somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার (কৌতুক) :):):) :D:D ;)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

.
.
.
.
.
.
.
নাহ! ভাল্লাগতেছেনা।/:) কি করি? দিলাম সার্চ গুগলে;) সাথে সাথে একগাদা কৌতুক হাজির। পড়ছি আর হাসছি। মনটা ভাল হয়ে গেল। :D
আসার সময় ভাবলাম আপনাদের জন্য কিছু নিয়া যাই। ফুরফুরা মন নিয়া করলাম কিছু কপি আর আপনাদের সামনে করলাম পেষ্ট। এখন দেখেন আপনাদের ভাল লাগে কিনা?

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ:
;););););););)
ভাল না লাগলে কিন্তু আমি দায়ী নই।

চাচা-ভাগ্নে

চাচা হুজুর। কিন্তু তার ভাতিজা একদম নামাজ পড়ে না। চাচা ভাতিজাকে অনেক বুঝালেন। কিছুতেই কাজ হলোনা। শেষমেষ চাচা ভাতিজাকে বললেন।
: তুই এখন থেকে নামাজ পড়লে তোকে ৫টাকা করে দেব।
ভাতিজা এ কথা শুনে খুশিমনে নামাজ পড়তে গেল। নামাজ পড়ে এসে চাচাকে বললো, চাচা, নামাজ পড়ে এসেছি। এবার টাকা দাও।
চাচা : কিসের টাকা? তু্ই নামাজ পড়ছিস নেকী পাইছিস। তোকে আবার টাকা দেব কেন?
এ কথা শুনে ভাতিজা বলতেছে: চাচা, আমি জানতাম তুমি এইরকম করবা। আমিও কম যাইনা। আমি নামাজ ঠিক-ই পড়ছি। কিন্তু ওজু করিনাই।
চাচা : X(X(X(X(X(X(X(X(X(

হেডফোন

বিমান চলছে। এক পেসেঞ্জার হঠাৎ করে হুরমুর করে প্লেনের চালকের ঘরে ঢুকে পড়লো। চালকতো অবাক। চালককে আরোও অবাক করে দিয়ে লোকটা চালকের হেডফোনটাকে ছিনিয়ে নিল।
তারপর লোকটা বলল, "হারামজাদা! আমরা টাকা দেব আর তুমি এইখানে বইসা কানে হেডফোন লাগাইয়া গান শুনবা!!!"

মুলার ক্ষেত

মনুমিয়ার মুলার ক্ষেত। পোকায় খেয়ে শেষ করে দিচ্ছে। তাই সে গেল কৃষিবিশেষজ্ঞের কাছে।
মনুমিয়াঃ ডাক্তারসাব, আমার মুলার ক্ষেততো পোকায় খেয়ে শেষ করে দিল। এখন কি করি?
কৃষিবিশেষজ্ঞঃ আপনি এক কাজ করুন। পুরো ক্ষেতে নুন ছিটিয়ে দিন।
মনুমিয়াঃ আহা! কি পরামর্শ? নুনছাড়াই খেয়ে শেষ করি ফেইলছে আর নুন দিলেতো কথাই নেই।

দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার

এক সন্ধ্যায় হোজ্জা হঠাৎ দেখতে পেলেন একদল ঘোড়সওয়ার তাঁর দিকে এগিয়ে আসছে। তিনি দিব্যদৃষ্টিতে যেন দেখতে পেলেন তাঁকে ধরে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে কিংবা সেনাবাহিনীতে জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হোজ্জা লাফ দিয়ে দেয়াল টপকে গোরস্থানে গিয়ে একটা খালি কবর দেখে শুয়ে পড়লেন। তার আচরণে কৌতূহলী হয়ে ঘোড়সওয়াররা গোরস্থানে ঢুকে পড়ল। দেখল হোজ্জা একটা খালি কবরে শক্ত কাঠ হয়ে শুয়ে আছে। ‘কবরের ভেতর কী করছেন আপনি? আমরা কি সাহায্য করতে পারি?’
‘প্রশ্ন করেছেন বলেই সব প্রশ্নের সোজাসাপটা জবাব দেওয়া যায় না’, হোজ্জা বললেন। ‘পুরো ব্যাপারটা আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভর করছে। যদি বলি আপনাদের জন্য আমার এখানে আসা আর আমার জন্যই আপনাদের এখানে আসা-তাহলে কি কিছু বুঝবেন?’

আমি কিন্তু যাব না

তিন সরদার বনভোজনে গেছে। বনভোজনের স্পটে গিয়ে দেখে তারা কোনো ড্রিংক্স আনেনি। তাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ সরদারকে পাঠানো হলো বাড়ি থেকে ড্রিংক্স আনতে আর না আনা পর্যন্ত অন্যরা কিছুই মুখে দেবে না।
এক ঘন্টা গেল।
দু’ঘন্টা পার হলো।
পাঁচ ঘন্টা কেটে গেলো।
এখনো ড্রিংক্স না এসেছে দেখে অন্য দু’জনে সিদ্ধান্ত নিল তারা খাওয়া শুরু করে দেবে।
এমন সময় হঠাৎ করে পেছন থেকে সেই সরদার বেড়িয়ে এসে বলল “তোমরা যদি এখন খাও, তাহলে আমি কিন্তু যাব না। তোমরা কিন্তু কথা দিয়েছিলে।


আম হল ফলের রাজা

বাদশাহ আকবর একবার তাঁর দরবারে সভাসদবৃন্দদের ভোজ খাইয়ে ছিলেন৷ আকবর বীরবলকে খুব ভালবাসতেন৷ তিনি খুব যত্ন করে বীরবলকে খাওয়ান৷ যখন বীরবল অত্যাধিক খেয়ে বিরক্ত হয়ে গেলেন তখন তিনি আকবরকে বললেন আমার পেটে জায়্গা নেই৷ আমি আর খেতে পারব না৷ আমি আপনার এই আজ্ঞাটা পালন করতে পারব না৷

তখন একজন আম কেটে প্লেটের মধ্যে রাখল৷ প্লেটের মধ্যে আম দেখে বীরবলের খুব আম খাবার ইচ্ছা হল৷ বীরবল হাত বাড়িয়ে আমের প্লেট থেকে আম নিয়ে খেলেন৷ বীরবলকে আম খেতে দেখে বাদশাহ আকবর খুব রাগ করলেন৷ তিনি চিত্কার করে বীরবলকে ডাকলেন৷ তখন বীরবল হাত জোড় করে বাদশাহের কাছে গিয়ে বললেন রাস্তায় যখন খুব ভিড় থাকে তখন বেরোনোর জায়গা থাকে না৷ সেই পথ দিয়ে যদি মহারাজ আপনি যান তখন সবাই সরে গিয়ে আপনাকে যাবার জায়গা দেন৷ আপনি যে রকম আমাদের রাজা সেই রকম আমও হল ফলের রাজা৷ আপনাকে যে রকম আমরা রাস্তা ছেড়ে দিই৷ পেটও সেই রকম আমকে দেখে রাস্তা তৈরী করে দিয়েছে৷ তাই আমি আম খেতে পেরেছি৷

বীরবলের এই উত্তর শুনে আকবর মোহিত হয়ে যান৷ তিনি বীরবলকে আমের ঝুড়ি সমেত অনেক টাকা উপহার দেন৷
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১০:৩৭
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×