প্রিয়তমা সমীপেষু,
কেমন আছো? ( জানি আছো ভালোই,
তাও জিজ্ঞেস করা
যদি কোন অজানা কারণে বলে উঠো,
আমায় না দেখে তুমি ভালো নেই।)
কাজের ব্যাস্ততায় হয় না নেয়া তোমার
খোঁজ। ( বেকারের আর কাজ কী?
জানালার ফাঁক গলে ড্যাব ড্যাব
করে আকাশ দেখা ছাড়া। )
হঠাৎ অবসরে তাই এই চিঠি। ( চিঠি না,
চিঠি না,
এ হলো ব্যাথার ছবি। )
আশা করি সব আগের ই মতো আছে। ( নাই, নাই,
কিছুই আগের মতোই নাই। মনের
দূরত্ব প্রতিদিন ই বাড়ছে।
এই দূরত্ব কমাচ্ছে সব আশা ভরসা। )
আকাশ কেমন আছে? ( যে আকাশ
আমি হাজার বছর ধরে বানিয়ে তোমায়
দিয়েছিলাম এক ভালোবাসায়। )
অনেক দিন আকাশের সাথে চা পান করা হয়
না। ( এক মেঘলা
আকাশের নিচে বসে সমুদ্র পাড়ে
তুমি আমি চা পান করছি
এটা আমার সেই কবেকার শখ। )
আর বৃস্টি? এখনো কি নূপুরের জন্য কাঁদে? ( বৃস্টি
সেতো অনন্ত বর্ষা ধরেই পড়ছে,
তোমার হাত
ধরে সে বৃস্টি তে নীপবনে যাবো বলে। )
প্রিয়তমা,
এখনো কি তুমি এস . ডি. বর্মণের গান শুনে
মন খারাপ করো? ( তোমার মন খারাপ করানোর
জন্য
আমি রোজ চিৎকার করে বর্মণ সাহেবের গান
গাই
যাতে ঠোঁঠের স্পর্শে আমায় ডাকো। )
এখনো কি তুমি হেসে উঠো আনমনে? ( ওই
হাসি ই তো আমায় বন্দী করেছে কি এক
মায়াজালে। )
যাহ, খালি প্রশ্ন ই করে যাচ্ছি। ( আমার প্রশ্ন
তো
ফুরোয় নারে কন্যা। )
আমি আছি ভালোই। আগের মতোই।
( ভালো আছি কি না জানি না
তবে আছি এখনো তোমার পাগল হয়ে। )
কিছু গন্ধরাজের পাঁপড়ি দিলাম সাথে।
( শুঁকে দেখলে
বুঝবে কত অভিমান
জমিয়ে রেখেছি জমিয়ে। )
বিশেষ আর কি, পত্র মারফৎ উত্তর জানিয়ো।
( আমি
হাজার নিশি জাগিবো ও পত্রের
অপেক্ষায়।)
ইতি,
আমি।
_______________________________
তুমি ঠিক আছো তো?
গত কাল ই না দেখা হলো।
থাকি ই তো বড়জোর আধ কিলো দূরে।
ছোট ভাই আকাশের সাথে গতকাল ই না ফুটবল
খেললে, চা পান করলে খেলা শেষে।
বড় আপু আর বৃস্টি কে গত সকালেই না
বাসে উঠিয়ে দিলে।
আর গান শুনে আমার মন খারাপ হবে কেনো?
এসব কথা ফোনে জিজ্ঞেস করলেই
তো পারতে?
> হ্যাঁ পারতাম তাও লিখলাম আর কি।
( কন্যা,
তুমি বুঝলে না
এক ক্লাসিকাল প্রেমিকের
কাব্য।)