
কিছু অতিগুরুত্বপূর্ণ রেসিপি দিলাম। এগুলোর চাইতে গুরুত্বপূর্ণ খাবার আর কিছুই হতে পারে না।
ভাত
উপকরণ: চাল, পানি, চুলা
প্রক্রিয়া:
১. চাল ভাল করে ধুয়ে নিন।
২. পাতিলে ধোয়া চাল নিন এবং তিনগুন বেশি পানি যোগ করুন।
৩. চুলাতে বসান।
৪. ভাত উথলে পড়ার আগ পর্যন্ত বেশি আচে রাখুন।
৫. উথলে পড়ার উপক্রম হতে চুলার আচ কমিয়ে দিন।
৬. খুন্তি দিয়ে ভাত তুলে টিপে টিপে সিদ্ধ হবার মাত্রা খেয়াল করুন।
৭. নিজের প্রয়োজন মত সিদ্ধ হলে চুলা হতে ভাত নামিয়ে ফেলুন এবং মাড় গালুন।
পরিবেশন: মাড় গ্লাসে লবন দিয়ে পরিবেশন করুন। গরম গরম ধোয়া উড়া ভাত গামলায় করে অথবা পাতিলে করেই টেবিলে পরিবেশন করুন।
ডাল
উপকরন: মসুরের ডাল, পানি, হলুদ গুড়া, লবন, রসুন, তেল পেয়াজ কুচি।
প্রক্রিয়া:
১. মসুর ডাল ধুয়ে পাতিলে নিন।
২. পরিমান মত পানি যোগ করুন।
৩. পানিতে লবন ও অতি অল্প পরিমানে হলুদ গুড়া যোগ করে চুলায় চড়ান।
৪. ডাল সিদ্ধ হয়ে গেলে ডাল ঘুটনি দিয়ে ভাল মত ঘুটুন।
৫. অন্য একটি পাতিলে অল্প সয়াবিন তেল নিন এবং ভাল মত গরম করুন।
৬. গরম তেলে রসুন ও পেয়াজ কাটা যোগ করে নাড়তে থাকুন।
৭. রসুন কাল হওয়া শুরু করলেই অন্য পাতিলের ডাল ঢেলে দিন।
৮. লবন ঠিক আছে কিনা দেখুন, যদি কম হয় তবে আরো যোগ করে কিছুক্ষন পাতিল চুলায় রেখে দিন।
পরিবেশন: বাটিতে করে বা আস্ত পাতিল টেবিলে সরাসরি পরিবেশন করুন।
ডিম ভাজি
উপকরন: একটা ডিম, সয়াবিন তেল, লবন, মরিচ (১ টা), পিয়াজ (ছোট পেয়াজ অর্ধেকটা)
পক্রিয়া:
১. একটি বাটিতে পেয়াজ ও মরিচ কুচি নিয়ে লবন দিয়ে মাখান।
২. ডিম ভেঙ্গে ঐ বাটিতে নিন এবং ফেটে ফেলুন।
৩. চুলোয় কড়াইতে অল্প সয়াবিন তেল গরম করুন।
৪. তেল হতে ধোয়া উড়তে শুরু করলে, ডিম যোগ করুন।
৫. কিছুক্ষন রাকুন এবং এরপর উলটে দিন।
৬. উভয় দিক হয়ে গেলে চুলো বন্ধ করুন।
পরিবেশন: পিরিচে করে অথবা সরাসরি খাবার প্লেটেই পরিবেশন করুন।
বিদ্র: দেশের অবস্থা খারাপ। রং ঢং এর খাবার খাওয়া বাদ দিন। ডাল ভাত খেয়ে আল্লাহর কাছে হাত তুলে শুকরিয়া জানান পরের বেলাতেও যেন এইসব কপালে জোটে।