গোটা ছবিটায় রইবে সীমান্ত
তারও দূরে চৈত্র এসে দাঁড়ালে
মেঘেদের বাহু অজান্তেই জড়ালে
পাশে রেখো শস্যখেত-গেরস্থালি,
প্রিয় মানুষের অশ্রু-মুছে অবিকল,
বাক্যহীনা গাভীটির ঢ্যাবঢ্যাবে চোখ,
ছোট ছোট ঘাম, চুরমার ক’রে দরদাম,
ধানি মরিচের টালে ঘর বেঁধো উইপোকার!
অঢেল সবুজে নিয়ো চোরাপাথরের মাতলামি
বটবৃক্ষ প্রাণের উতলা ঘ্রাণে উড়ুক শীতল পাটি।
বালু-বিবরে; আলুথালু করো লোকালয়ের সকাল!
ক্যানভাস ঠাঁসা
অনেক হিসেব-নিকেশ, ভুল করেও
আমায় এঁকো না-কো, কোনও রঙে।
দেখুক সবাই, যা আঁকে নি তুলি আনাচে
কানাচে। যেন সব চেনা লাগে, তবু
এ-ছবিতে কেউ না দেখে—
যা আঁকড়ে ধরেছি ফোঁটায় ফোঁটায়;
যার চিত্রিত ভাষা কল্পজগতে মেলল পাখা—
ক’টি প্রবাল ক্রোধে সোনার কলস পড়ুক খসে,
কেবল দু’হাত ছেড়ে চুপটি করে নড়লো কিছু;
আড়াআড়ি দাগগুলোতে ঘুড়ির মতন, ইতস্তত।
বাসতে ভালো রাখাল-বাঁশি আসল ছুটে, তীক্ষ্ণ-
আলোয়। সেও তরুণ প্রেমে বুনতে থাকে
ব্যাকুলতা, ক্ষণিক প্রহর তোমায় ভেবে।
—না হয় ভালবেসো
আড়ি পেতে হৃদয়ে হৃদয়, যৎসামান্য।
—না হয়
আড়াল থেকে তাড়িয়ে দিও প্রতিধ্বনি অগণিত
—না হয়
বোতাম ঘরে মলিন থাকুক কাকতাড়ুয়ার উপস্থিতি,
পোড়া মাটির অধর চুমে ভেংচি কেটো, চক-খড়ির।
ভালোবেসে প্রতি টানের দিক অবধি—
মাঝ-দুপুরে তৃষ্ণা বুকে পথিকটারে ছায়াও দিও,
ইচ্ছে হলে তৃণের ডগায় কিরণ মেখো ইকটুখানি।।
(ঈষত্ সংক্ষেপিত)
০৭ আশ্বিন ১৪২২
অন্ধবিন্দু | সামহোয়্যার ইন...ব্লগ
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৪