রুদ্র মাতম সহসা চুমি
উন্মেষ তব কালিক-জ্যোতি
প্ররোহ প্রয়াসে পর্যদুস্ত, শিকল বিকল যুক্তি বুদ্ধি।
আচার অন্তর দিবস গুনি গুপ্তআত্মার পিরিত খুঁজি
অমৃত বিদিত শূন্য-ভিতর জিন্দা শুদ্ধ মানস গড়ি।
সর্ব স্বরূপ সাধনা বৃত্ত প্লাবন বয়ে অ-ব-তার ভাঙি
যুগ চৈতন্য যোগীর তোড়ে প্রেমবাদের পীড়ন-ভাতি
সখি,
তোমার লাগি তোমার লাগি।
গোলাপী সাহারা আচম্বিতে পিঙ্গল-কেশ সঙ্গ বাঁধি
সুর-অসুর সৃজিয়াছে মনে, পাপ-পুণ্য বিরোধ নাহি ?
এতদপেক্ষা কুৎসিত আপন, কুমারী-বিভায় নিত্য নড়ি
সখি তোমার লাগি, তোমার লাগি গো রোদনধ্বনি উচ্চারি।
দানপ্রাপ্ত রাজ-রাজ্য, দৃশ্যগোচর কল-প্রকৃতি
জীর্ণ ছিন্ন প্রজার বসত, বেহুশ কয়েদ ভিতরেতে
পেরেশান হয় দালাল ফকির। প্রণয় প্রলয় রিক্ত―
ব্যর্থ; সমর সমাজ প্রাণীকুলের। গোষ্ঠীতন্ত্র ভাষ্য―
মতে শাসক শাসিতে শিকারবাদী প্রবলভাবে অবশ্যম্ভাবী।
রক্তবীজ বরণ করি, পিঞ্জর-ভীত বিমুঢ়তা-
স্ববিরোধী, আত্মবিনাশী ? সত্য সমেত মুক্তিকামী
প্রেমিক শর্তে ইহলৌকিক
সখি,
দশের লাগি দেশের লাগি ??
মন্ত্র বিচার ভব্য-রীতি গুচ্ছবদ্ধ বাণিজ্য কিনি
‘শেকড়ভেন্ন সভ্যতা ঐ লাল দালানে ঠাট্টা মারে
আমি শালা বলতে গেলে, অভিজাতদের রব ওঠে’
সহস্রলোচন বর্ণভেদে বাজারজাত তাঁরা প্রতিবাদী
সখি, তোমার লাগি তোমার লাগি
উৎসর্গ হয় বিশ্বব্যাপী।।
বিত্রস্ত মেষ সপিণ্ড ব্যাপন, শরমভাণে লুণ্ঠিত জন-
সখেদ টিপ্পনীর আদেশ পালন। টুকটুকে সাজ সুরভি
ছড়ায়ে শ্বাসে শ্বাসে লয় যুদ্ধ শ্রবণ। ভারার্পিত যৌবন
পোঁচে ময়দা-সুজির উত্তুঙ্গ পেষণ !
সখি,
কাহার লাগি মগ্ন এমন !! আমি কী তবে
জলের ভেতর চেরাগ-জ্বলা পরশ মাখি ?
১০ চৈত্র ১৪২১
অন্ধবিন্দু | সামহোয়্যার ইন...ব্লগ
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৫