পাকিস্তানিরা পরাজিত জাতি। আমরা বিজয়ী জাতি। যুদ্ধজয়ী জাতি আমরা। আমরা বিচক্ষণ জাতি। রাজনীতি জানি আমরা। ৪৭ এর সমুচিত জবাব দিয়েছি ৭১ এ। পাকিস্তানকে এক আঘাতে দুই টুকরো করার সোনালী সুযোগটি সেদিন হাতছাড়া হলে আজ আমাদের........। ভাবতেও গা শিউরে ওঠে।
আমরা বীরের জাতি। বিজয়ের নেশায় আমাদের দুই চোখ টক টক করে, এই জিভ লক লক করে। সাহসের ভিষণতায় আমাদের দুই গোফ থির থির করে। বিজয়ের দৃপ্ত প্রত্যায় বুকে নিয়ে হানা দিয়েছিলাম মৌলবাদী পাকিস্তানের আস্তানায়। লক্ষ্মীছাড়া পাকিদের অপতৎপরতায় বাধাগ্রস্ত হয় আমাদের সাহসী তৎপরতা। লক্ষবস্তু গুঁড়িয়ে দেয়া সম্ভব হলনা একটুর জন্য।
অভিনন্দনরা থেমে যাওয়া পাত্র নন। আমরা দমে যাইনি মোটেই। কবি বলেছেন, “একবার না পারিলে দেখ শত বার”। পানির নিচ দিয়ে গিয়ে ছোবল হানলাম। কিন্তু ঐ বজ্জাত জবনরা বড়ই জঙ্গী। আমাদের সাবমেরিনটিকে জব্দ করার ধৃষ্টতা দেখালো।
জঙ্গী পাক বাহিনী অভিনন্দনকে ব্যাপক মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। “আপনার নাম কী, ভারতের কোথায় আপনার বাড়ি......” এমন হাজারো অনাবশ্যক প্রশ্ন করে তাকে বিরক্ত করেছে বর্বর পাক বাহিনী। রণকৌশলী অভিনন্দন সুকৌশলে ওদের প্রতিটি প্রশ্নের মোকাবেলা করেছেন। মোকাবেলা করে বীর বিক্রমে, বিজয়ীর বেশে স্বদেশপ্রত্যাবর্তন করেছেন।
অভিনন্দনরা দমবে না। থামবে না। শত্রুকে বধ করার মরণপণ এই সাধনা চলবে চলতেই থাকবে নিরন্তর। কবির কণ্ঠে কণ্ঠ মিলেয়ে এসো গেয়ে উঠি-
যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা ফারাক্কা ও তিস্তা দৃশ্যমান
ততদিন রবে তোমার নাম ওগো অভিনন্দন বর্তমান
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:২১