ছাগু! কত্ত কিউট একটা নাম!! তার মায়াভরা চোখ আর সুরেলা ম্যাতকার কোনো কিছুর সাথেই তুলনা করা সম্ভব নয়! বিধাতার সে অনন্য এক সৃষ্টি। লতা মঙ্গেশকরের কোকিল কন্ঠ অথবা জয়া আহসানের হাম্বা চেরা চোখ, সবকিছুকেই হার নামাতে সক্ষম এই প্রাণী। তার "রুপবানে নাচে" টাইপ লম্ফে হৃদয় ভরে ওঠে, ব্যালে ড্যান্স এর কথা মনে পরে যায়! ওহে বিধাতা, করিয়াছ ছাগুতে এ ধরা ধন্য।
ছবিতে অসম্ভব সোন্দর একটি ছাগুকে পাকিস্তান ক্রিকেট দল জিতে যাওয়ায় লম্ফে দিতে দেখা যাচ্ছে।।
ব্লগের সবাই টুকটাক ছাগু চেনেন, তবে তার গুনাবলী সম্পর্কে কি কখনো ভাবিয়া দেখিয়াছেন? ভাবিয়াছেন তার অসহায়ত্ত্ব? সেম অন ইউ, যারা কখনো ভাবেননি।।
ছাগু হচ্ছে আমাদের সমাজে সেই দুখু মিয়া, যার পিতাকে বাবা দেখেও সে আজ পর্যন্ত শিউর হতে পারেনি তার জন্মপরিচয়। "পুরব কে পাকিস্তান ঔর পাশ্চিম?? কৌন সা হেইন হামারা পেয়ারা ওয়াতান?" এই প্রশ্নের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে যে অবোধ শিশুটির বাড়ি বাড়ি কাঁঠাল পাতা বা দুর্বাঘাস ভিক্ষা করে চলা, তার নাম ছাগু। হাউ স্যাড!!
ছবিতে ছাগু সমাজের শত ঝন্ঝার প্রতিকী হিসেবে একটি দুখী ছাগুকে দেখা যাচ্ছে(মডেল: ম্যানিজামি, ক্যামেরায় ছিলেন:আব্বা মাস্তান)
এভাবেই কাঁঠাল পাতা খেয়ে খেয়ে বড় হওয়া ছাগু সবুজে আচ্ছন্ন হয়ে যায়, লাল তার ভালো লাগেনা। সবুজ হচ্ছে বেহেস্তি কালার দি রং। তাই বাংলাদেশের পতাকা দেখলে কতিপয় কিউট ছাগু ভয়াবহ হয়ে উঠে, লাল তাদের সহ্য হয়তে চায়না!! পাকিস্তানের মোটামুটি সম্পূর্ণ সবুজ পতাকা তাদের অনেক প্রিয়। পাকিস্তানি পতাকা দেখলেই ছাগুরা দাঁত বের করে তাদের কিউট লিল ল্যান্জা দুলিয়ে, জিভ বের করা মিষ্টি এক হাসি দিয়ে বলে ওঠে ম্যাআআ!!! কত যে ভালবাসার অভিব্যক্তি ঘটে যায় ওই ডাকে, পাষন্ড আমাদের হৃদয় কি তা বুঝে? ইহাকে বলে খাটি দেশ প্রেম। এটা আসলে এসে পড়েছে একাত্তুরে তাদের খাটের নিচে লুকিয়ে থাকা অথবা স্বজাতির মাংস খেতে উন্মত্ত হয়ে পরা পাকিস্তান প্রেমিক বাবাদের কাছ থেকে। কিউট ছাগুদের এতে কোনো দোষ নেই! আমরা কেন ওদের পিছে লাগব তাহলে? ওদের বাবারা যে মুক্তিযুদ্ধে হেরে গিয়েছিল, তার জের তো তাদের টানতেই হবে, তাইনা? এই দেশ তাই ছাগুদের রোষানলে, ওদের কিন্তু দোষ নেই, সবই আল্লাহর লীলা খেলা, DNA র দোষ!!
ছাগুদের মনে অনেক কষ্ট, পাকিস্তান ওদের কাঁঠাল পাতা দেয়না, এদিকে বাংলাদেশ কাঁঠাল পাতা দিলেও সাথে মরিচ বাটাও খাওয়াতে চায়। ছাগুরা আবার মরিচ পছন্দ করেনা, তাদের সঙ্গী ছাগিরা মরিচের ঘ্রাণে বড়ই বিরক্ত হয় কিনা। তাই ছাগুরা প্রতিশোধ নিতে সামু নামক ব্লগে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। অসহায়ত্ত্ব তাদের করে তুলেছে সুযোগ সন্ধানী!! যখন একলা কোনো মরিচের গাছ দেখে, গাছের কাছে গিয়ে জোরে ভ্যাআআআআ করে দিয়ে পলায়ন করে তারা। শিশু মনের অবোধ এসব দুষ্টুমিকে সবাই কেন জানি সিরিয়াসলি নেয়। হাউ পানি! না বুঝেই সবাই গালিগালাজ করে। আরে, একজনমে কি যায় ছাগুর মন বোঝা?
HAVE YOU EVER SEEN SUCH AN AMAZING SMILE WITH SO MUCH OF INNOCENCE?
(ছাগুর একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে, উড়ে এসে জুড়ে বসেনি)উপায় অন্ত না দেখে ছাগু সমাজে মশহুর জান্নাতের হুর, গোলাপী শাড়িপুর, রানী ডিস্কো সাহেবার কাছে বাবাদেরকে পাঠিয়ে দেন। যত প্রকার ম্যাতকারই করা লাগুক, গোলাপী শাড়ির তলে আশ্রয় লাগবে ছাগুদের, নিতান্তই শরণার্থী তাহারা। গোলাপী শাড়ি কে বলা হলো, অতীতে আমরা একটু বেপরওয়া কাঁঠাল পাতা খেয়্চিলাম, বদ হজম হয়েছে, সকলেই মৃত্যু সজ্জায়, আঁচল তলে ছায়া চাই রানী সাহেবা। আর আমরা যে বলেছিলাম, গোলাপী কালার আমাদের জন্যে সুইটেবল না, সেটি ভুল ছিল। ছাগু সমাজের বিশিষ্ট জনের, যেমন ম্যাগওয়া, ম্যাজমি, ম্যাইদি সহ বাকিরা ম্যাবেশনা করে বের করতে পেছেন, গোলাপী এবং গোলাপীই একমাত্র ভরসা!! গোলাপী রানীর শর্ত ছিল, দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে, একসাথে কাঁঠাল পাতা সংগ্রহ আর সবুজ প্রেম ধরে রাখতে হবে, সুযোগ পেলেই রানীর হয়ে ম্যাতকার দিতে হবে। বিনিময়ে সকল ছাগু গোলাপী আঁচল তলে স্থান পাবে!! সেই থেকেই তাদের প্রচন্ড ম্যাতকারে জনজীবন অতিষ্ঠ, খোয়ার গুলোও এই সুযোগে অনেক ছাগুর জীবনে কালো মেঘ নিয়ে এসেছে, অনেক অবোধ মানুষ তাদেরকে অপছন্দ করেন। কিন্তু ভেবে দেখেছেন, গোলাপী বেগম কত মহত? উনি কত ছাগুর জীবন বাচিয়েছেন। তাইতো কবি বলে গেছেন,
"হাজার ছাগুর জীবন বাচায়,
গোলাপী কালারের শাড়ি!"
ছাগুদের আর চিন্তা নাই, তাদের পিত্রালয় পাকিস্তান থেকে বিভিন্ন সহযোগিতা সহ এখন তারা মাতৃভূমি তুরস্ক থেকে কাঁঠাল পাতা পাচ্ছে। আর যারা মরিচ বাটা দেয়, তাদের বিরুদ্ধেও ওরা কাজ করে যাচ্ছে।
ছাগুদের অসহায় ভাবার কোনো কারণ নাই, দে আর কিউট বাট দে আর ডেঞ্জারাস!
ছাগু ইস সোন্দর, ছাগু হয় কিউট, আই লাব ছাগু, হওয়াই তুমি লাব করনা?
তারা নিজেদেরকে মুসলমান বলে দাবি করে, তাদের ল্যান্জা বড়ই অলৌকিক........
আইচ্ছা, ছাগুদের মুসলমানি কোন পশু হাসপাতালে হয় কারো জানা আছে?
ছাগু ম্যাগোআ হু'র পিঠে ছাত্র সমাজের অংশ হয়ে যাওয়া এক গর্বিত ছাগুকে দেখা যাচ্ছে। ছাগু সমাজে প্রথম ও শেষ গ্রাজুয়েট হওয়ায় উক্ত ছাগুকে এহেন সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছিল।
___________________________________________________
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৩