যখনই কোন অঘটন ঘটে, আমরা বসে যাই সেই বস্তাপঁচা প্রেসক্রিপশন নিয়ে। একই প্রেসক্রিপশন ফটোকপি করে চালিয়ে দেই সবখানে, যুগ যুগ। ক্যান্সারের রোগীকে লিখে দেই, “বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে পাগলা মলম কিনে নিয়ে এসো, লাগাও দিন রাত”।
পুরুষতন্ত্রকে কষে গালি দিতে পারলেই হিরো হতে পারি। আসলে পুরুষতন্ত্র কোন সমস্যা নয়, মূল সমস্যা পুরুষ। আমাদের পুরুষদের উল্লেখযোগ্য অংশটি অমানুষ। কারণ তাকে মানুষ বানানোর দায়িত্বটি পালন করেনি রাষ্ট্র। নতুন প্রজন্মের পুরুষগুলিও অঙ্কুরিত ও বিকশিত হচ্ছে অমানুষ হয়ে।
পুরুষগুলিকে মানুষ বানান, দল বেঁধে সওয়ার হবেনা আপনার (নারী) উপর। আপনার (হাসনাবিবি, সকল নিপীড়িত নারীর প্রতিনিধি কাল্পনিক একটি নাম) উলঙ্গ ছবি দিয়ে বিশাল বিশাল বিলবোর্ড বানাবে না। বৈশাখী মেলায় চৌরাস্তার মোড়ে উলঙ্গ হাসনাবিবির নাচ দেখিয়ে টাকা কামাবে না।
পুরুষতন্ত্র সমস্যা নয়। বঙ্গবন্ধু, মহানবীর পরিবার কী তান্ত্রিক ছিলো? পুরুষদেরকে মানুষ করা গেলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজটিই স্বর্গ হবে।
গণতন্ত্রকে গণধোলাই করলেই স্মার্ট সেজে যাই। গণতন্ত্র কোন সমস্যা নয়, আসল সমস্যা হলো গণ(পাবলিক)। আমাদের জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশটি অসাধু। কারণ তাদেরকে সাধু বানানোর কোন দায়িত্ব গ্রহণ করেনি রাষ্ট্র। নতুন প্রজন্মের মানুষগুলিও লালিত পালিত ও বয়প্রাপ্ত হচেছ চরিত্রহীন হয়ে।
মানুষগুলিকে সাধু বানান, ঘুষ দিয়ে আর কোন রানাপ্লাজার ডিজাইন পাশ করিয়ে নেয়া সম্ভব হবেনা। ব্যাংকডাকাতি ভোটডাকাতির উৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপিত হতে পারবেনা। মাসব্যাপি বৈশাখী মেলার স্বপ্ন ছোঁয়া র্যাফেল ড্র এর নামে পাবলিককে নিংড়িয়ে আখের ছোবড়া বানানো যাবেনা।
গনতন্ত্র সমস্যা নয়, মূল সমস্যা গণ(পাবলিক)। মানুষগুলোকে চরিত্রবান করা গেলে গনতান্ত্রিক সমাজটিই স্বর্গ হবে।
আমাদের দলে যোগ দিন
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০৯