somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ বাবা - নুরুন নাহার লিলিয়ান

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


--কিরে বেটা আরেক টান দিতে দেয় !

-- মামু , আমারে দিয়া কিনাইয়া সব সাবাড় করলা তুমি !

-- ভাইগ্না , তুমি দেহি তুমার বাপের মতো হিসেবি হইয়া গেলা।

-- আমাকে বলেছ ঠিক আছে । আব্বু কে নিয়া কিছু বলবে না ।

-- কিরে ভাইগ্না এতো অল্পতে সেন্টি হইয়া যাস ক্যান । কইতাছি কি তর বাপ কেমন মানুষ দেখ । এতো টাকা পয়সা থাকতে তরে কোন কিছু দিতাছে না।তুই খামাখা চাকরির পেছনে কুত্তার লাহান দৌড়াছ !

-- তুমি আর একটা কথা বলবা না । যাও তো এখন।

এখন রাত আড়াইটা । বাসার ছাদে বসে মামা ভাগ্নে প্রতিদিনের মতো গাঁজা সেবনের মধ্য দিয়ে জীবনের হিসেব নিকাশ খুঁজছে ।

সাহিলের সমবয়সী মায়ের চাচাতো ভাই মোশারফ । মামা ভাগ্নে সম্পর্কে হলেও সমবয়সী হওয়ায় একই সাথে বড় হয়েছে ঢাকার মতিঝিলে।সাহিলের বাবা আব্দুস সাত্তার তখন সরকারি কর্মকর্তা । সাহিল দাদার আমল থেকেই মতিঝিলে নিজেদের বাড়িতে বড় হয়েছে ।

আবদুস সাত্তার সাহেব চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন দু'বছর হয়। বর্তমানে একমাত্র ছেলে সাহিলকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি শ্রীনগর বসবাস করছেন। স্ত্রী রোকেয়া আরও পাঁচ বছর আগে কোলন ক্যান্সারে মারা গিয়েছেন । সেই সময়ে ছেলে সাহিল ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করলে ও আজ অব্দি তার চাকরি হয়নি ।

স্ত্রীর রোগে বাপ দাদার আমলের মতিঝিলের বাড়িটি ও বিক্রি করতে হয়েছিল ।

স্ত্রী বিয়োগে তাঁর অর্থনৈতিক ক্ষতির সাথে আরও অনেক ক্ষতি হয়েছে। দিনের পর দিন স্ত্রী অসুস্থ থাকতো । ছেলেটার দিকে তেমন নজর দিতে পারেননি ।

ছেলেটা ছোট বেলায় ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশুনা করেছে । ছাত্র হিসেবে বেশ ভাল ও ছিল । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে ভাল ফলাফল নিয়ে পাশ ও করেছিল । কিন্তু মায়ের মৃত্যুর পর থেকে কেমন করে যেন পাল্টে যেতে থাকে । স্ত্রী মারা যাওয়ার পর প্রথম দিকে আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতা ছিল ।অনেকেই এসে বাসার খোঁজ খবর নিত । সাহিল আর আব্দুস সাত্তারের জন্য ভাল মন্দ রান্না করে নিয়ে আসত ।তারপর দিন যেতে যেতে আত্মীয় স্বজনদের আসা যাওয়া কমে যায় । সবাই নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যায় ।

এই পৃথিবীতে মানুষের প্রতি মানুষের সহানুভূতির আবেগটা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না । কারন মানুষ স্বভাবগত ভাবে বেশিক্ষণ একই আবেগ বহন করতে পারে না ।

মানুষের মন চিরদিন সব কিছুর বৈচিত্র্যতা খুঁজেছে । অন্যের সুখে যেমন মানুষ নিজেকে খুঁজে । অন্যের দুঃখে ও মানুষ নিজেকে খুঁজে ।কিন্তু অন্যের মাঝে নিজেকে খোঁজার এই প্রক্রিয়া বেশিক্ষণ মানুষের অনুভুতিতে থাকে না ।তারপর দিন শেষে নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে যায় ।

বছর ঘুরতে থাকে । আব্দুস সাত্তার একা হতে থাকে ক্রমশ ।

চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি ঠিক করেন গ্রামে থাকবেন । গ্রামের বাড়িতে একটা ছোট গ্রন্থাগার তৈরি করে সেখানেই চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ।

কিন্তু সাহিলের ভীষণ রকম এই সিদ্ধান্তে বিরোধিতা থাকে ।

আব্দুস সাত্তারের একই কথা । শ্রীনগর খুব বেশি দূরে নয় । ঢাকা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটারের দূরত্ব ।ছেলেটা একটু কষ্ট করতে শিখুক ।নিজ পায়ে দাঁড়াতে হলে একটু কষ্ট করতে শিখতে হয় ।

বাংলাদেশে কতো মানুষ মাইলের পর মাইল হেটে স্কুলে যায় । অফিস করতে যায় ।

সাহিল ছোট বেলা থেকেই আদর আর আরাম- আয়েশে বড় হয়েছে । বাবার এই সিদ্ধান্তে সাহিল ভীষণ ভাবে আহত হয় ।

বাবার সাথে তাঁর স্বাভাবিক আচরণে দূরত্ব তৈরি হয় ।আর এই দূরত্বটা দিনের পর দিন সাহিলের মনের ভেতর বিষাদের গভীর গর্ত তৈরি করে ।সেই বিষাদের গর্তটা তাঁর জীবনকে অমবস্যার আঁধার ঢেকে রাখে ।

টুকটাক হাত খরচ ছাড়া বাবা কোন রকম সহযোগিতাই তাকে করে না । শুধু বলে ," পড়াশুনা শেষ করেছো । এখন নিজে চেষ্টা কর । নিজের পরিচয় তৈরি কর । খারাপ বন্ধু ত্যাগ কর । "

গভীর হতাশার দিন গুলোতে এমন সব নীতি বাক্য বিষের মতো লাগে । সব মানুষকে জীবনের কোন না কোন সময় এক বা একাধিক বার মরীচিকার সামনে পড়তে । কারও জীবন তো মরীচিকা খেয়ে নেয় ।

সাহিলের কাছে নিজের জীবনটা তেমনই মনেহয় । বিশ্ব বিদ্যালয়ে থাকতে মনাসি নামের একটি মেয়েকে ভালবাসত । মেয়েটির দ্বিতীয় বর্ষেই বিয়ে হয়ে যায় ।

মায়ের মৃত্যুতে বাবা ও অনেকটা নিঃস্ব । কিন্তু যতোটুকু আছে তা দিয়ে ও কিন্তু সাহিল ভাল একটা ব্যবসা শুরু করতে পারে । কিন্তু কোন এক রহস্যের কারনে বাবা কোন ভাবেই সাহিলের মনটা বুঝতে পারে না । আজকাল বড্ড বেশি নির্বিকার থাকে । একদমই সহযোগিতা করেনা ।

বাবার কাছ থেকে পকেট খরচ নিতে ও ঘৃণা লাগে।সাহিলের ব্যাপারে বাবা শাসন বাড়ালেই সাহিলের প্রচণ্ড ঘৃণা ও বাড়ে । এই ঘৃণাটা একেক সময় একেক রূপে আসে ।

এর মধ্যে গ্রামের কিছু জমি বিক্রি হয় । কিন্তু বাবা জমি বিক্রির টাকা নিয়ে কিছুই বলে না সাহিল কে ।

সেদিন রাতে মোশারফ ঢাকা থেকে সাহিলের কাছে আসে ঘুরতে । রাত প্রায় বারোটা ছুঁই ছুঁই । মোশারফ সব খবর নিয়ে আসে । সাহিলের বাবা কিছুই বলে না । সাহিলের ভেতরে জন্ম নেয় হাজার ও প্রশ্ন । বাবা কেন টাকা পয়সা আর সম্পদ বিষয়ে তাকে কিছু জানায় না ।

বাবার উপর ভীষণ অভিমান হয় । সে প্রতিদিনের পত্রিকা , লাইব্রেরি আর সংসারে বাজার করা নিজের জগতে বেশ ভালই আছে । কেন সাহিল আর তাঁর মাঝে এতো রহস্যের দেয়াল ! সাহিল ভেতরের মানুষটা ধৈর্যের বাঁধ অতিক্রম করে ।

কিছু নগদ টাকা হলে মোশারফকে নিয়ে ভাল ব্যবসা করতে পারে । অথচ বাবা কতো নির্বিকার! কোন সহযোগিতাই করছে না । বাবা কে বুঝা ও কঠিন নিজের পেছনে যে খরচ করে তা ও না ।তাহলে সে টাকা পয়সা দিয়ে কি করে ।

সেই সারা বছর এক পাঞ্জাবি , ভাঙ্গা চশমা। কেমন আটপৌরে একটা জীবন । বাবাকে দেখলে ও কেউ বুঝবে না সে এক সময় সরকারী দফতরের বড় কর্মকর্তা ছিল । পেনশনের টাকা গুলো দিয়ে কি করে ! কোন হিসেবই সাহিলের মাথায় সঠিক উত্তর এনে দিতে পারেনা ।

মোশারফের পাশে বসে সিগারেট টানছিল । আর ভেবেই যাচ্ছিল ।

মোশারফ তো আজকে বড় পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে ।নেশাটা একটু গভীর করতে ঘুমের ওষুধ ও মিশিয়ে দেয় ।

তারপর শুরু করে মানসিক ষড়যন্ত্র । মোশারফের হাতে সাদা ষ্ট্যাম্প । নিজের ঘরে বাবা ঘুমাচ্ছে ।

-ভাইগ্না তোমার বাপ মনেহয় বিয়া করব । নয়তো টাকা পয়সা ক্যান তুমারে দেয়না ।

-- মামু সব তো আমারই !

--ভাইগ্না নেশায় দুনিয়া ভুইলা গ্যালা । তুমার বাপ জীবিত থাকতেই দিয়া যাইতাছে না । মরলে দেখবা কোন এক মহিলা পুলা কোলে নিয়া আইসা কইব তুমার বাপের রেখে যাওয়া স্মৃতি ।

কথাটা বলেই মোশারফ কুৎসিত অট্টহাঁসিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।

সাহিলের চোখে অসহায় অশ্রু । অদ্ভুত কিছু একটা হয়ে গেল ভেতরে । মায়ের মুখটা শুধু চোখের সামনে ভাসছিল। অন্যদিকে বাবার একরোখা রাগী চেহারা ।

-- এখন আমার কি করতে হবে ।

-- ক্যান বুঝ না । নিজেরটা বুঝে নাও। ষ্ট্যাম্পে তুমার বাবার সাইন নিয়ে নাও । স্কুলে কলেজে থাকতে তো বাবার সাইন ভালই নকল করতে পারতা । আমি খোঁজ নিছি তুমার বাপের বেড রুমে জমি বেচা টাকা গুলি আছে ।

তারপর দুজন বেড রুমে গিয়ে ঘুমন্ত আব্দুস সাত্তারের বালিশের নিচের চাবি নিতে গেলে তিনি জেগে যায় । আর তখনই বালিশ চাপ দেয় মোশারফ । সাহিল সব টাকা নেয় ব্যাগে । তারপর নিজ রুমে ঘুমের ঘোরে ঢলে পরলে মোশারফ সব কিছু নিয়ে পালায় ।

রাতের আঁধার কেটে যেতে যেতে সাহিলের ও ঘুমের ঘোর কাটে ।

ততোক্ষণে সাহিল জীবনের শেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে ফেলে ।পাড়া প্রতিবেশী সবাই মনেকরে বাসায় ডাকাতি হয়েছে । অতপর আব্দুস সাত্তারের মৃত্যু হয়েছে ।

কিন্তু বাতাসে ভেসে বেড়াতে থাকে বিবেকের চোখ । পুলিশের তদন্ত শুরু হয় ।

যেহেতু আব্দুস সাত্তার অবসর প্রাপ্ত উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এবং এলাকায় গণ্যমান্য ছিলেন তাই লোকের কাছে তাঁর এমন মৃত্যু খুব কষ্টের । এলাকার লোকজন এগিয়ে এল আব্দুস সাত্তারের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে ।

এক সপ্তাহ শোক তাপে কেটে যায় । সাহিলের ভেতরের মানুষটা তীব্র অপরাধ বোধে ভুগতে শুরু করে । বাবার ঘরে গিয়ে সেই বালিশটা বুকে চেপে হাউ মাউ করে কাঁদতে থাকে ।

তাঁর নিজের চোখের সামনে মোশারফ বালিশ দিয়ে মুখ চেপে মেরে ফেলেছে ।

সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত যখন ইনস্যুরেন্স কোম্পানির লোক আসে সাহিলের নামে রেখে যাওয়া বাবার টাকা বুঝিয়ে দিতে ।

এডভোকেট সালাম আসে অনেক অজানা সম্পত্তির হিসাব বুঝিয়ে দিতে । কিন্তু সাহিলের ভেতরের মানুষটা সব হিসাব নিকাশ এলোমেলো করে ফেলেছে ।

আজ সকল সম্পদের বড় সম্পদ বাবাকে সে হারিয়ে ফেলেছে । তাঁরই নিজের কুৎসিত প্রবনতার কারনে । বাবার ভালবাসা আর শাসন গুলো জীবন্ত হয়ে চোখের সামনে ভাসতে থাকে । একটা ভয়ংকর অপরাধ বোধের আগুন তাকে ঝলসে দেয় ।

সাহিলের ভেতরে শুভ বোধ স্পর্শ করে যায় ।

মোশারফ সব নিয়ে দেশ থেকে যেন পালাতে না পারে ।পুলিশের কাছে সাহিল সব স্বীকারোক্তি দেয় ।শ্রীনগরে এই ঘটনা জনগণের ভেতরে কৌতূহল তৈরি করে ।

সবাই জানে আব্দুস সাত্তার একমাত্র সন্তান সাহিলকে অনেক ভালোবাসতো । তারপর ও টাকার কারনে নিজের বাবাকে খুনে সহায়তা করা । সমাজের মানুষের ভেতরে ও ঘৃণা বোধ তৈরি হয় । সরকার সাহিলদের পরিবারের সকল বিষয়ের দায়িত্ব নেয় । অবশেষে মোশারফের ফাঁসি হয় । আর সাহিলের হয় যাবজ্জীবন জেল ।

ভদ্র ব্যবহার আর পরিস্থিতির শিকার বিবেচনায় সাহিল জেল থেকে ছাড়া পায় । তবে মনের ভেতরের অপরাধ বোধের আগুন থেকে মুক্তি পায় না । তিলে তিলে সেই অপরাধ বোধের আগুন তাকে একটা মানসিক ভারসাম্যহীন উন্মাদে পরিনত করে ।

জায়গায় সম্পত্তি গুলো ধিরে ধিরে সব বেদখলে চলে যেতে থাকে । সাহিল শ্রীনগর বাজারের মসজিদের সামনে নিয়মিত বসে থাকে ।সেই মসজিদের জায়গাটা ও সাহিলের বাবার ছিল । বাবারা এমনই হয় সকল সন্তানের জন্য সে আপ্রান চেষ্টা করে যায় সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণে । আর সাহিলের মতো নির্বোধ সন্তানেরা তা অনুভব করতে পারেনা । পৃথিবীর মিথ্যা মরীচিকা তাদের সহজেই ধ্বংস করতে পারে যাদের বোধের জায়গাটা শূন্য ।

এই পৃথিবীর সকল বিবেক বিবেচনার অনেক উপরে সাহিল । রাস্তার লোকজন এখন তাকে সালু পাগলা বলেই জানে ।

সমাজের মানুষের কাছে তিনি এখন একটা শিক্ষার নাম । তাকে দেখিয়ে সাধারন লোকজন বলে বাবার বখে যাওয়া ছেলে ।টকার জন্য নিজের বাবাকে ও খুন করতে দ্বিধা করেনি । সেই অভিশাপে সে আজ রাস্তার পাগল ।

বাবার ভালবাসা এমনই মরণেও সন্তানের ছায়া হয়ে রয় ।আর প্রকৃতির প্রতিশোধ এমনই নিরবে প্রায়শ্চিত্ত বুঝিয়ে দেয় ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৩২
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×