somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপডেট: চট্টগ্রাম ভুমিধস

১৫ ই জুন, ২০০৭ রাত ৮:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আরিলরা দুপুরে চট্টগ্রাম ছেড়ে গেছে।
আপাতদৃষ্টিতে প্রাথমিক কাজটা আমরা করে ফেলতে পেরেছি বলে মনে হয়।
পরশু সকালে যখন আরিল আর রাহিলের সাথে প্রথম দেখা হয় তখন তারা তাদের মুল ভাবনাটা জানিয়েছিলো।রাহিলের মতে আমদের যেহেতু ক্ষমতা সীমিত তাই আমরা হয়ত বিরাট স্কেলে সাহায্য করতে পারবো না কিন্তু আমরা ছোট ছোট কয়েকটা কেস হয়ত ডিল করতে পারি। সে ভাবছিলো যে এইযে সরকার আর এনজিও রা তো এখন রিলিফ ওয়ার্ক চালাচ্ছে কিন্তু কয়েকদিন পর যখন সবকিছু ঠান্ডা হয়ে আসবে তখন তো এরা আর থাকবে না এই বিপন্ন মানুষের পাশে ( যেটা আসলে সম্ভব ও না)। রিলিফ দিয়ে হয়তো প্রাথমিক ধাক্কাটা সামাল দেওয়া যাবে কিন্তু এইযে স্বপ্নভাঙা এতগুলো লোক তাদের কে আবার নতুন করে জীবনের স্বপ্ন দেখানোর জন্য যদি কিছু করা যায় তাহলে খুব দারুন হয়। আমরা ভাবছিলাম যে অন্তত কয়েকটা পরিবারকে ও যদি আঅম্রা সাহায্য করতে পারি তাদের আগের অবস্থায় কিংবা তার চেয়ে ও ভালো জায়গায় ফিরিয়ে নিতে তাহলএ বেশ দ্দারুন একটা ব্যাপার হবে। আর এই মডেলটা যদি এইখানে কাজে দেয় তাহলে এইটাকে হয়ত পরে অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে।

তাই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলো ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম এবং এই ধরনের পরিবারের খোজ করছিলাম যাদের জন্য সাহায্য আসলেই খুব দরকারী। আমরা বিশেষ করে দেখছিলাম যে সব পরিবারে উপার্জনক্ষম ব্যক্তি মারা গেছে ( স্বামী বা বাবা) তাদেরকে আমরা কোনভাবে সাহায্য করতে পারি কিনা। এটা খুবই কঠিন একটা ব্যপার ছিলো কারন অধিকাংশ লোক দুর্গত ছিলো এবং তারা আমাদেরকে তাদের নানা অভাব-অভিযোগ জানাচ্ছিল।তবু ও আমরা পাঁচটা পবিবারকে বেছে নিয়েছি যাদেরকে আমাদের উপযুক্ত বলে মনে হয়েছে এবং আমরা খুব করে চাইছি জে এদের জন্যে আমরা কিছু করবো।

আমরা হুমায়ুনের পবিরাবকে পেয়েছি যাদের কথা আরিল আগেই বলেছে।আমাদের সাথে কথা হয়েছে ফাহিনুর আর তার বাবার ( যারা কিনা মাত্র দেরমাস আগে এখানে এসেছে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায়!) ফাহিনুর হারিয়েছে তার মা আর ছোট দুই ভাইকে , ফাহিনুরের বাবা ও মাটিতে চাপা পড়েছিলেন এবং ভদ্রলোক ভালোই আহত । তিনি নির্মাণ শমিক হিসাবে কাজ করেন এবং খুব তাড়াতাড়ি কাজে যোগ দিতে পারবেন বলে মনে হয় না। ফাহিনুর নিজে ও বস্থশিল্পে শ্রমিকের কাজ করে যদিও মা আর ভাইদের হারানোর শোক ভুলে স্বভাবিক অবস্থায় ফিরতে তার সময় লাগারই কথা। আমরা তাদের জানিয়েছি যে আমরা আপাতত তাদেরকে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে নিতে সাহায্য করবো( যেমন তারা যদি একটা নতুন বাসা খুঁজে পায় তাহলে তার খরচ আমরা দিবো পাশাপাশি তাদেরকে কিছু আসবাবপত্র ও আমরা দিতে পারি। )। আমরা ঠিক করেছি যে তাদেরকে আমরা তিন মাসের খরচ দিবো তবে পুরে টাকাটা একসাথে না দিয়ে প্রতি মাসে অল্প অল্প করে দেবো যাতে এই তিনমাস তারা নিরুপদ্রব ভাবে থাকতে পারে।তবে তাদেরকে এই তিন মাসের মাঝে নিজেদেরকে ফিরে পেতে হবে অন্তত কিছু উন্নতির চিহ্ন দেখাতে হবে ( আমাদের চট্টগ্রামের বন্ধুরা এই কাজে তাদের সাথে যোগাযোগ রাখবেন বলে জানিয়েছেন)।

আমাদের সাথে কথা হয়েছে বেলায়েতের পরিবারের সাথে। তার সাত সন্তান মারা গেছে মাটিতে চাপা পড়ে। তার বড় মেয়ের স্বামী মারা গেছে শ্বশুরের পরিবারকে সাহায্য করতে গিয়ে।বেলায়েতের বড় মেয়ে গার্মেন্টসে কাজ করত। বাচ্চার কারনে আপাতত সে কাজে যায় না। সে আমাদের জানিয়েছে যে তাড়াতাড়িই সে হয়ত কাজে ফেরত যাবে। আমরা তাকে জানিয়েছি আমরা তার পাশে আছি , সে যেন সাহস না হারায়। লেবুবাগানে আমাদের সাথে দেখা হয়েছে ১৪ বছর বয়সী আকলিমার। আকলিমা হারিয়েছে সবাইকে, শুধু তার মা প্রায়-মৃত অবস্থায় শুয়ে আছে সি এম এইচ এ। এছাড়া কুসুমবাগে আমরা খুজে পেয়েছি এক মহিলাকে যার স্বামী মারা গেছে এবং একটা ছোট বাচ্চা ছাড়া কেউ নেই।

এই পাচজন হলো আপাতত আমাদের প্রায়োরিটি টার্গেট। আমরা চাই এদেরকে কিছু একটা ফিরিয়ে দিতে। জানি যা হারিয়েছে তা কোন দিন হয়ত ফেরত দিতে পারবো না, তবু ও কিছু একটা চেষ্টা করা।

// আরিলের চাপাচাপিতে এই লেখাটা লেখা । খুব বেশী গোছানো হয়নি। খুব বেশী তথ্যবহুল ও না আসলে। ঃ-(




































৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×