somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বঙ্গবন্ধুর সোনার তরী ও আওয়ামীলীগ!!! ===============================

২১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



দেশের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আন্তরিকতা
ছিলনা সেটা প্রমাণ করা বড় মুশকিল! তবে তিনি যখন
কাউকে দায়িত্ব দিতেন, সে ব্যক্তি সাথে সাথেই
রাক্ষসে পরিণত হয়ে যেতেন। রাজনীতির শেষ
সময়ে তিনি দিশাহারা হয়ে পড়েন। দলীয় রাক্ষস,
আত্মীয়, অনাত্মীয় সবাই যখন ঠগে পরিণত হল,
তখন জ্ঞান-বুদ্ধি হারিয়ে পরামর্শ নিলেন জগতের
সেরা প্রবঞ্চক কমরেড মনি সিংয়ের কাছে, তিনি
সমাজ তন্ত্রের স্টাইলে বাকশাল করার বুদ্ধি দিলেন।
আজীবন গনতন্ত্রের জন্য লড়াই করা বঙ্গবন্ধু
গতকল্যও মনি সিং তার দুষমন ছিল।

উপায় না পেয়ে তিনি বাকশাল কায়েম করলেন!
বাকশাল কায়েমের দরকার পড়েছিল, তার দলের
কর্মী নিয়ন্ত্রণের জন্যই! কেননা ততদিনে
বঙ্গবন্ধুর আর কোন দুষমন কোমর সোজা
করে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিলনা। আওয়ামী
জাহান্নামের তাপ থেকে বাচতে আবদুল গাফ্ফার
চৌধুরী, ঘোষণা দিয়ে ঘৃণা ভরে দেশ ত্যাগ
করলেন। ওদিকে সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত আওয়ামী
নেতারাই তলে তলে ক্ষিপ্ত হলেন, তেতে
উঠতে রইলেন, স্বার্থের লোভ হজম করা বড়
কঠিন, তারাই কঠোর সিদ্ধান্ত নিলেন................!

তাঁর মৃত্যুর পর যাদের জানাযা নামাজের লাইনে
দাঁড়ানোর কথা ছিল, তাঁরা মন্ত্রিত্ব পাবার লাইনে
আওয়ামী নেতা খন্দকার মুশতাকের বাড়ীর সামনে
লাইনে দাড়িয়ে পড়ল। দলীয় কেউ কেউ নতুন
এম্বাসেডর হয়ে বিদেশের পথে বিমানে উড়ল
অথচ তখনও বঙ্গ বন্ধুর জানাযা শেষ হয়নি। একদল
অতি লোভী, অর্থের অপুষ্টিতে ভোগা দলীয়
চেলা চামুণ্ডাদের হাতেই বঙ্গবন্ধু ক্ষমতার স্বাদ
দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাদের নেতা হিসেবেই
চিনেছিলেন, তাদের চরিত্রের হিসেব কষেন নি।
তাইতো তাঁর নির্মম মৃত্যু সংবাদ শুনে লন্ডনে
অবস্থিত তারই সংসদের স্পীকার মুখ ফসকে বলে
ফেলেছিলেন, ‘একজন ফেরাউনের মৃত্যু
হয়েছে’!

......... জ্বি বলছিলাম কি, তার কন্যাও এখন সেই গুহায়
ঢুকে অন্ধকারে হাত পাকড়াচ্ছে। একই বুদ্ধি অনুসরণ
করা শুরু করেছে তারই কন্যা। বাংলাদেশের ষোল
কোটি মানুষের মাঝে ৮০ শতাংশ ইমানদারের উপর
আস্তা রেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন না! তিনি তার
পিতার দুষমন মনি সিংয়ের সাগরেদ দেরই পরামর্শ
গ্রহণ করতে থাকলেন। এটাতেই তিনি সমাধান খোজ
করতে থাকলেন। ভিতরে ভিতরে দল সংগঠিত হবার
দুরের কথা এক বিশাল আয়তনের লোভী,
হঠকারী, চৌর্য বৃত্তির নেতাতে ভরে গিয়েছে
আওয়ামীলীগ। সুতরাং বাকশাল ছাড়া বঙ্গবন্ধু কন্যার
অন্য কোন রাস্তা খোলা দেখছেন না!

জামায়াত-শিবির নিধনে যে সব সন্ত্রাসীকে আস্কারা
দিয়ে মাঠে নামিয়ে বিরোধী দলের মাঠ খালি করা
হয়েছিল। তাদের গায়ের তেল-চর্বি একটু
বেশীই বেড়ে গিয়েছিল। তাই সরকারকে এসব
তেল চর্বির পরিমাণ কমাতে মালিশের দরকার হয়ে
পড়ল! তাদেরকে লিস্ট করে ক্রস ফায়ার শুরু
করেছে! ভাল কথা, তাদের সেই অর্থ উৎসের
পথও বন্ধ হবেনা, দলীয় লোভাতুর নেতারাও অন্ধ
হয়ে বসে থাকবে না। সেখানে নতুন গড ফাদারের
জন্ম হবে। তবে সেগুলো পরিপূর্ণ দলীয়
মানুষেরাই দখল করবে।

অর্থ ও স্বার্থের লোভে একদা যে সব নেতা-
কর্মী বঙ্গবন্ধুকে ভুলে গিয়েছিল, দলের
বিপর্যয় ডেকে এনেছিল। নেতারা সংসদে
খেদোক্তি করে বলতেন, কোথায় সেই নেতা?
ওই নেতা। বর্তমানের আওয়ামী নেতারাও বলা শুরু
করেছে, খালেদা জিয়া শেষ! এই ধরনের কর্মী
বাহিনী নিয়ে বঙ্গবন্ধুর মত পরিণতিই কপালে জুঠা
ছাড়া ভিন্ন কিছু হতে পারে না।

শুকনো কাঠের তরী তথা নৌকা দিয়ে একদা যে
আওয়ামীলীগ পুরো দেশের মানুষকে জাগিয়ে
তুলেছিল, আজ তারা সোনার তরী বানাতে গিয়ে
পুরো জাতিকে দিশাহারা করে দিয়েছে, জাতীয়
ঐক্যকে ধ্বংস করেছে, সমুদ্র জয় করে
দেশের ভৌগলিক মানচিত্রকে ছোট করে
দিয়েছে। যাদের জন্ম হয়েছিল স্বাধীনতার
স্বপ্নকে জাগরিত করতে তারা আজ পুরো
তস্করের দলে পরিণত হয়েছে!

শেখ হাসিনা কে মনে রাখতে হবে,ইনু,মতিয়া আর মেননরা কিন্তু এখনো আছে,এই মুনাফিকরা হয়তো আপনারও সেই অবস্থা করে ছাড়বে,যেই অবস্থা আপনার বাবার করেছিলো!
সুতরাং অবশেষে বলতে চাই,বামপন্থী মতলব বাজদের কূটকৌশলে কান না দিয়ে, জনগণের কাতারে এসে
"সময় থাকতে ফিউর হন,সাপোর্ট দিবে জনগণ"
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×