বিতর্কিত ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করেন প্রবল প্রতিবাদ সত্বেও ৷ একই বছরের নভেম্বরে মুম্বাই শহরে তিনদিনের রক্তাক্ত পণবন্দী নাটকে মারা যায় ১৬০ জনেরও বেশি মানুষ ৷


ব্যক্তিগত জীবনে ১৯৫৮ সালে মনমোহন সিং গুর্শরণ কৌর কে বিবাহ করেন এবং তাঁদের তিনটি কন্যা সন্তান আছে। তাঁর জ্যেষ্ঠ কন্ন্যা , উপিন্দর সিং দিল্লির সেন্ট স্টিফেনস কলেজের|সেন্ট স্টিফেনস কলেজে ইতিহাসের অধ্যাপক এবং ছটি পুস্তকের রচয়িতা যার মধ্যে "এন্সেন্ট দিল্লি"(১৯৯৯) এবং "এ হিস্ট্রি অফ এন্সেন্ট এন্ড আর্লি মেদিঅভাল ইন্ডিয়া" (২০০৮) তাঁর দ্বিতীয়া কন্যা দমন সিং সেন্ট স্টিফেনস কলেজ, নতুন দিল্লির একজন স্নাতক ও ইনিস্টিটিউট অফ রুরাল ম্যানেজমেন্ট}, আনন্দ, গুজরাট এবং "দ্য লাস্ট ফ্রন্টিয়ার": পিপল এন্ড ফরেস্তস ইন মিজোরাম" এর রচয়িতা ও "নাইন বাই নাইন" নামে একটি নভেলেরও রচয়িতা। তার কনিষ্ঠা কন্যা অমৃত সিং আমেরিকান সিভিল লিবারেতিস ইউনিয়ন এর একজন কর্মরত আইনজীবী এবং বার্টন বীবের স্ত্রী , যিনি একজন বুদ্ধিগত সম্পত্তি বিষয়ের বিশেষজ্ঞ সহ অধ্যাপক। মনমোহন সিং হৃদযন্ত্র ঘটিত অসুস্থতায় অসুস্থ এবং তাঁর ১৯৯০ সালে করনারী বাইপাস অস্ত্রপ্রচার ও 2004 সালে অন্জিযপ্লাস্তি অস্ত্রপ্রচার হয়। ২০০৯ সারের ২৪ জানুয়ারি তে ইন্ডিয়ান ইন্স্তীতুত অফ মেডিকাল সাইন্সেস (AIIMS)- এ তাঁর দ্বিতীয় বারের জন্য বাইপাস অস্ত্রপ্রচার করা হয় এবং তখন ডাক্তারা তাঁর হৃদযন্ত্রের পূর্বেকার কয়েকটি জোরের রদবদল করেন.AIIMS এর ডাক্তারদের সহায়তায় শল্য চিকিত্সক রমাকান্ত পান্ডা পুনর্বার তাঁর বাইপাস অস্ত্রপ্রচার করেন।২০০৯ সালের ৪ মার্চ তাঁর কাজে পুররায় যোগদান করেন। আজ ডঃ মনমোহন সিং এর ৮৮তম জন্মবার্ষিকী। ভারতের চতুর্দশ প্রধানমন্ত্রী ও অর্থনীতিবিদ ডঃ মনমোহন সিং এর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪১
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×