“আইল্যন্ডে দাঁড়িয়ে ভিজছি আমি একা , তুমুল বৃষ্টি | ছাতা হাতে তুমি আমার দিকে দৌড়ে আসছ |”
একটা স্বপ্নের শুরু এভাবেই | স্বপ্নটা আমার নয়, তোমার | স্বপ্নটা ভোর বেলায় দেখেছিলে কিনা আমি জানিনা, তবে এই স্বপ্নই কেড়ে নিয়েছিল আমার আয়েশী ভোরের ঘুমটা | ভোরে সূর্য্য মামা জাগার আগেই মুঠোফোনের বিকট চিৎকার আমাকে জাগিয়ে তুলল | অপর প্রান্তে স্বপ্নের ধারা বর্নণায় তুমি আর এ-প্রান্তে নীরব শ্রোতা হয়ে শোনা ছাড়া আমার সেদিন আর কিছুই বলার ছিল না |
ছোট বেলা থেকেই মা বাবার মুখে শুনে আসছি, কোন কাজের শুরুতে বৃষ্টি হলে সে কাজটা শুভ হয় | খবরটা মুঠোফোনের সংক্ষিপ্ত বার্তায় পৌঁছে গিয়েছিল তোমার কাছেও | তাইতো আমার মত তুমিও কোন কাজের শুরুতে বৃষ্টি খুঁজতে | যেদিন প্রথম মুঠোফোনে তোমার সাথে কথা হল বৃষ্টির টুপুর টাপুর শব্দ আমাকে শুনিয়েছিলে | আমি বৃষ্টির সুমধুর মূর্ছণায় এতই বিমোহিত ছিলাম যে, যে সম্পর্কটা হতে যাচ্ছিল তা নিয়ে বিন্দুমাত্র শঙ্কায় ছিলাম না | এমনকি আমার জীবনে যখন ভয়াল ঝড়ের ঘনঘটা, যেদিন আমাকে ছেড়ে তুমি চলে যাবে আর একজনের ঘরণী হয়ে, সেদিনও আমি অপেক্ষায় ছিলাম একমুঠো বৃষ্টির |
সেদিনও আকাশে মেঘ জমেছিল | একে একে সব দরজা আমার জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল | আমি ক্ষীন আশা নিয়ে তোমার বাসার অদূরে আইল্যান্ডে অপেক্ষায় ছিলাম কোন অলৌকিকতার | দৃষ্টি তোমার বহুতল আট্টালিকার বারান্দায়, যেখানে রোজ ঘন্টার পর ঘন্টা চোখে চোখে কথা হত | প্রকৃতি আমাকে বিমূখ করেনি | ছেপে এসেছিল বৃষ্টি আমায় ভেজাতে | তোমার স্বপ্নের কথাটা মনে পড়ে গেল | আমি আশ্চার্যিত হয়ে ভাবছি কিভাবে হুবুহু মিলে যাচ্ছে, শুধু দূর থেকে ছাতা হাতে কারও দেখা পাওয়া গেল না |
আমি বৃষ্টির ক্যানভাসে রচনা করলামঃ
সেদিনও মেঘ ছিল আকাশে
বৃষ্টি ঝরেছিল আমার দুচোখে
প্রয়োজন ছিল যা বলার সবচেয়ে বেশী
অভিধানে পাইনি সে ভাষাটা খুঁজে
যেতে যেতে ভেবেছিলাম, একবার চাইবে
পিঁছু আমার পানে তাকিয়ে
কি যে হলো হায় ? আজো রয়ে গেল কৌতুহল
মিশেছিল কি কাজল ?
আবেগের জলে |

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




