১৯৯২-১৯৯৫
জাহানারা ইমাম,হাসান ইমাম ও শাহরিয়ার কবিরের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি, তুমুল আন্দোলন । ক্ষমতাসীন ডান পন্থি বিএনপির পাত্তা না দেওয়া ।
১৯৯৬
আন্দোলন মঞ্চ হতে হঠাৎ শাহরিয়ার কবির গংদের নিষ্ক্রিয়তা এবং বিএনপির একদলীয় নির্বাচনে নির্বাচিত সরকার হটাতে ত্বত্তাবধায়ক সরকার নিয়ে আওয়ামী লীগ-জামাতের এক্যবদ্ধ আন্দোলন তুমুল আন্দোলন ।
১৯৯৬
দাবি মানা হল, খালেদা জিয়া তার অবস্থান হতে সরে এসে নিজে সংসদে ত্বত্তাবধায়ক সরকার বিল আনলেন এবং নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় লাভ । মহিলা সাংসদ নিয়ে জামাত-আওয়ামী লীগ সংসদীয় জোট । এরপর শাহরিয়ার গং নিশ্চুপ , কোন বিচারের দাবি নাই , হবেই বা কেন ওনাদের কাছে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনাই মূখ্য বিষয় ।
২০০১
বিএনপি-জামাত জোট, নির্বাচন এবং বিজয় ।
২০০৮
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি নিয়ে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা । বিচার শুরু ।
আবার গণতন্ত্রকে হত্যা করার জন্য ত্বত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল ।
২০১২
ত্বত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপির নেতৃত্ব ১৮ দলের আন্দোলন । আন্দোলনে নিজামি,সাইদির মুক্তির দাবি নিয়ে জমাতের প্লেকার্ড,ব্যানার বহন ।
আওয়ামী লীগের ঘোষণা,বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে চায়, এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ কৌশলে ত্বত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যায় । মিডিয়া ও এই ইস্যুকে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে ঢেকে ফেলতে চায় ।
উপসংহারঃ
আওয়ামী লীগের বাসনাঃ
যুদ্ধাপরাধের বিচার ঝুলিয়ে বা একটা দুইটা রায় দিয়ে বাকি গুলো জমিয়ে রেখে কোন রকম একটি দলীয় নির্বাচন দিয়ে আবার ক্ষমতায় আসা আর গৃহপালিত বিরোধী দল হিসাবে জাপা ও বাম দল গুলোকে প্রতিষ্ঠা করা ।
বিএনপির ইচ্ছাঃ
যেকোন মূল্যে ক্ষমতায় আসতে হবে এর জন্য নিরপেক্ষ ত্বত্তাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই, তাই রাজপথে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের মোকাবেলায় সঙ্গী হিসাবে জমাত-শিবিরের বিকল্প নেই ।
মন্তব্যঃ
আওয়ামী লীগ যদি সত্যি যুদ্ধাপরাধের বিচার চায় তাহলে নিরপেক্ষ ত্বত্তাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা করুক এরপর যদি বিএনপি জামাতকে রক্ষায় আন্দোলন করে তাহলে সবাই বলবে
" বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে চায়"
বিঃ দ্রঃ সে সকল মানুষ যুদ্ধাপরাধের বিচার বিচার বলে গলাফাটিয়ে ফেলে কিন্তু ত্বত্তাবধায়ক সরকার নিয়ে টু শব্দই করে না এদের জন্ম প্রক্রিয়া একটা অসম্ভব মিরাকল অর্থাৎ মিশ্র স্পামে এদের জন্ম ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




