আমাদেরও একটা কৈশোর ছিলো, তারুন্যের সিড়ি ধরে আজো আমরা হাটছি। আমরা মানে, আমি আর আমার মনের পথ ধরে হেটে যাওয়া কিছু মানুষ। যাদের সাথে কৈশোরের উদ্দামদিনে আড্ডায় মেতেছি। তারুন্যের কঠিন বাস্তবতা শেখার দিনে একসাথে থেকেছি। আমাদের বন্ধুমহলে মেয়েদের অবাধ বিচরন ছিলো। বন্ধু হিসেবে তারা এসেছে, আবার কখনো রসালো আলাপে তারা এসেছে।
কৈশোরে মেয়েদের শরীরের কিছুটা অংশ দেখে উত্তেজিত হয়েছি। চেয়েছি, পাশের বাসার মেয়েটা জানালা খোলা রেখে জামা পাল্টাক। রাস্তায় পথচলা মেয়েদের দিকে লোলুপ দৃষ্টি হেনেছি।
তারুন্যে শয্যাসঙ্গী খুজেছি। একজনকে ভালোবেসেছি। সে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে। তবু,তাকে লুকিয়ে কতজনের সাথে যে, শরীর পেতেছি!
আমার একটা বান্ধবী ছিলো। তার নাম, কখগ। কখগ তার বন্ধুত্বের ঢালা মেলে দিয়েছিলো। তাকে নিয়ে টি.এস.সি,শহীদ মিনার কত যায়গায় ঘুরেছি। রিকশায় চেপে ঘুরেছি ঘন্টার পর ঘন্টা। সন্ধ্যা নামার আগেই অস্থির হিয়ে যেতাম, তাকে বাসায় পৌছে দিতে। চাইনি, তার নামে কেউ কিছু বলুক।
একসময় তার বিয়ে হয়ে যায়। আগে ফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যেতো। সেই আমি, তাকে মানা করেছি ফোন দিতে। সে আর ফোন দেয়না। হয়তো পাগলীটা অভিমান করেছে। আমি চাইনি, আমার কারনে তার সংসারে ঝামেলা হোক। অথচ, আমার কিছু বন্ধু থাবা পেতে আছে তাকে লুটে নেবার জন্য। তারা ফোন করে। নির্জনে আসতে বলে। সরল বিশ্বাসে কখগ আসবে। হারিয়ে ফেলবে নিজেকে। বন্ধুত্বকে পাপ মনে করবে।
মেয়ে, আমি জানি আমি কেমন। আমরা কেমন। নিজেকে তুমি সামলে রেখো। আর পচ্চিমা বিশ্বের নারীদের মত স্বাধীনতার নামে নিজেকে ভোগপন্যে রুপান্তরিত করবে, তবে এসো। আমি , আমরা থাবা পেতে আছি। তোমাকে রক্তাক্ত করার আশায়।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৪