somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পরাজিত নিজেকে নিয়ে এ পোস্ট...

০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এর আগেও একবার এরকম লিখেছিলাম...

জীবনে অনেক কিছু হতে চেয়েছিলাম। অনেক স্বপ্ন দেখতাম। অনেক অনেক বড় হব। আসলে আমার পরিবেশ আমাকে এ স্বপ্নগুলো দেখাতো। হয়ত দেখাতে বাধ্য করতো। ছোটবেলা হতেই জেনে এসেছি আমাকে নিয়ে আব্বু-আম্মু অনেক আশা করেন। আমার উপরে (হয়ত ক্যারিয়ারের উপরে) তাদের অনেক সম্মান নির্ভর করে আছে। আমি আমার আম্মু-আব্বু কে অনেক অনেক ভালবাসি। জানি তারাও আমাকে অনেক ভালবাসে। কিন্তু আজবধি আমি পারিনি তাদের আশা-ভালবাসার কোন প্রতিদান দিতে। বরং আমি জানি আমার এই ছন্নছাড়া জীবনের কথা শুনলে তারা অনেক কষ্ট পাবেন। তাই মনে হয় সবসময় এক ধরনের অভিনয় করে চলেছি। তাদের সাথে..., নিজের সাথে। ভালো ভাষায় হয়ত এই অভিনয় কে 'প্রতারনা' বলা হয়। কিন্তু আমি জানিনা কেন আমি এমন? নিজেকে প্রতিদিন কতবার প্রশ্ন করি! উত্তর পাইনা। আসলে আমি ভেবে পাইনা কি করে আমার দিনগুলো কেটে যায়! এলোমেলো সবকিছু এলোমেলো। অথচ আমি স্বপ্ন দেখি একজন গোছালো মানুশ হবার। শুধু যে বাবা-মা তাই না। সবাই আমার কাছথেকে প্রত্যাশা করে। এইতো সেদিন এক স্যার তার চেম্বারে ডেকে নিয়ে বললেন, "আমি তোমাকে অনেক পছন্দ করি। আমি তোমাকে ক্লাসের ফার্স্ট বয় হিসেবে দেখতে চাই।" একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাস থেকে এমন কথা সে ছাত্রই প্রাপ্য যে অনেক মেধাবী। কিন্তু আমি তেমন কিছুই দেখাতে পারিনি। বরং প্রথম বর্ষেই DROP দিয়েছিলাম। ভাল লাগে যখন দেখি অনেকেই আমাকে বেশ পছন্দ করে। কিন্তু এর ভেতরে আমার যে প্রতাশ্যার চাপ যে দিন দিন বেড়ে চলেছে তাও বুঝতে পারি। কিন্তু তাতে আমার জীবনযাত্রার কোন পরিবর্তন হয়না। সেই ছন্নছাড়া!! আবার আর একটা চাপ সবসময় অনুভব করি যে আমাকে অনেকেই যত ভাল ভাবে, আমি হয়ত অতটা ভাল নই। এত মানুষের ভালোবাসা আমার প্রাপ্য নয়। তবে এটা সত্যি যে আমি চেষ্টা করি নিজের সাধ্যের মধ্যে যে কাউকে সহযোগিতা করতে। অনেক সময় সেজন্য নিজের অনেক ক্ষতিও হয়। তবুও ভাল লাগে কারো হাসিমুখে THANK YOU শুনতে। তবুও আজঅবধি পাইনি মনের মত একজন বন্ধু যার সাথে সবকিছু শেয়ার করতে পারি। এখন গড়তে পারিনি একটা বন্ধু মহল। আসলে এখানেও দোষটা আমার। আমার চিন্তা-ভাবনার সাথে কারও মিল খুজে পাইনা। তাছাড়া আমার কাছে মনে হয় এখন আর কেউই স্বার্থ ছাড়া কিছু করতে চায়না। সবকিছুই fake মনে হয়। তাছাড়া যাকেই আপন ভেবেছি কিছুদিন পরেই বুঝি আমার ভুল হয়েছে। আর মানুষ একবার ভুল করে আর আমি বারবার করি। আসলে আল্লাহ আমার আবেগটা এত বেশি দিয়েছেন বলেই এত ভুল করি। আর এ কারনেই পারিনা self-control করতে। আমি জানিনা আমি কোন পথে চলেছি? সামনে কি অপেক্ষা করছে আল্লাহই ভালো জানেন। নিজেকে আজ নিজের কাছেই অপরিচিত মনে হয় ।

আমি একটা ব্যর্থ মানুষ (আজবধি)।
আমি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিঃ বিষয়ে ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত। যদিও চতুর্থ বর্ষে থাকার কথা ছিল (১ম বর্ষে অনেকটা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফাইনাল পরিক্ষা দেইনি)। আমার এস.এস.সি. তে জিপিএ ৫ এবং এইচএসসি তে ৪.৩০ ছিল। কতদিন মনে নেই, তবে কবে থেকে আমি নিজেকে হতাশাবাদী একজন করে তৈরী করতে শুরু করেছি তা মনে নেই। তবে এখন আমার মনে হয় আমি কিছুই করতে পারিনা পারবো না। আমার বর্তমান ক্লাস রিজাল্টও খুব খারাপ (জিপিএ ২.৫+)। পড়াশোনাও করা একপ্রকার বাদ দিয়েছি (এই যে এখন যেমন আমার ৪র্থ বর্ষ ফাইনাল চলছে, সবাই পড়ছে আর আমি...)।
যাহোক আমি জানতে চাচ্ছি আমার এরকম পঁচা রিজাল্ট নিয়ে ভবিষ্যতে কি কিছু করা যাবে???
যদি যায় তাহলে কি করা যায় অথবা কারো কোন সদুপদেশ থাকলে জানাবেন প্লিজ।

তাছাড়া আমার এমত অবস্থায় কি করনীয় সে সংক্রান্ত পরামর্শ দিলে খুশি হব।

আমি জানিনা আমার এই বস্তা পঁচা লেখা কেউ সময় নষ্ট করে পরবে কিনা! আসলে মন টাকে হাল্কা করার জন্যই ব্লগে এসেছি। তবে আমি বর্তমানে যে অবস্থায় আছি তাতে কোন কিছুতেই মন আকাশ থেকে মেঘগুলো যাবে না। মাঝে মাঝে কাদঁতে ইচ্ছা হয়। যদি সেই কান্নার সাথে মেঘগুলো বৃষ্টি হয় ঝরে পরত! কিন্তু কাঁদতেও পারিনা। কেন? জানিনা...
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×