লেঃ জেনারেল (অবঃ) হাসান মশਗ਼দের পদত্যাগে দেশ একজন সਅ ও যোগઘ ব্যাক্তিকে হারিয়েছে। আশ্চর্যের কথা হলো এই একই ব্যাক্তিকে ইতিপূর্বে দেশ হারিয়েছে একজন সਅ ও যোগઘ উপদেষ্টার পদ থেকে।
এরকমের ঘটনা এই দেশে এই প্রথম নয়। ইতিপূর্বেও এই দেশ হারিয়েছে একাধিক সਅ ও যোগઘ ব্যাক্তিকে যথাক্রমে রাষ্ট্রপতির এবং স্বরাষ্ট্রমণ্ত্রী এর পদ থেকে ।(যথাক্রমে সর্বজন শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ এবং রাষ্ট্রপতি বি এ চৌধুরি)। তাছাড়াও আমরা হারিয়েছি একজন সਅ ও যোগઘ স্বরাষ্ট্রমণ্ত্রীকে, সর্বজন শ্রদ্ধেয় মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম।
এই দেশে সਅ ও যোগઘ ব্যাক্তির লাঞ্চিত হবার ঘটনা হতবাক কিংবা আশ্চর্য হবার মতন কোন ঘটনা নয় বরং এটি একটি তথাকথিত গণতাণ্ত্রিক শাসনব্যবস্থার একটি গণতাণ্ত্রিক প্রক্রিয়া ।
দুঃখের কথা এই যে পূর্বে বহু সਅ ও যোগઘ ব্যাক্তিদের হেনস্তা হইবার দুরবস্থা দেখিয়াও তাহারা সতর্কতার সহিত তা উপেক্ষা করিবার মতন দূরদর্শিতা অবলম্বন করিতে পারেননাই।
আসলে আমরা এই আপামর জনসাধারণ এবং সেই সਅ ও যোগઘ ব্যাক্তিরা উভয়েই বাঙালী হইয়া জন্মাইয়াও এই দেশের জন্য যথার্থ এই ধ্রুব সত্যটি এখনও অনুধাবন করিতে পারিনাই :
"সুজন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য আর দুর্জন নিজ দলীয় হইলেও গ্রহণযোগ্য"। - সত্যি কি বিচিত্র সেলুকাস এই দেশ
অথচ পাশাপাশি আমাদের সোনার ছাত্রেরা খুনোখুনি এবং ধর্ষণের মতন জঘণ্যতম পাপাচারে লিপ্ত হইয়াও কোন প্রকার মামলা কিংবা গ্রেফতার এর সম্মুখীন না হইয়া কেবল বিশ্বনেত্রীর মনঃক্ষুন্ন হইবার কারণ হইবার মতন একবিংশ শতাব্দীর ভয়াবহতম অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হইলেন।
আবারও সেই পূর্বেকার কথা মনে পড়িয়া গেল।
যদি এই নিমকহারাম বেহায়া জাতির প্রতিটি ঘরে ঘরে একজন করে অন্তত শহীদ এবং একজন করে অন্তত বীরাংগনা থাকতেন, স্বাধীনতার মূল্যবোধ হয়তো বা আরেকটু উচ্চমাপের হত আর ৩০ লক্ষ প্রাণের আত্নাহুতি এবং অসংখ্য মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি হয়তোবা এত সস্তায় বেচা হয়ে যেতনা। খুনী আর ধর্ষক এর দলও প্রকাশ্য জনসম্মুখে বুক ফুলিয়ে চলতে আর অনশন নামের প্রহসন করার সাহস করতোনা।
সবশেষে আবারও বলি, এই জাতির মূলমণ্ত্র হওয়া উচিত " সুজন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য আর দুর্জন নিজ দলীয় হইলেও গ্রহণযোগ্য "
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




