জনসংখ্যার অর্ধেকটাই নারী। তাদেরকে কোন দিক থেকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। তাদেরকে পুরুষ থেকে ভিন্ন চোখে দেখা নিষেধ। আমাদের এখানে যতগুলি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, তার একমাত্র কারণ পুরুষতন্ত্র। অর্থাৎ পুরুষশাসিত (পুরুষ পরিচালিত) সমাজ ব্যবস্থা।
গণপরিবহণের প্রায় অর্ধেক যাত্রীই নারী। তাদেরকে কোন দিক থেকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। তাদেরকে পুরুষ থেকে আলাদা দৃষ্টিতে দেখা অনুচিত।চলন্ত বাসে যত ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, তার একমাত্র কারণ পুরুষতন্ত্র। অর্থাৎ পুরুষশাসিত (পুরুষ পরিচালিত)সড়ক ব্যবস্থা।
পূর্ব বাংলার পবিত্র পাঠ্যপুস্তকে লেখা আছে, “পুরুষের মত নারীরও সব ধরণের কাজ করার সামর্থ্য বা সক্ষমতা রয়েছে”। সুতরাং অধিকারও রয়েছে।
জনসংখ্যা/যাত্রীসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশই নারী। সুতরাং বাসের ড্রাইভার, কন্ডাক্টর আর হেল্পারদের ৫০ শতাংশ নারী হওয়া আবশ্যক।
না, নারীর ড্রাইভিঙের জন্য আলাদা কোন গাড়ির দরকার নেই। নারী-পুরষকে আলাদা চোখে দেখার কোন স্কোপ নেই। নারী কাজ করবে পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, সমান তালে, পাল্লা দিয়ে।
নারীরও শক্তি আছে ইস্টিয়ারিং হুইল ধরে ঘুরানোর। নারীরও সাহস আছে আরো দুই টাকা আদায়ের জন্য লক্ষ্মীছাড়া যাত্রীর সাথে যুদ্ধ করার। নারীরও অধিকার আছে বাসের হ্যান্ডেল ধরে ঝুলে ঝুলে বাতাসে ওড়ার রোমাঞ্চ উপভোগ করার। নারীরও সামর্থ্য আছে বলীষ্ঠ কণ্ঠস্বরে আওয়াজ তোলার, “এই ছাইড়া গেলো মিরপুর মিরপুর মিরপুর...........।
এই চইলা গেলো গাবতলী গাবতলী গাবতলী..........................
আমাদের দলে যোগ দিন
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৩৯