উ. আশরাফ
আইজ থাইক্যা অনেক দিন আগের কথা। হেইডা হয়ত ১৯৯২/৯৩ সালের হবে। মামা! মনে পড়তাছেনি?
সেই দীর্ঘ ১৬ বৎসর পূর্বে মাওলানা রূহুল আমীন সিরাজী সাহেব আপনাদের নিয়ে একটি সাহিত্য ক্লাস করছিল। সেখানে সবচে টুক্কুন্যা ছাত্র হিসাবে আমিও আছিলাম। তিনি সাহিত্যের সোপান হিসাবে অনেক গুলো বিশেষত্য তুইল্যা ধরছিল। আর সেদিন তিনি আপনাদের ঘিলু যাচাইয়ে একটা বিষয়বস্তু দিছিল। তা ছিল একটি 'অশ্রুসজল' চোখ। তা দেখে আফনারা অনেকেই অনেক কিছু লেখিছিলেন। কিন্তু আমি এর মাথা মুণ্ডু কিছুই বুঝি নাই। তয় আমি খাতার মইধ্যে আঁকা আঁকি ছাড়ি নাই। যাতে হুজুর বুঝে না ফেলান। হেই সুময় আফনে একটি লেখা লেখিছিলেন। হেইডা আমি খাতায় উডাইছি। আফনের লেখাডা মনে অয় এমুন আছিল.......এ যেন তোমার সে বিরহের চোখ যা আঁকতে ব্যর্থ হয়েছিল এত দিন আমার মম। কল্পনার অশরিরী তুলি। জ্বলছ তুমি জ্বলছি আমি চোখ হয়েছে অঝোর। শুনতে পাওকি এ হিয়ার আর্তি?"
আর নোয়াখাইল্যা কালু আবুল কালাম মামা। তিনিও এটা বুজি লেখিছিলেন। তয় কিন্তু আফনেরে হুজুর নম্বর দিছিল ৫০শের মইধ্যে ৫২। আর হেবডারে দিছিল ৫০। হেবডার লেহাডা মোনে অয় এমন আছিল...................হৃদয়ে ঝড়ো হাওয়া বইছে। দূরে সুখ সুপ্তির আবরণ বহু দূরে সরে গেছে। বেদনা বিধুর কন্ঠ আমার স্তব্ধ। মনের গহীনে তোমার বিরহ আমায় সদা পীড়া দিচ্ছে।
কিন্তু জানি হারানো মানিক খুঁজে পাওয়া যায় না। তবুও নয়নের অশ্রুধারা হৃদয়ের বহ্ঞি জ্বালার বাঁধ দিয়ে হাটু গাড়া কর্দমাক্ত জলে তাঁকে খুঁজতে হয়। তাই এই নয়নাশ্রুর অবিশ্রান্ত ধারাই আমার পরম পাওয়া। হায়! যদি তোমায় খুঁজে না পাই?
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




