
"যে যাকে ভালোবাসে
তার কথা মনে করে অন্ধকারে হাসে'
যে যাকে ভালোবাসে সে কখনো তার দোষ খোঁজেনা। কেউ তার বদনাম করলে সে তার বিরুদ্ধে দা কুঁড়াল নিয়ে যুদ্ধে নামে। সে একবারও ভেবে দেখেনা যার জন্য সে যুদ্ধ করছে সে তাকে ভালোবাসে কিনা! এমনও দেখা গেছে সে তাকে চিনেও না বা একদিন কথাও হয়নি, শুধু দূর থেকে ভালোবাসে। এর নামই ভালোবাসা। আর এ জন্যই বলা হয় প্রেম অন্ধ! যারা জীবনে ভালোবাসা পায়নি তাদেরকে ঘোলা জলে চুবালেও তারা ভালোবাসা কি তা বুঝবে না। সম্ভবত এরা এদের নেতিবাচক মনোভাবের জন্য পরিবার থেকেও ভালোবাসা পায়নি যার বহিঃপ্রকাশ এখানে দেখতে পাই। এদের মনে শুধুই হিংসা ও ঘৃণা। তবে আমি অত বড় মহান প্রেমিক নই তাই অন্ধভাবে কাউকে ভালোবাসিনা। সে কারণে কোন অসংগতি দেখলে প্রতিনাদ করি। রম্য বা কৌতুক করার ছলে তার ভুল শোধরাবার চেষ্টা করি। তবে কাউকে ঘৃণা করিনা।
আমি চাঁদগাজী ও রাজিব নূরকে নিয়ে যতটা রম্য করেছি তা অন্য কোন ব্লগারকে নিয়ে করি নাই। কারন তারা আমার রম্য বা কৌতুককে সিরিয়াসলি না নিয়ে উপভোগ করেছেন। চাঁদগাজী একজন মুক্তিযোদ্ধা বয়সে প্রাবীণ প্রকৌশলী। বউ বাচ্চা নিয়ে অনেক দিন প্রবাসে আছেন। দেশের অতীত বত'মান ভবিষ্যত নিয়ে ভাবেন যা তার লেখায় প্রকাশ পায়। বয়সের বা বত' মান জেনারেশনের অনেক অবাঞ্চিত কথা হয়তো সহ্য করতে পারেন না তাই কঠিন ভাবে রিয়্যাক্ট করেন। কঠিন মন্তব্য করেন। সে জন্য অনেকেই তাকে অপছন্দ করেন। কেউ কেউ সংঘবদ্ধ হয়ে চাঁদগাজীকে ব্লগ ছাড়া করতে উঠে পড়ে লাগেন। তারা সফলও হন। এখন তাদের তীরের মুখে রাজীব ও আমি। এ জন্য তারা উঠে পড়ে লেগেছেন। যাদেরকে আমি এক্সময় খুব সম্মান ও শ্রদ্ধা করতাম। অজ'ণ থেকে রক্ষা করা কঠিন। কেউ যদি তাকে প্রদত্ত সম্মান ধিরে রাখতে না পারে সে দোষ যে স্মমান দে তার নয়। যে রক্ষা করতে পারে না তার। তাদের কারো কারো ভাষা নোংরা গলির ভাষা থেকেও নোংরা যা শুনে তাদের দল ভূক্তরাও কানে আংগুল দেয়। আসলে যার মধ্যে তার বড় হওয়া তিনিতো তাই শিখবেন। কৈফিয়ত দেয় এর মানে নাকি তিনি জানতেন না।
একটি ব্যতিক্রমঃ
একবার রাজীবকে নিয়ে একটু বেশী ডোজ দিলে ব্লগ টিম কয়েক দিনের জন্য আমাদের দু জনকেই সাময়িকভাবে জেনারেল করে দেন। পরে ব্লগ টিমের মধ্যস্ততায় আমরা ব্যান মুক্ত হই। তুলনামূলকভাবে রাজীব নূর বয়সে আমার জুনিয়র; রক্ত গরম,,ভুল হতেই পারে তাই আমরা সেই দিনের কথা মনে রেখে কাউকে ঘৃণা করি না। রাজীব আমার চোখে একজন ভদ্র, সুশিল ও সরল মনের মানুষ। তা না হলে রমজানে তার বাসায় ইফতারীর নিমন্ত্রণ করার মানসিকতা প্রকাশ করতেন না। তাই আমি তার সুন্দর মনের তারিফ করি।
উপরন্ত তিনি একজন ভালো পিতা ও স্ত্রীঅন্ত প্রান পতি। সরল মনে ঘরের কথা অকপটে তিনি যে ভাবে প্রকাশ করেন এমন মানিসিকিতা খুব কম লোজেরই থাকে। অবশ্য এ নিয়া অনেকের বিদ্রুপাত্মক কথাও হজম করতে হয়েছে তাকে।এর পরেও তিনি দমে যাননি ঘরের অনেক খুশির কথা শেয়ার করেছেন অবলিলায় কোন প্রকার সংকোচ ছাড়া।
তাই আমি তাকে পছন্দ করি। যা আমি আনার দু একটি কবিতায় প্রকাশও করেছি। এজন্য কেউ কেউ আমার উপর নাখোশ যদিও তা আমি ভ্রুক্ষেপ করিনা। খুব যত্নের সাথে তাদের এড়িয়ে গেছি। এখনও যাচ্ছি।
ব্লগে ছদ্ম নামে ব্লগিংঃ৷
ছদ্ম নামে ব্লগিং করার সুবিধা দেয় সামু ব্লগ। এর অনৈতিক সুবিধা নেন অনেকে। তারা নিজ নামে যারা ব্লগিং করে তাদেরকে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেও পার পেয়ে যান তার ছদ্ম নামের কারণে। তাদের কাউকে প্রিতি মন্তব্যে কেউ সেই ভাষা প্রয়োগ করলেও তারা গায়ে মাখেন না। কারন শিয়াল নামের কাউকে শিয়াল বললে শিয়ালের কি আসে যায়! তার পরেও আছে মাল্টি নিক। এরা দল বেধে হামলে পড়ে কেউকে যদি একবার বাগে পায়। ঘেউ ঘেউ রব তাদের তামতেই চায়না। ক্ষণে খণে তারা হুক্কা হুয়া বোল তুলে রাতের নিস্তব্ধতাকে খান খান করে দেয়।
উপসংহারঃ
আমার জানামতে ব্লগে আমরা যারা লেখা লেখি করি তারা আথি'কভাবে কেউ লাভবান হননা। মনের খোরাক যোগাতে এই লেখা লেখি। (ব্যতিক্রম থাকলেও আমার জানা নাই) এখানে ব্যক্তিগতভাবে কয়েকজন ছাড়া কেউ কাউকে চিনিও না। তা হলে কেন এই কাঁদা ছোঁড়া ছুঁড়ি। এতে কি আমাদের অন্ধকার মনের বহিঃপ্রকাশ ঘটে না। কেনো আমাদের নিজের কারণে আমাদের পিতা-মাতা ও বংশ পরিচয় ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছি। আসলে সম্মান পেতে হলে সম্মান দিতে জানতে হয়। কাউকে গালি দিয়ে সালাল আশা করা দূরাশা। তাই ভালোবাসার বিকল্প নাই। "আমি ভালোবাসি যারে, সে কি কভূ আমা হতে দূরে যেতে পারে" (কোটেশনটি একজন বিখ্যাত কবির বিখ্যাত কবিতার একটি চিরিন। যারা এর সূত্র খুঁজবেন তাদের আমার ব্লগে থাকার দরকার নাই।)
প্রকাশকালঃ ঢাকা-২২ মে ২০২২ ইং
বিঃদ্রঃ মোবাইল থেকে ব্লগিং, তাই অনেক যুক্ত বণ' সংযোজন করা সম্ভব হলোনা।
© নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



