নরনারীর সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠছে। কিন্তু ইন্টারনেটে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় সম্পর্ক ভেঙ্গেও যাচ্ছে অনেক।
‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’র প্রাক্কালে সোমবার প্রকাশিত এক জরিপের ফলাফলে ইন্টানেটে সম্পর্ক তৈরি ও ভাঙ্গার বিষয়টি উঠে এসেছে।
বহুজাতিক মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান ইউরো আরএসসিজি বিশ্বব্যাপী এক হাজার মানুষের ওপর জরিপটি চালায়। এতে অংশ নেওয়া প্রতি পাঁচ জনের একজন বলেছে তাদের রোমান্স অথবা শরীরী সম্পর্কের শুরুটা হয়েছিল ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
এতে দেখা যায়, প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিনিদের অর্ধেকই কাউকে না কাউকে চেনে যারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়েছে।
আবার ওই জরিপে অংশ নেওয়াদের এক-তৃতীয়াংশই এমন কাউকে না কাউকে চেনে, যাদের সম্পর্ক ইন্টারনেটের কারণে ভেঙে গেছে। আর তিন-চতুর্থাংশই মনে করে একটি সম্পর্কের বাইরে ইন্টারনেটে অন্য কারো সঙ্গে যৌন যোগাযোগের সম্পর্ক স্থাপন করাটা প্রতারণার পর্যায়ে পড়ে।
জরিপকারী প্রতিষ্ঠানের শিকাগো শাখার প্রেসিডেন্ট নর্ম ইউস্তিন বলেন, “আমাদের বাস্তব জীবন ও অনলাইন জীবন পরস্পর মিলেমিশে এক হয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে যে লোকজনের সঙ্গে আমরা মিশি আর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে আমরা যে আচরণ করি, তা বাসায় ও কর্মক্ষেত্রে আমাদের আচরণকেও প্রভাবিত করছে। তা ভালো মন্দ যাই হোক না কেন।”
সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে অনলাইন যোগাযোগে সবসময়ই ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। যোগাযোগের দুই অধ্যাপক তাদের গবেষণায় দেখেছেন, ইন্টারনেটে জীবনসঙ্গী খুঁজে দেওয়ার সাইটগুলোতে ৮০ শতাংশ মানুষই তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও বাড়িয়ে বলছে অথবা সত্য গোপন করছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






