কিছুদিন আগে একটা বিয়েতে গিয়ে মাংসের হাড্ডি চাবাতে গিয়ে চাপার দাতে প্রেসার পড়ল আর তারপর থেকে সাথী হল নিত্যদিনের ব্যাথা। পেইন কিলার খেয়ে ঘুমাতে হত! শেষ মেষ ডাক্তার দেখাতে হল। ডাক্তার সব দেখে শুনে বল্ল মাড়ির ত বারটা বাজিয়েছেন! দাতটা ফেলে দিতে হবে। এই সেরেছে! সাথে সাথে মিঃ বিন এর একটা সিরিজ এর কথা মনে পড়ে গেল। একটা ট্রে তে রাখা সব ভয়ংকর রকমের যন্ত্রপাতির দেখে চিন্তা আর ও বেড়ে গেল। যাই হোক দাত ব্যাথায় ভুগা আমার পরিচিত আর ও অনেকেই ছিল। দিলাম তাদের মাঝে একজন কে ফোন। সে আমাকে বল্ল ভাল ডেন্টিষ্ট এর কাছে যেতে। আর একটা জিনিস সাবধান করল যেন সব যন্ত্রপাতি ভাল ভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে কিনা। কেন? জিজ্ঞাসা করাতে সে আমাকে গুগলে হেপাটাইটিস ও ডেন্টাল লিখে সার্চ দিতে বল্ল। যথারীতি তাই করলাম। চোখের সামনে ভেসে উঠল ডেন্টাল সেক্টরের ভয়ংকর সব রুপ। সারমর্ম হল এই যে এটাই একমাত্র সেক্টর যেখান হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, এইচ আই ভি এইসব ধরনের প্রতিনিয়ত যাতায়ত। এমন কি এইটা ও লেখা পেলাম যে একজন ডেন্টিষ্ট যদি প্রতিদিন ২০ জন রোগী দেখে তার মধ্যে দুইজন হেপাটাইটিস বি এবং একজন হেপাটাইটিস সি র রোগী। কিন্তু বেশির ভাগ ডেন্টিষ্ট এর এই নিয়ে কোনো মাথাব্যাথা নেই। তারা তাদের টুলস গুলি অরক্ষিত ভাবেই রাখেন। এই নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে উন্নত দেশগুলিতে বিভিন্ন উদ্যগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু হতদরিদ্র এই দেশে কে এই উদ্যগ নিবে? সবাই ত নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। গতকাল আমার দাত ফেলে এসেছি। কিন্তু সারা রাত ঘুমাতে পারিনি কে জানে হয়ত এই দাতের মাধ্যমেই আমার শরীরে প্রবেশ করল কোনো এক মরন ব্যাধি। সবার কাছে অনুরোধ রইল আপনার পরিচিত কোনো ডেন্টিষ্ট থাকলে তাদের কে সাবধান করুন নিজে সচেতন হউন আশে পাশের দাতের রুগী থাকলে তাদেরকে ব্যাপারটা জানান। কারন প্রিভেনশন ইজ ব্যাটার দেন কিউর।
সবাইকে ধন্যবাদ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




