হুট করে ইফতারির পরে অনেকদিনের না দেখা তারাদের সাথে আকাশের বলয়ে তাকিয়ে যখন নিশ্বাস নেই, ধ্রুব তাঁরার মত একরাশ স্বস্তি ইটপোড়া শহরের গন্ধ ঝেড়ে ফেলে প্রাণবন্ত করে আমাদের সখ্যতা।
আহা কতদিন আকাশ দেখিনা নীরবতাকে সঙ্গী করে, এই শহরের পরতে পরতে আতশবাজির শব্দে পাখিদের ঘুম ভেঙ্গে যায়, ব্যাচেলর জীবনে ছাদে ওঠা অভিশাপের মত। গেটলক থাকে আমাদের জন্য। অথচ বেগুনী নীল আকাশকে সঙ্গী করা হয়না আর। আমরা প্রিয়ায় কন্ঠ শুনি, প্রিয় বাক্য বর্ষণে ভিজিয়ে ফেলি আমাদের চোখ, অবাধ্য কামনার মত ছুটে চলে আমাদের হৃদয়ের ঝড়। তখন হয়ত বেলকনিতে অথবা বদ্ধ গুমোট ঘরে কাঁথার নীচে অতি সন্তর্পণে চুমু খাই মৌখির স্বরে। একলা আকাশ শতশত তাঁরাদের নিয়ে আমাদের ডাকে, অপেক্ষা করে, বছরের পর বছর আমাদের আর ছাদে ওঠা হয়না। অভিমানে এক বাদল দিনে আকাশের কান্না আর থামেনা। আমরা একটি চুরুট হাতে নিয়ে বেলকনিতে দাঁড়াই, তখন হয়ত রাত দুটো। কুকুরের ঘেউঘেউ ছাড়া আর কিছু নেই, কলেজের সবুজ ঘাসের খোলা মাঠে তখন হয়ত শিশিরের শব্দ, আমরা চুরুট ধরাই, রাতের নির্মল বাতাস বেয়ে নেমে আসে স্মৃতির অশ্রুজল।
হাসিমুখে সঙ্গী করো রাগের বেলা লাথি
তোমরা হাসো তোমরা কাঁদো
আমি কেবল দেখি।
মুয়াজ্জিনের কন্ঠে এখন আরব মরুর ঝড়
শুনতে যে পাইনা তাই ভাঙ্গা কন্ঠস্বর।
এই দূরবীন চোখ গলে চলে যাও
বিরহে কাতর হইনি কভু
মেঘলা দিনের বর্ষা-বাদল পরে
আমার নামেই পত্র লেখো শেষে।
আয়, আদর মেখে দে আমায়,
রাতের খুনিদের দেখে চিৎকার করি,
দু'মুঠো অন্নের জন্য নয়।
আমি ঘ্রাণ শুঁকে বলতে পারি তোমার মনের কথা
যেমন সৈনিক বুঝে বেয়োনেটের স্বাধীনতা।
অভিমান জমে আছে তোমাদের সাথে,
তুমি নাগরিক আমি জানোয়ার,
কে দিয়েছে আমার ঘুম নষ্ট করার অধিকার?
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:১৩