somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আশীফ এন্তাজ রবির স্টিকি পোস্ট এবং আমার কিছু ভিন্ন চিন্তা

১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লগের প্রথম পাতায় এখন দুইটি স্টিকি পোস্ট শোভা পাচ্ছে যার মাঝে আশীফ এন্তাজ রবির পোস্টটিই বেশি নজর কাঁড়ে। পোস্টটি প্রথমে ভাল করে পড়া হয়ে উঠেনি, তাই আবারো পড়লাম। পড়া হল সংশ্লিষ্ট কিছু মন্তব্যও। বিদ্যুৎবিহীন অসুস্থ এই শহরে ঠান্ডা মাথায় সুন্দর একটি চিঠি লিখবার জন্য আশিফ এন্তাজ রবি অবশ্যই অভিনন্দনের দাবিদার। আর কিছু না হলেও অন্তত ব্লগকেন্দ্রেকি একটি আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক অসহ্য পরিস্থিতিতে জনগনকে যেমন শান্ত মনে হচ্ছে তাতে বরং অবাকই হয়েছি। জনগন শান্ত থাকা ভাল তবে নিরীহ হয়ে গেলে সরকারগুলো যাচ্ছেতাই করবার সাহস পায়। যাই হোক, পোস্টে তার এবং কমেন্টে বিভিন্নজনের দেওয়া কিছু প্রস্তাবকে কেন্দ্র করেই আমার এই পোস্ট।

পোস্টে জনাব রবি কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন সাম্প্রতিক বিদ্যুৎ সম্পর্কিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে। এগুলো প্রধানত মার্কেট বন্ধ করা, অনুষ্টানাদি বন্ধ করা, স্কুল কলেজ বন্ধ করা, অর্থাৎ “বন্ধ” কেন্দ্রীক। তবে হ্যা, তিনি হাসপাতাল বন্ধের উপদেশ দেননি। আমি মনে করি “বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ কর” এটা কোন সমাধান হতে পারে না। সরকার কত কিছুই না করল। প্রধানমন্ত্রী এমনিতেই অনেক কিছু বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে বসে আছেন। মার্কেট আটটার পর বন্ধ করা হল, এখন বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক সিডিউল করল মার্কেট বন্ধ করার, অফিস আদালতে এসি ব্যবহার করতে মানা করছে, এক ঘন্টা-দুই ঘন্টা বিরতির লোডশেডিং লোডশেডিং খেলা করছে আরো কত কি! এর ফলাফল কি? বিদ্যুৎ পরিস্থিতির কোন উন্নতির লেশমাত্র কি আমরা দেখতে পাচ্ছি? উত্তর একটাই, না।

ঘটনাটাকে আমরা ভিন্ন উদাহরণে বিবেচনা করতে পারি। ধরি, একজন ব্যক্তি যা আয় করেন সেটা দিয়ে সংসার চালাতে পারেন না। এই পরিস্থিতিতে তিনি কি কি করতে পারেন? যতই তিনি পয়সা বাঁচাবার উপায় খোঁজা হোক না কেন, পরিবার চালানো তার জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর হতে থাকবে। আমরা কতটুকুই বা সাশ্রয় করতে পারি। বড়জোর রিক্সা ফেলে বাস ধরতে পারি,নিজের জামা কাপড়ের খরচ কমাতে পারি, খাওয়াদাওয়া থেকে কিছু বাঁচাবার চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু এতে কতক্ষণ? আমরা চাইলেও বাসা ভাড়া কমাতে পারি না। চালের খরচ, শিশুদের লেখা পড়ার খরচ, বাবা মায়ের ঔষুধের খরচ এগুলো কি কমানো যায়? যে সব ক্ষেত্রে সাশ্রয় সম্ভব বরং সেই সব নিয়ে চিন্তা করতে করতে অস্থিরতা বাড়ে। এক্ষেত্রে সমাধান হল, বিকল্প আয়ের উৎস খুজে বের করা। কেউ শেয়ারে পয়সা খাটায়্ কেউ বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবসা করে, কেউ অন্যত্র টাকা খাটায়। এদেশ দূর্ণীতিগ্রস্থ হতে পারে কিন্তু এদেশের অধিকাংশ চাকুরিজীবি এভাবেই তাদের সংসারের অতিরিক্ত খরচের ব্যবস্থা করেন।সবাই তো আর চোর না।

ঠিক একই ভাবে দেশেও বিকল্প বিদ্যুতের উৎসের সন্ধান করতে হবে। যে সূর্য তার প্রখরতায় আমাদের নিংড়ে জীবন অতিষ্ট করে তুলছে, সেই শক্তিকে ব্যবহারের কোন তাগিদ আমাদের নেই। অনেকদিন ধরে বৃষ্টি না হলেও বাতাস কিন্তু ঠিকই আছে। কোন উইন্ড মিল স্থাপনের উদ্যোগ কোথাও দেখি না! এইসব শক্তি ব্যবহার করে আমরা হয়ত হাজার হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করতে পারব না। কিন্তু জাতীয় গ্রীডের ঘাটতি নিশ্চয়ই পুরণ করতে পারব। ঢাকা শহরের একটি বাড়ির ছাঁদে একটি করে সোলার এনার্জি সেল (ছাদের আকারের উপর নির্ভর করে), ছাঁদে কয়েকটি উইন্ড মিল স্থাপন করতে কি কোটি কোটি টাকা লাগে? বিদ্যুৎ চলে যাবার পরে আমাদের এলাকার অনেক বাড়িতেই লাইট্ ফ্যান চলতে দেখা যায় আইপিএসের বদৌলতে। আইপিএসএর জন্য অনেকেরই বিশ ত্রিশ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এক লোক শুনলাম প্রায় কোটি টাকা দিয়ে ফ্লাট কিনেছে। সেখানে জেনারেটর খরচ নাকি মাসে আট নয় হাজার টাকা গুনতে হয়। সেই হিসেবে দশতালা দুই ইউনিটের একটি এপার্টমেন্টে দেড় লাখটাকা মাসিক খরচ জেনারেটরের তেল বাবদ। এই খরচের কিছু অংশ যদি তারা তাদের বিল্ডিংএর ছাদে সোলার এনার্জি সেল, উইন্ড মিল স্থাপন করতে ব্যয় করে তবে নিজেদের খরচ যেমন বাচাবে তেমনি জাতীয় গ্রিডের উপর চাপও কমাবে। এমন এপার্টমেন্ট শহরগুলোতে ভুরি ভুরি আছে। আমরা উলটো আইপিএস সরকারের লোডশেডিং এর মূল উদ্দেশ্য কেউ বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছি। কারন বিদ্যুৎ বন্টনের উদ্দেশ্যেই লোডশেডিং করা হয়। আমরা যদি বিদ্যুৎ আইপিএসএ সঞ্চয় করে রাখি তাহলে লোডুশেডিংএর লাভ তো কিছু হচ্ছেই না বরং উলটো আইপিএস নিজে কিছু অতিরিক্ত শক্তি নষ্ট করছে। মেশিন নিজের অপারেশনে নিশ্চয়ই কিছু শক্তি ব্যয় করে। শহরগুলোর সম্মিলিত আইপিএসের এই খরচ হিসেব করলে তা নিশ্চয়ই কম হবে না।

বড় বড় শপিং মলের প্রতি কেন জানি না আজকাল সবার একটা ইর্ষা দেখা যায়। কিন্তু যানজটের এই শহরে প্রচন্ড গরমে শপিংমলই কিন্তু অধিকাংশ লোকের বিনোদনের স্থান হয়ে দাড়াচ্ছে। শপিং মলে, মার্কেটে কি লোকে শুধু আজাইরা পয়সা উড়াতেই যায়? মার্কেট, শপিং মল কি শুধু বড়লোকের পয়সা উড়াবার জায়গা? বসুন্ধরা সিটির একটি দোকানের মালিক হয়ত কোটিপতি হতে পারে কিন্তু তার দোকানে যেই দশটা লোক কাজ তারা কি লক্ষপতি? যদি ধরেই নেই তিন চারদিন মার্কেট বন্ধ রেখে বিদ্যুৎ জমা করে হাসপাতালের রোগিদের দেওয়া হবে। প্রশ্ন হল সেই দোকান কর্মচারিরা তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য চিকিৎসার খরচ জোগাবে কিভাবে? মালিক কি দোকান বন্ধ রেখে এমনি এমনি তাদের টাকা দেবে? যদি না দেয় তবে কি তাকে আমরা দোষ দিতে পারি? সে ব্যবসায়ী, চাকরিজীবির মত তার মাস শেষে বেতন আসে না। তাকে নিজের আয়ের ব্যবস্থা নিজেই করতে হয় সাথে নিজের কর্মচারিদেরও। এই বাস্তবতা অস্বীকার করবার কোন উপায় আছে কি? আজকালের অফিসগুলো সেন্ট্রাল এসি থাকে। এই এসি বন্ধ থাকলে আর বাতাস আসা যাওয়ার উপায় থাকে না। বিল্ডিংএর বাইরের দিকের রুমগুলোতে হয়ত বা জানালা খোলার ব্যবস্থা সম্ভব। নইলে মাঝের বদ্ধ ঘরগুলোতে শীতগ্রীষ্ম কোন কালেই এসি ছাড়া টেকা সম্ভব না। এটা কি ভুল?

স্কুল কলেজ বন্ধ করাও একটা প্রস্তাব। প্রশ্ন হল ঢাকা শহরের স্কুল গুলো কি অনেক অনেক বিদ্যুৎ খরচ করে। একটা স্কুলে বড় জোড় প্রতি ক্লাস রুমে কয়েকটি লাইট, ফ্যান চলে। এর চাইতে কম পরিসরে একটি দোকানে আরো বেশি লাইট ফ্যান চলে। তাছাড়া দিনের বেলায় স্কুলে লাইটের ব্যবহার খুব একটা হয় না। শহরের সামগ্রিক খরচের সাপেক্ষে স্কুল কলেজের বিদ্যুৎ খরচ খুব একটা বেশি হয়ত হবে না। তিনশ পয়শট্টি দিনের বছরে একটা স্কুল সাপ্তাহিক ছুটি, দুই ঈদ, পুঁজা, জন্মদিন-মৃত্যুদিন, নানা দিবস, এসএসসি পরীক্ষার সিট পড়া, রাজনৈতিক-প্রাকৃতিক কারনে একটা বিশাল সময় বন্ধ থাকে। তার উপর যদি উড়ে এসে জুড়ে বসা বিদ্যুৎ সমস্যা জন্য ছুটি যোগ হয় তাহলে তো লেখা পড়া লাটে উঠবে।

সহজ কথা হচ্ছে আমাদের কয়েক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা আছে। সরকার যদি এই মূহুর্তেও সিদ্ধান্ত নেয় তাহলেও বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন হতে হতে অবশিষ্ট পৌনে চার বছর অনায়াসে কেটে যাবে বিদ্যুৎ পেতে পেতে। সাময়িক যে কোন উদ্যোগই আমরা ব্যর্থ হতে দেখছি। আমার মনে হয় সরকারের একটাই উপায় তা হল শহর গ্রামের মানুষকে ব্যাপক ভাবে সৌর বিদ্যুৎ সেল স্থাপনে আগ্রহী করে তোলা, উইন্ড মিল মানুষের কাছে জনপ্রিয় করা। এই ক্ষেত্রে আমাদের সব চাইতে বড় সমস্যাটিই প্রধান শক্তি হয়ে দাড়াতে পারে। সেটা হল আমাদের জনসংখ্যা। এই দেশে নাকি তেত্রিশ হাজার কোটিপতি আছে। তাদেরকে দিয়ে যদি সৌর শক্তি, বায়ু শক্তি, বায়োগ্যাস প্রভৃতি ব্যবহার করে জন প্রতি ০.০৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করানো যায় তবে সরকার দ্রুতই একহাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত পেতে পারে। এরজন্য সরকারকে মানুষকে আগ্রহী করে তুলতে হবে।

সরকার তার ঘুনে ধরা মান্ধাতার আমলের আমলাদেরকে দিয়ে এই ব্যাপারে কিছুই করতে পারবে না। সরকারের শিক্ষা নেওয়া দরকার কর্পোরেট কম্পানিগুলো থেকে। আমরা এদেরকে যতই গালি দেই না কেন, তারা সিদ্ধান্ত নিতে এবং তা সাথে সাথে বাস্তবায়নের ক্ষমতা রাখে। যা আমাদের সরকার খাতাকলমে সব ক্ষমতা থাকা সত্তেও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে পারে না। গ্রামীন ফোন যখন তার লোগো পরিবর্তন করে তখন আমি রীতিমত তাদের কর্মদক্ষতায় অভিভূত হয়েছিলাম। ঢাকার বাইরে সেই সময় বিভিন্ন জায়গায়তে যাওয়া হয়েছিল। অবাক হয়েছিলাম, তাদের পুরানো লোগো কোথাও আর দেখি নি। একই ব্যাপারই দেখা যাচ্ছে একটেল নতুন নাম রবি নেবার পর থেকে। আন্তর্জাতিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদের এইটুকু শিখেছি বিশাল রকম কিছু করার জন্য দরকার সঠিক ভাবে পরিচালনা, শক্ত নেতৃত্ব। সঠিক ভাবে অর্গানাইজ করা হলে এবং নেতৃত্ব শক্ত থাকলে নিতান্ত গাধাও নিজের অজান্তে অনেক বড় কিছুর অংশ হয়ে যেতে পারে। সরকারের উচিত সোলার সেল, উইন্ড মিল প্রভৃতির ব্যবসা খোলা করে দেওয়া,দেশী বিনিয়োগকারিদের বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া, বড় বড় বিদেশী কম্পানিকে দেশে নিয়ে আসা। নিজের ব্যবসার স্বার্থে তারাই জনগনকে উজ্জিবিত করবে। সরকারের শুধু দেশের স্বার্থ নিশ্চিত করলেই হল।

আমাদের মনে রাখতে হবে, সমস্যাটা প্রযুক্তিগত। বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে,এটা মাটি ফুড়ে বের হবে না। বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিভিন্ন উৎস আছে সেগুলো ব্যবহার করতে হবে। এই জন্য দরকার বিজ্ঞানী এবং ব্যবসায়ীদের যৌথ কার্যক্রম। সরকার শুধু এই দুই গোষ্টির মাঝে সেতুবন্ধন রচনা করতে পারে। দেশে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে যেসব বিজ্ঞানীরা কাজ করেন তাদের দিয়ে কিছু হবে না। কারন জীবনে চ্যালেঞ্জ নেবার সাহস নেই বলেই তারা সরকারি চাকরি একবার পেলে ত্রিশ বছরে আর যাবে না এই দর্শন নিয়ে চাকরি করে যাচ্ছেন। তারা কিছু এ যাবৎ করতেও পারেননি আর পারার সম্ভবণাও নেই। বিদেশে অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানে আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা কর্মরত আছেন, তাদের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দিলে নিজ দেশে কিছুটা কম বেতনে চাকরি করতে অনেকেরই বাধবে না। বরং, অধিক আগ্রহে তারা দেশের জন্য কাজ করবেন।

প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধানে আবেগের কোন স্থান নাই। আমরা বড়ই আবেগ প্রবন জাতি। রাস্তা ঘাট কম থাকা, অব্যবস্থাপনা, অধিক জনসংখ্যার জন্য সৃষ্টি হওয়া যানজটককে আমরা শুধুই বড়লোকের প্রাইভেটকারকে দায়ী করি। আবার নিজেরা বাসে বসে রিক্সাই সকল যানজটের মূল কারন উল্লেখ করে রিক্সাওয়ালাদের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করি। কিন্তু আমরা ভাবি না যে যার সামর্থ আছে সে কেন গাড়ি কিনতে পারলে কিনবে না? রিক্সা ওয়ালাকে যতই গালি দেই তাকে কি আমরা রাস্তায় রিক্সা চালাবার রীতিনীতি শিখিয়েছি? তাকে কি অন্য কোন কিছু করবার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি আমরা?

বিদ্যুৎ, পানি্ গ্যাস, যানজট প্রভৃতি আমাদের সমস্যা। এগুলোকে সমাধান করতে হবে অংকের মত। হিসেব করতে হবে কি আছে হাতে কি নেই। প্রধানমন্ত্রী হাজার ধরনের মানুষকে নিয়ে উঠা বসা করেন। কেউ উনি সরে গেলেই খুশি (বিরোধী দল), কেউ বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি পেলে খুশি, কারো আর কোন দাবীই নাই সে শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়, আরো কত কি! উনি যাদের খুশি করতে পারবেন না তারা তার গদি ধরে টান দেবে। বেচারীরা দেশের সবক্ষমতা কুক্ষিগত করতে পারেন কিন্তু তাদের সীমাবদ্ধতা মনে হয় সবচাইতে বেশি। ভাল কাজও চাইলে করতে পারেন না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটাই অনুরোধ করা যেতে পারে যে, দয়া করে মানুষের সমস্যা সমাধানে আগ্রহী হন। আপনার ভাবতে হবে না ষোল কোটি মানুষের দেশে আপনাকে সহায়তা করার মত অনেক মানুষই পাবেন।

পোস্টের শেষে আমি এখন। এটাই শেষ অনুচ্ছেদ। শেষ করব যেটা বলে, তা প্রথমে মাথায় রাখলে এ পোস্ট আর লিখতে পারতাম না। আজকাল এইরকম কারনে তাই আর লেখা হয়ে উঠে না। কারনটা হল, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরা এত কিছু বুঝলে বা বুঝতে আগ্রহী হলেতো দেশে এইসব সমস্যা থাকত না। শান্তিতে ব্লগে আড্ডা দিতাম। এইদেশে যা কিছু নতুন নতুন হয়েছে জনগন নিজেরা নিজেরাই করেছে। মানুষ জীবিকার তাগিদে দেশ হতে বিদেশে গিয়েছে, এখন সরকার এর থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে আর জনশক্তি রপ্তানির বড় বড় কথা বলে। কিছু লোক গার্মেন্টস ব্যবসা করে লাভবান হয়েছে অন্যদের আকৃষ্ট করেছে তারপর সরকার এই খাতের প্রতি আগ্রহী হয়েছে। তেমনি আমাদেরও নিজেদেরই সোলার সেল, উইন্ড মিল প্রভৃতির ব্যবহার শুরু করতে হবে। একসময় সরকারের লোকজন নিজ স্বার্থেই এটাকে সহায়তা করবে।




৩৫টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×