...আজও একটা মামুলি ছোট গল্প পড়ে চোখ থেকে অশ্রু বিসর্জনের অস্তিত্ব অনুভব করলাম । এই অভিজ্ঞতা আজই নতুন নয় ইতোপূর্বে অনেকবারই হয়েছে । হুমায়ুন আহমেদ-এর কয়টি বই পড়ে অশ্রুপাত করিনি তা খুব বেশি মনে পরে না । একবার সংবাদপত্রে এক সন্তান হারানো মায়ের সন্তান ফিরে পাওয়ার আনন্দের ছবি দেখেও অমন হয়েছিল। এছাড়াও কাউকে অন্তর থেকে কোন কথা বলতে গেলেও অশ্রুসিক্ত হই প্রায়ই।
আমি আজও বুঝতে পারিনি সৃষ্টিকর্তা আমাকে কি কি শক্তি দিয়ে পাঠিয়েছেন । এটা বুঝা যাবে আমার মৃত্যুর পর আমি যা রেখে যাবো তা দিয়ে । কারন আমি যা রেখে যাবো বুঝা যাবে সেগুলোই আমার সর্বোচ্চ শক্তি ছিল । তবে এখন পর্যন্ত নিজেকে খুবই দুর্বল একজন মানুষ মনে হয় । ব্যর্থতায় ব্যর্থতায় জীবনের এত দূর পার করেছি । তবে কিছু কিছু দুর্বলতাও যে শক্তি হতে পারে তা বুঝতে পারি। আর এমনি এক দুর্বলতাই আমার শক্তি ।
এ দুর্বলতার জন্য জীবনে অনেক চরম মূল্য দিতে হয়েছে, হচ্ছে, হয়তো ভবিষ্যতে আরও চরমতর মূল্য অপেক্ষা করছে । এ দুর্বলতার জন্য স্বভাবত কষ্টও পেতে হয়েছে, হচ্ছে, জানি হতেই থাকবে...
তবুও ওই দুর্বলতাই আমার শক্তি । আর আমার এই দুর্বলতা হচ্ছে "মানুষের প্রতি অকৃত্রিম প্রগাঢ় ভালবাসা, গরলতাবর্জিত সরল বিশ্বাস"। আমি আসলেই খুব অল্পতে মানুষকে ভালোবাসি । নিজের ক্ষতি করে হলেও মানুষের উপকার করতে চাই, করিও । স্বাভাবিক ভাবেই আমাকে প্রায়ই বাঘের খাদ্য হতে হয় (উপকারীকে বাঘে খায়) । তারপর আমি আনন্দ পাই । কারন আমি দুঃখবিলাসী । তাছাড়া আমি এও জানি "নদী পার হয়ে মানুষ নৌকা থেকে নামার সময় নৌকাটিকে একটি লাথি দিবে" এটাই স্বাভাবিক ।
সৃষ্টিকর্তাকে তাই অসংখ্য ধন্যবাদ, আমাকে এমন শক্তি দেওয়ার জন্য । কারন আমি জানি এই শক্তি অনেকে সারাজীবনেও অর্জন করতে পারেনা । অনেক ক্ষমতাধর ব্যক্তিও এই শক্তিতে শক্তিশালী হতে পারেনা (যদিও দেখাতে চায়) । হেরে যাওয়ার মাঝেও যে সুখ থাকে তা ক'জনেই বা বুঝে ? ক'জনেই বা পায়...??

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




