এই গানের কথাগুলো তরুণ প্রজন্মের গলাতেই বেশি শ্রুতিমধুর শোনায়। তাও আবার তরুণ প্রজন্মের বিশ্বজয়ের পরেই এই গান অধিক শ্রুতিমধুর শোনা যায়। কিন্তু একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের খোদ স্বরাষ্ট্রমণ্ত্রীর কণ্ঠে যখন এই গানের কলি চলে আসে তাও আবার তরুণ প্রজন্মের বিশ্বজয়ের পরে নয়, বরং দেশের নামী-দামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দ্বারা একের পর এক নির্বিচারে হত্যাযগ্গের পর, তখন মনে হয় - হায় হায়, এত শিক্ষাদীক্ষা না নিয়ে মনে হয় সন্ত্রাসীদের ভীড়ে মিশে যেতে পারতাম, তাহলে প্রেয়সীর কাছ থেকে বাহবা পেতাম কিনা জানিনা কিন্তু খোদ স্বরাষ্ট্রমণ্ত্রীর কাছ থেকে সাবাসী পেতাম নিশ্চিত।
শুনতে খুব খারাপ শোনালেও যখন দেখি বিডিআর এর পিতৃপরিচয়হীন পিষাচগুলো যখন নারকীয় হত্যাযগ্গ চালাচ্ছে তখন স্বরাষ্ট্রমণ্ত্রীর কাছ থেকে তাদের পরিচয়হীন পিতৃত্ব ফিরে পাওয়ার জীবনমুখী চলচিত্রের এক দৃশ্য।
দ্বিতীয় দৃশ্যও খুব বেশি একটা অনাকর্ষণীয় নয়। সিরিয়াল
কিলাররা যখন স্বরাষ্ট্র মণ্ত্রনালয় এর একমাত্র কর্মক্ষম বাহিনী র্যাব এর হাতে ধৃত হয়ে মারা পড়ছে তখন আবারও সেই স্বরাষ্ট্রমণ্ত্রীর মুখ থেকেই যখন সেই নরপশু সিরিয়াল কিলারদেরকে মারার জন্য র্যাবকে জবাবদিহী করতে হয় এবং শুধু তাই নয়, স্বরাষ্ট্র মণ্ত্রনালয় এর সেই সাজানো নোংরা তদন্ত কমিটির সম্মুখীন হতে হয় তখন আবারও স্বরাষ্ট্রমণ্ত্রীর মুখ থেকে পিতৃপরিচয়হীন পিষাচসম নরপশু সন্ত্রাসীদের তরে সেই একই গানের কলি ভেসে আসে : "তোরা সব জয়ধ্বনি কর"।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




