ব্লগ এ আমার পদচারনা খুব বেশিদিনের নয়, এক বছরের কিছু বেশি সময় হবে। এ সময়ে আমি ব্লগিং করছি অন্য একটি ব্লগে। প্রথম প্রথম খুব মজা পেতাম সবার লেখা পড়তে, কমেন্ট করতে। প্রতিদিনই নতুন নতুন পোস্ট দিতাম।আমার মত ঐ ব্লগটিও ছিল নবীন যে জন্য নিবন্ধনকারী ব্লগারের সংখ্যাও ছিল কম, সবার সাথে জানাশোনাও ছিল বেশি। মাঝখানে অনেকদিনের বিরতি দিয়ে আবার যখন ফিরে এলাম তখন দেখলাম ব্লগের আগের সেই পরিবেশ আর নেই। সেই সময়কার অনেককেই আর পেলাম না এই সময়ে এসে। শুধু কি তাই একের পর এক পোস্ট আসে, কোনগুলো কেউ পড়েও দেখে না, কোনগুলোতে কেবল ব্লগারের নাম দেখে ঢুকেই লেখা না পড়েই মন্তব্য করে বসে হয় ‘প্রথম’, ‘ভাল লাগল’, ‘অভিনন্দন’ কিংবা কোন ইমো।আবার এখানেই দেখলাম ব্লগারদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেত্রীর রেষারেশি। একদিন একটা সিরিয়াস বিষয়ে পোস্ট দিয়ে দেখলাম লেখাটি অনেকবারই পঠিত হয়েছে, মন্তব্যও এসেছে অনেক কিন্তু লেখার বিষয়বস্তু নিয়ে কেউই মন্তব্য করেনি।তখন থেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেললাম লেখার।তারপরও ব্লগে নিয়মিত আসি কারন এখান থেকেই শেখার আছে অনেককিছু। কিন্তু দলীয় কোন্দল, বাজে লেখা, অকারন কাদা ছোড়াছুড়ি আর ভাল লাগে না।
একদিন ভাবলাম সামহোয়ারইন ব্লগে একটা নিক খুলি; খুললামও। খোলার পর দেখলাম আমি মডারেশনে আছি আমার পোস্ট প্রথম পাতায় প্রকাশিত হবেনা। সেইফ হওয়ার জন্য ভাল ভাল লেখা পোস্ট করতে হবে, যে লেখা কেউ দেখবে না।এটা হয়তো করা হয়েছে পোস্ট ফ্লাডিং রোধ করার জন্য। কিন্তু দেখলাম সবাই সেইফ হওয়ার পরপরই দু’এক লাইনের পোস্ট দিচ্ছে—‘এইমাত্র সেইফ হলাম’, ‘ইয়াহু...’ এই টাইপের।কয়েকদিন শৃংখলিত রাখার এই ফসল? এই পোস্ট ফ্লাডিং রোধ? পোস্টে তো মাইনাস দেয়ার অপশন আছে, এই মাইনাস দিয়ে কি ফ্লাডিং রোধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়? যদি নাই হয় তাহলে এই কয়েকদিন হাতপা বেঁধে রাখার কি আসলেই কোন মানে আছে? যাই হোক ৭দিন পরেও যখন দেখলাম আমি সেইফ হইনি তখন আবার আগ্রহ হারিয়ে ফেলি এই ব্লগে আসার। অনেকদিন পর ইমেইল পেলাম আমার লেখা এখন প্রথম পাতায় প্রকাশিত হবে। উচ্ছ্বসিত হয়নি, আসিওনি। আমার আগের সেই ব্লগেই পড়ে রইলাম, সেটা আবার সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেল। তাই এখানেই আসা, কিন্তু এই একটা বিষয় সেইফ হওয়া এবং এর কুফল দেখে অনেকদিন নিরবে আছি কোন পোস্ট দেইনি।এইকথাগুলো বলার ছিল বললাম। কে জানে এটাই হয়তো শেষ কথা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




