মূর্খতা খেতাব নিয়ে চলে এলাম অক্সিজেন ভোগ করতে।
অতঃপর যৌনতা আমার গা থেকে মূর্খতার কালিমা দূর করলো,
তখন আমি নয় কি দশ। সে জরুরী বিভাগে শোয়া প্রথম পাঠ!
২য় পাঠ গেল, ৩য় গেল, পরী গেল, ব্যবহারিক গেল!
আমি পরিক্ষায় “মন্দ” বিভাগে উত্তীর্ণ হলাম।
আনন্দ কর, আমার তরজমা এখন
সরকারী ছাপাখানা থেকে মুদ্রণ হবে, আনন্দ কর!
জীবন গ্যাস এখনও তা দিচ্ছে আমার চোখ, জিহবা ও মস্তিষ্ককে
তবে কি আরো পাঠ বাকি?
মূর্খতা দূরীকরণ আন্দোলনে নেমে পড়লাম।
“দাবি একটাই, জন্মের শুরু থেকে যৌনতা শিখে আসতে হবে।”
বাবার ফাসি হল, কাচের চুঙ্গি’র দায়িত্ব বেড়ে গেল।
আন্দোলন বিপ্লবে রূপ নিলো। সভ্যতার পরাজয় হল।
আমি শান্তিতে প্রথম হলাম।
নয় দশের আমি উনানব্বই নব্বইয়ে এসে
দেহের শেষ পাঠের জন্য অপেক্ষমান
“হিসেব” নামক শেষ পাঠে দেখি
শুধুই দুই শব্দের এক বাক্য
“রাজা চেক”
জীবন গ্যাসের অভাববোধ করছি!
আবছা আলোতে দেখলাম শতের উপরে এক বৃদ্ধা কাদছে আর বলছে
“মূর্খ, ও মূর্খ! তুই কই,
মূর্খ, ও মূর্খ!”
২৯.১০,২০১৫
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭