somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঢাকা শহর আহারে ঢাকা শহর

২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকাল বেলা বাগেরহাট থেকে রওনা হলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে। অবশ্য আরিচা হয়ে নয়, এলাম মাওয়া হয়ে। মাত্র পাঁচ ঘন্টায় সায়েদাবাদে পৌছে ও গেলাম। এবার আমাদের গন্তব্য মোহাম্মাদপুরে ব্লগার দূর্ভাষী-অপরাজিতা জুটির বাসা।
বাস থেকে নেমে দরকার একটা সিএনজি বা ট্যাক্সি। কিন্তু এই সামান্য কাজটুকুর জন্যই হতে হলো গলদঘর্ম। সিএনজি আছে যথেষ্ঠ, কিন্তু তারা রাস্তায় এসেছে যেন বসে থাকতে। যে যেখানে যেতে চাক তাদের এক কথা যাবে না। আরে বাবা কোথাও যখন যাবিনা তখন অটোরিক্সা নিয়ে রাস্তায় এলি কেন :) । যাই হোক প্রায় ৪৫ মিনিট যুদ্ধ করে তারপর একটা ট্যাক্সিওয়ালা রাজী হলো আমাদের নিয়ে যেতে। কিন্তু ভাড়া শুনে মাথায় বাজ পড়লে ও কিছু করার নেই, যেতে যখন চেয়েছে তখন আর ছাড়লে চলবে না।
আমরা রওনা হলাম হলুদ ট্যাক্সি ক্যাবে, কিন্তু এই গরমে হলুদ ট্যাক্সি ক্যাবের এসি নষ্ট আর সিটগুলিতে বসে বমি আসার উপক্রম। অনেক কষ্টে নাকমুখ চেপে ধরে বসে থাকলাম। কিন্তু সায়েদাবাদ থেকে মোহাম্মাদপুর মনে হলো উত্তর মেরু আর দক্ষিন মেরু। ট্যাক্সি এক মিনিট চলে তো ১০ মিনিট বসে থাকে, কারন আর কিছুই নয় জ্যাম। অবশেষে যখন মোহাম্মাদপুর পৌছলাম তখন পার হয়ে গেছে দুটি ঘন্টা। :(


বাসায় যখন ঢুকলাম ভাইয়া তখন অফিসে, ভাবী স্বাগত জানালো এবং আমাদের পৌছানোর খবর ভাইয়াকে জানাতে ভূল করল না। বাসায় বসে সেদিন বিশ্রাম নিলাম। পরদিন ভাবী আর আমি আমার পিচ্চিটাকে সাথে নিয়ে বের হলাম শপিং এ। রাস্তায় বের হয়ে রিক্সার জন্য অপেক্ষা। খালি পেয়ে ভাবী জিজ্ঞাসা করল নিউমার্কেট যাবে কি না, রাজী হলো কিন্তু ভাড়া জিজ্ঞাসা করতেই আমার আর একবার টাসকি খাওয়ার পালা। মোহাম্মাদপুর থেকে নিউমার্কেটের রিক্সাবাড়া ৬০ টাকা। অবশেষে একজনকে ৫০ টাকায় রাজী করিয়ে রওনা হয়ে নিউমার্কেট পৌছাতে লাগল প্রায় একঘন্টা। কেনাকাটা বিভিন্ন মার্কেটে ঘোরাঘুরি করে যখন বাসায় ফিরলাম তখন জ্যামের অবস্থা আরও খারাপ। সায়েন্স ল্যাব মোড়ে প্রায় দেড় ঘন্টা বসে থাকা, গরমে আমাদেরই অবস্থা করুন আর পিচ্চিটার কথা নাই বা বললাম।

তিন দিন ছিলাম ঢাকা শহরে, কিন্তু এই তিন দিনেই হাপিয়ে উঠলাম, তিন দিনের অভিজ্ঞতার মনে হয়েছে ইট কাঠের এই শহরে জ্যাম আর পরিবহন সেক্টরের খামখেয়ালীপনায় জিম্মি নগরবাসী।
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×