গত কয়েকদিনে পেপার খুললেই দেখা যায় মা ও শিশুর আত্মহত্যা। কেমন করে মা গুলো এমন হয়ে যায়। কেমন করে হৃদয় পাথর করে নিজের সাথে হনন করে নিজের শিশুকে। এর জন্য দায়ী কে? আমরা কি আমাদের দায় এড়াতে পারব? বিবেকবান হলে নিশ্চয় পারব না। একটা সংসার চালাতে গেলে আমাদেরকে গলদঘর্ম হতে হয়ে সংসারের প্রয়োজনগুলো মেটাতে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাজ করতে হয় সময় দিতে পারি না স্ত্রী এবং সন্তানগুলোকে। দিনের পর দিন এভাবে নিঃসংগ ভাবে চলতে চলতেই একসময় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে অধিকাংশ গৃহবধু। তাদের মনে হয় বেচে থাকার জন্যই শুধু বেচে থাকা। এভাবে বেচে থাকার কোনো মানে হয় না। আর কর্মব্যস্ত পুরুষগুলো অভুক্ত আনন্দ কে পাওয়ার জন্য বেছে নেয় বিকল্প কোন অস্থায়ী পথ। লিপ্ত হয় অবৈধ কোন সম্পর্কে। তাছাড়া পুরুষের বহুগামীতা ও বেড়ে গেছে বহুগুন। আয় আছে সুতরাং একটু ব্যায় করলেই ত পাওয়া যাচ্ছে নতুন বয়সে কম কোনো সংগীনিকে। ইদানিং মেয়েরা ও বুঝে গেছে এই ধরনের বিবাহিত কর্মব্যস্ত পুরুষকে কাবু করার কৌশল। কিন্তু একবার ও চিন্তা করেনা এই বিবাহিত পুরুষের উপর নির্ভরশীল তার স্ত্রী যার একমাত্র ভরসা তার স্বামী। সে ও তাদেরই মত নারী। আর ও একটু গভীরে যাই। এই সমাজে ভাল আয় করে এইরকম পুরুষের সংখ্যা খুবই কম। আর পুরুষ আয় শুরু করলেই ত বিয়ে করার জন্য অস্থির হয়ে যায়। কাজেই মোষ্ট ইলিজিবল ব্যচেলরের সংখ্যা খুবই কম। কাজেই বিবাহিত পুরুষের চাহিদা বেড়ে যায়। বেড়ে যায় সংসারে অশান্তি। শুরু হয়ে যায় স্ত্রীদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবনতা।
বিবাহিত পুরুষদের করনীয়ঃ শত কাজের মাঝে ও একটু সময় দেয়ার চেষ্টা করুন। অফিসে থাকা অবস্থায় ফোন করুন বাড়ীতে। খাওয়া দাওয়ার খোজ নিন। খোজ নিন বাচ্চার। অফিস থেকে বাড়িতে গিয়ে রান্না ঘরে থাকা স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরুন বুকে। সম্মান দেয়ার চেষ্টা করুন স্ত্রীদেরকে।মাঝে মাঝে অফিস থেকে ফেরার পথে কিছু উপহার নিন তাদের জন্য। তাদেরকে নারী না ভেবে মানুষ ভাবুন। দেখবেন আপনার একটু ছোয়া তার মনের সকল ভ্রান্তি দূর করে দিবে। দূর করে দেবে একা থাকা অবস্থায় জেগে উঠা সমস্ত মানসিক অস্থিরতার।
বিবাহিত নারীদের করনীয়ঃ যদি গৃহবধু হয়ে থাকেন তাহলে সৃষ্টিশীল কিছু করার চেষ্টা করুন না। যেমন ধরেন কবিতা লেখা, ছোট গল্প লেখা অথবা নকশীকাথা। অবসর সময়ে প্রিয় গানগুলো শুনুন। দেখবেন মন হালকা হয়ে যাবে। প্রতিবেশী নারীদের কানকথা শুনা থেকে বিরত থাকুন। কোনতা সত্য কোনটা মিথ্যা এটা নিজের বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করুন। স্বামীর প্রিয় খাবার গুলো বানান। স্বামী ফেরার সময়ে নিজেকে একটু নতুন সাজে সাজান। যেমন ধরেন প্রতিদিন শাড়ী পরেন। একদিন টি শার্ট আর জিন্স পরলেন। মনে রাখবেন বেশীরভাগ পুরুষরাই বৈচিত্র ভালবাসে। তাই কালার দিন আপনাদের কর্মে। অব্শ্য এগুলো আপনারা জন্মসুত্রেই প্রাপ্ত হন। এখন শুধু একটু স্কিলগুলো ঝলসিয়ে নেয়া।
সমাজের করনীয়ঃ অভাব থেকেই স্বভাব নষ্ট। কাজেই আমাদের সমাজটাকে অভাব ও দারিদ্র্যমুক্ত করতে হবে। মানুষকে তার স্বাভাবিক কর্ম জীবন নিশ্চিত করতে হবে।সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গুলোর চর্চা করতে হবে, চর্চা করতে হবে ধর্মীয় অনুশাসনের। লোভ লালসার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে। আর যেন কোন ফুটফুটে শিশুকে জীবন দিতে না হয়! মার কোল হোক শিশুদের নিরাপদ আশ্রয়।
প্রতিটি শিশু বেড়ে উঠুক তার মায়ের আদরে। এই প্রার্থনা করি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




