আম্রমুকুলের মউ মউ পরে, বিশাখা নক্ষত্র জানান দিল―কাল-ঝড় আসলো ব’লে/ উন্মনা নদী পর্দা তুলে গুনগুন স্রোতে উত্তাপ গ’লে/এই মাটি হাওয়া মাঠ আলো/ পহেলা দিনে কাঁপন জাগালো―‘জমিদার গেছে বাপু; ধার-দেনা তো শোধ হয়নি অখনও !’
ধনিক বনিক হুল্লোড়ে যারা/ অন্য ভাষায় বলছে কথা/ বয়স যুবা শহরের চোখে, সূর্যোদয়ের অন্ধকারে/ জারি-সারি-পালা-যাত্রা কোথায়?/আনাচে-কানাচে গর্ত গুহায়!/ বাউল-মুর্শিদ-ভাটিয়ালি কবি গান/ সোনামাটির সোনার কৃষাণ/ মজুর, কামার, কুমার, তাঁতি, জেলে আর সার্থক জনম আমার/ মাগো, ধরার প্রবাহে শেকড় খুঁজে/ প্রাণের দুয়ারে ধুকছে কেনোও/ হাজার বছরের চিরায়ত আবহ!
সবার মুখে এ’কি শুনি-
মুখোশ পড়ে মঙ্গলধ্বনি। চাহিদা-জোগান হিসাব কষি-
আমি বাঙালি পোস্টার খুলে, থলেতে ভরেছে
লাল-সবুজের পতাকাখানি !
রাতে খেলে সকালে কি খাবি! সে চিন্তা ঘুমতে রেখে/ পান্তা ঠিকই জেগে থাকে-গো, প্রবোধ মেখে অনায়াসে/ ফ্লেভার বিহীন নিত্য-পান্থ পান্তার সাথে/ ইলিশ জুটেনি পাতের কোলে// সাদা শাড়ির লাল পাড়ে, আমার কৃষাণী স্বপ্ন দেখে/ ক্ষেতের ফসল উঠলে ঘরে/ স্বপ্ন ওঠে না সত্য হয়ে/ বোশেখ আসুক উৎসব ল’য়ে/ কৃষাণীর তৃষ্ণা ধু’য়ে/ ছুঁয়ে যাক আশা যতো শুকিয়েছে রৌদে পুড়ে।
একদিন করে প্রতিদিন দেখি/ বাঙলা বাঙালি অতীত হয়েছে/ ভিন রঙের কালি মাখি// বাঙলা যাদের জীবনসঙ্গী; তাঁরা কী আর সদ্য প্রেমে বর্ষাভেজা গন্ধ শুকে ?/ বোশেখ আসুক তীব্র হ’য়ে/ পাগলা হাওয়ায় মিছিল করে/ নাগরদোলায় চরুক সবাই/ দেখুক ক্যামন ঘূর্ণি লাগে/বোশেখ বলুক জাতের কথা/ যে জাতেরা লড়াই জানে/ এক একতায় মরতে পারে/ মাতা প্রকৃতির আঁচল ধ’রে।
(ঈষত্ সংক্ষেপিত)
০১বৈশাখ ১৪২২
অন্ধবিন্দু | সামহোয়্যার ইন...ব্লগ
চিত্রকর্ম: এস এম সুলতান
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৪