চাষার ছেলে নুরু। যুগ যুগ ধরে লালিত আমাদের ঐতিহ্যের শত্রু। আপনার ইচ্ছাই পূরণ হবে কথা দিচ্ছি। একটু ধৈর্য্য ধরে দেখতে থাকুন।
সিংহাসনে বসেই উদ্ভট উৎকট সব আবদার পেশ করতে শুরু করেছে সে। ইচড়ে পাকা ইতর সে। ইচ্ছা মত পাকামো করা শুরু করে দিয়েছে।
নুরের আবদার, গেস্টরুম সংস্কৃতি উঠিয়ে দিতে হবে।
আরে চাষা, গেস্টরুমের ফাপর না খেয়ে কেউ মানুষ হয়েছে? গেস্টরুম সংস্কৃতি উঠিয়ে দিলে ফাস্ট ইয়ারের গেঁও গরু গুলি মানুষ হবে কী করে? তোর গায়ের গেঁও গন্ধ তো এখনো দূর হয়নি।
নুরের আবদার, গণরুম সংস্কৃতি মুছে দিতে হবে।
আরে ছোটলোক, ইয়ারমেটদের মাঝে ভ্রাতৃত্বের যে অকৃত্রিম বন্ধন, গণরুমে না থাকলে কি তা হতো?
নূরের আবদার, মেধার ভিত্তিতে সিট, অছাত্র বহিরাগতদেরকে অর্ধচন্দ্র।
আরে মৌলবাদী, CGPAই কি মেধার মাপকাঠি? বাস্তব অভিজ্ঞতাই মূল। TSCতে আড্ডা দিতে হলে, বটতলা-আমতলা, বেলতলা-বকুল তলায় সময় দিতে হলে, রমনা-সোহরাওয়ার্দীতে রাত কাটাতে হলে, ক্যান্টিনে-ক্যাফেটেরিয়ায়, দোকানে দোকানে মাগনা খেতে হলে যে মেধার প্রয়োজন, তা কি আছে তোদের? মৌলবাদী অপশক্তিকে সুযোগ দেয়ার জন্যই মূলত এই উদ্ভট আবদারের উত্থাপন।
নুরের আবদার, ভেড়ার পালের মত করে নিরীহ ছাত্রছাত্রীদেরকে মিছিলে তাড়িয়ে নেয়া যাবে না।
আরে শিবির, মিছিলে না গেলে রাজনীতি শিখতি কী করে? তোরা মিছিলে না এলে মিছিল করতাম কাকে নিয়ে? মিছিল না হলে ক্যাম্পাস শত্রুমুক্ত করতাম কেমন করে? ৭১ এর পরাজিত শক্তিকে আর ১৮’র পরাজিত শক্তিকে সুবিধা দিতেই এই রাষ্ট্রদ্রহী আবদার উত্থাপন।
নুরের আবদার, পুনঃনির্বাচন।
আরে ফকিরের ছেলে, এ কি তোর মামার বাড়ি? একবার নির্বাচন করতে কয় টাকা লাগে জানিস? এই সুন্দর নির্বাচনটি বাস্তবায়ন করতে ভিসি স্যার সহ পুরো প্রশাসন যে অক্লান্ত নির্ঘুম পরিশ্রম দিলেন, তার কি কোনই দাম নেই? সাধারণ ছাত্র সমাজ ৭০ এর মত করে যে ভোটের বিপ্লব দেখালো, মাত্র ২টি পদ ছাড়া আর সব পদের জন্য ছাত্রলীগকে পছন্দ করলো, তাদের পছন্দের কি কোনই ভ্যালু নেই? ছাত্রলীগের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীবাহিনী কেউ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে, কেউ বজলুর বেগে ছুটোছুটি করে অকাতরে ঘাম ঝরালো, তার কি কোনই মূল্য নেই?
এই পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার পক্ষের ছাত্র সমাজ আমাদের উপরে আস্থা রেখেছে। অকাতরে ভোট দিয়ে দিয়েছে। জীবন দিয়ে হলেও তাদের আস্থার, তাদের ভোটের মর্যাদা রক্ষা করবই করব ইনশাল্লাহ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:০৫