::::
কর্পোরেট সামাজিকতা আর আধুনিক জীবনযাত্রার কল্যাণে দিনের পর দিন মানুষের মধ্যে পশুবৃত্তি জেগে উঠছে। এই পাশবিকতার কল্যাণে রোড এক্সিডেন্টের মত মানুষ খুন হবে ঘরে ঘরে আর এর দায় চাপবে ইসলাম বা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ঘাড়ে।
শ্যুট আউট কর হাজার হাজার শেয়ার ব্যবসায়ীকে যারা সরকারের গুটিকয়েক লোকের কুটচালে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে সামনে মৃত্যু ছাড়া আর কিছুই দেখেনা।
শ্যুট আউট কর যারা ২৪-২৫ বছর বয়স পর্যন্ত পড়ালেখা করে রেফারেন্স আর ঘুষের টাকার অভাবে চাকরি না পেয়ে হাপিত্যেশ করে। ঘরে বাবা-মা'র মুখে হাসি ফোটানো হয়না, স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হয়, নিজেকে ভাসিয়ে দিতে হয় নোংরামির মধ্যে আর খুন-খারাবির মত অপরাধও ডাল-ভাতের মত মনে হয়।
শ্যুট আউট কর বিদেশ ফেরত ঐ পুরুষগুলোকে, যারা সরকারের অবিবেচনাপ্রসূত নীতিমালা অথবা ইউরোপ আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদের শিকার হয়ে ঘরে বসে আছে, করার মত কোন কাজ পাচ্ছেনা। দালালের খপ্পরে পড়ে আগেই যখন জমিজমা হারিয়েছে।
শ্যুট আউট কর ঐ পুরুষগুলোকে যারা অনেক স্বপ্ন নিয়ে জীবনযাত্রা শুরু করে এখন কর্পোরেট দুনিয়ার রঙ্গিন আলোতে খাবি খাচ্ছে আর সীমিত আয়ে অসীম চাহিদার মেটানোর যুদ্ধে।
এরা যেকোনো সময় পশু হয়ে যাবে, হাতে তুলে নিবে অস্ত্র, মানবিক মূল্যবোধ এদের থাকবেনা।
১০ বছর বয়সে কুকুর পাগল হয়ে যায়, ভাদ্র মাসেই বেশিরভাগ কুকুর পাগল হয়। তখন সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব থাকে কুকুরগুলোকে শ্যুট আউট করে মেরে ফেলা।
বর্তমান সমাজে উপরোল্লিখিত পুরুষগুলো মাথায় হাত রেখে দিনে অসংখ্যবার আল্লাহর কাছে মুক্তি চায়। সুযোগ পেলেই রাস্তায় নেমে সরকারের কাছেও চায়। সরকারের উচিত এদের শ্যুট আউট করে দেশের সুশীল সমাজ, মুক্তমনাদের মনে কিছু শান্তি দেয়া।
এক ঢিলে দুই পাখি মরার মত জনসংখ্যাও কমবে, সমাজে অমানুষও কমবে।
সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ, ঢাবি শিক্ষিকার মত আর কেউ নৃশংসতার শিকার হওয়ার আগে খুঁজে খুঁজে হতাশাগ্রস্থ পুরুষদের শ্যুট আউট করা হোক, কেননা তারা যেকোনো মুহূর্তে পশু হয়ে যেতে পারে।
ধিক্কার ঐ বুয়েটিয়ানের প্রতি, যে ঘরজামাই হতে পেরেছে অথচ স্ত্রীর উচ্চশিক্ষা ভালোভাবে নেয়নি।
উচ্চ শিক্ষিত হওয়ার আগে মানুষ হ।
তোদের মানুষ হওয়ার পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থা। তোরা পঙ্গপালের মত স্রোতে ভেসে বেড়াস।
উৎসর্গঃ
১। আমার কয়েকজন বন্ধু শেয়ার ব্যবসায় বিনিয়োগ করে এখন ঋণ পরিশোধ করার পথ খুঁজে পাচ্ছেনা। অনেকেই আক্ষেপ করে বলছে 'এর চেয়ে মরে যাওয়া ভালো।' অনেকে রাস্তায় নেমে জানের মায়া ত্যাগ করে সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে।
২। যারা আমার মত পড়ালেখা শেষ করে রাস্তায় নামবে চাকুরি খুঁজতে।
৩। ২০০৫ সালে বাবার আয় ছিল ৬০০০ টাকা, বাড়িভাড়া ছিল ২৫০০ টাকা, সংসার চলেছে। এখন নিজের বাড়িতে থাকি আর ফ্যামিলি আয় ১৫০০০+ সংসার চলছে।
বর্ণমালায় প্রকাশিত

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




