কিছুদিন পূর্বেই অতিবাহিত হয়ে গেল আমাদের রক্তস্নাত স্বাধীনতার সেই দিন। দিনটি এলেই কেন জানি মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে যায়। অনেকেই হয়ত ভাবা শুরু করেছেন যে আমি স্বাধীনতার বিরোধী কিনা। তা কখনোই হবার নয় বরঞ্চ আমি এই মাতৃভূমিকে অনেকের চাইতে একটু ভিন্নভাবে ভালবাসি। সকল আত্নত্যাগী বীর শহীদদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাবনত হয়েও মাঝে মাঝে মনে এক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, ৩০ লক্ষ প্রাণের আত্নাহুতি কি অসভ্য বর্বর স্বার্থপর বিশ্বাসঘাতক এই জাতির জন্য যথেষ্ট ছিল? মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি কি যথেষ্ট ছিল? যদিও এরূপ মনে করাও ঘোরতর অন্যায় ও পাপ, তবুও কেন জানি মনে হয় : যদি এই নিমকহারাম বেহায়া জাতির প্রতিটি ঘরে ঘরে একজন করে অন্তত শহীদ এবং একজন করে অন্তত বীরাংগনা থাকতেন, স্বাধীনতার মূল্যবোধ হয়তো বা আরেকটু উচ্চমাপের হত আর ৩০ লক্ষ প্রাণের আত্নাহুতি এবং অসংখ্য মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি হয়তোবা এত সস্তায় বেচা হয়ে যেতনা। রাজাকার আর মীরজাফর এর দলও প্রকাশ্য জনসম্মুখে বুক ফুলিয়ে আর তোতা পাখির মতন বুলি আওরে ঘুরে বেরানোর সাহস করতোনা। একাত্তরের খুনিদেরও যেমন রক্ষা করার মতন কেউ থাকতনা আবার জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর সেনা অফিসারদের বর্বরোচিত ন্ৃশংস হত্যাকাণ্ডের নীল নকশাকেও ধামাচাপা দেয়ার মতন বেঈমান আর বিশ্বাসঘাতকতা করার মতন কোন জন-প্রতিনিধি কিংবা সেনা অফিসার (চাকুরিরত কিংবা অবসরপ্রাপ্ত) জন্ম নিতনা। জাতি সর্বদা নূন্যতম হলেও মূল্য দিতে শিখতো কিংবা চেষ্টা করতো। ৩০ লক্ষ প্রাণের আত্নাহুতি এবং অসংখ্য মা-বোনদের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা এত স্বস্তায় বিক্রি করার মতন দু্ঃসাহস এই বাংলা মায়ের বুকে দাঁড়িয়ে অন্তত কোন পি্তৃপরিচয়হীন নরপশুর হতনা। অসংখ্য দেশপ্রেমীক সন্তান তার জবাব নিশ্চয়ই দিত।
কোন কোন অবস্থার প্রেক্ষিতে আমার এই ক্ষোভ তা সচেতন পাঠকসমাজ নিশ্চয়ই ভালভাবেই বুঝতে পারছেন।
থাক আজ আর এই পর্যন্তই, ক্ষোভ আরও জমা আছে, থাক সেগুলো অন্য কোন সময়ে প্রকাশ করা যাবে।
আর আমার বিশ্বাস, এই ক্ষোভ শুধু আমার একারই না, আরও অনেকেরই পুঞ্জিভূত আছে...........।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




