somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিশির সাথে পাশাপাশি কিছুক্ষন অথবা আমার স্বপ্নের সময় টুকুর সমাপ্তি

১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ক্যাম্পাস থেকে মোহাম্মদ পুর আসতে আসতে প্রায় একটা বেজে গেল । যখন রমিজ মামার দোকানে পৌছালাম তখন আযান দিয়ে দিয়েছে ! বাসায় বুয়া আসছে না তিন চার দিন থেকে । তাই রমিজ মামার পাউরুটিই ভরসা ! বড় সাইজের একটা পাউরুটি কিনলাম সাথে এক ডজন কলা । এই দিয়ে কাল পর্যন্ত চালাতে হবে !
টাকা দিতে মানি ব্যাগ বের করে মামাকে টাকা দিয়েছি এমন সময় দেখি নায়িকা রিক্সা থেকে নামছে !!
নায়িকা মানে নিশি ! আমাদের পাশের ফ্ল্যাটে থাকে !
-ভাংতি নাই মামা ??
দেখলাম রিক্সায়ালা হলুদ দাঁতে হাসছে !!
তার মানে নাই ! খুব ইচ্ছা হল ভাড়াটা দিয়ে দেই । কিন্তু সে উপায় নাই ! একবার এই ভাবে ভাড়া দিতে গিয়ে খুব বিপদে পড়েছিলাম । আমি আর বিপদে পরতে চাই না ! দেখলাম নিশি দোকানের দিকেই এগিয়ে আসছে ! আমার দিকে তাকালো ! কয়েক মুহুর্ত !
আমি চাচ্ছিলাম রমিজ মামা আমাকে আরো একটু দেরি করে টাকা দিক ! কিন্তু মামা বুঝলো না । আমাকে বাকী টাকা ফেরৎ দিয়ে দিল ।
এখানে থেকে যদিও যেতে ইচ্ছা করছে না তবুও চলে যেতে হবে । খালি খালি দাড়িয়ে থাকাটা কেমন দেখায় !
আমি বাড়ির দিকে রওনা দিলাম । গেটের কাছে পৌছে দেখি দাওয়ান গেটের সামনে বসে আরাম করে পান চিবাচ্ছে !!
-কি ব্যাপার চাচা কি কর ?
-কিছু না !!
দারোয়ানের সাথে কথা বলার সময়ই মাথা বুদ্ধিটা এল । আমি তাড়াতাড়ি পকেট থেকে ২০ টাকার একটা নোট বের করে দারোয়ান কে দিয়ে বললাম
-জলদি এখান থেকে দুর হও !!
আমার কথা দারোয়ান যেন ঠিক মত বুঝতে পারলো না । আমি বললাম
-১৫ মিনিটের জন্য যদি তুমি এখান থেকে বিদায় হতে পারো তাহলে এই ২০ টাকা পাবা !! যাবা !!
দারোয়ানের মুখে হাসি বিস্তৃত হল ! বলল
-পারুম না মানে ?
তারপর হাত বাড়িয়ে টাকাটা নিল । আমি বললাম
-১৫ মিনিটের ভিতর এদিকে আসবা কিন্তু বলে দিলাম ! মনে থাকবে তো ?
-হ হ !! খুব মনে থাকবো !
এই বলে দারোয়ান পিছন দিক দিয়ে হাটতে হাটতে চলে গেল ।
আমাদের বাড়ির গেট টা অটো লক হয় ! তার মনে আমি যদি গেট টা টেনে লাগিয়ে দেই তাহলে আপনা আপনি আটকে যাবে । ওপাশ থেকে কেউ খুলে যদি না দেয় অথবা চাবি না থাকে তাহলে গেট খোলা যাবে না ! আমি কি করলাম গেট টা টেনে আটকে দিলাম । যদিও আমার কাছে চাবি আছে তবুও এমন একটা ভাব করে অপেক্ষা করতে লাগলাম যে আমি দরজা খোলার অপেক্ষা করছি !
এখন একটা কেবল সমস্যা । সেটা হল এরই মাঝে কেউ যদি বাসা থেকে বের হয় তাহলে আবার গেট টা খুলে যাবে যেটা আমি চাই না !!
আমি নিশি জন্য অপেক্ষা করতে থাকি !
একটু তাকাতেই দেখলাম তাকে ! ঐ তো আসছে !!
আমি সব সময় লক্ষ্য করেছি নিশি কে আসতে দেখলেই আমি আমার বুকের ভিতর কেমন যেন একটা উত্তেজন অনুভব করি ! বুকের ভিতরটা কেমন একটা উতলা ভাল সৃষ্টি হয় !! কেন কে জানে ?
এই মেয়েটাকে আমি পছন্দ করি এটা তো নিশ্চিত !
আরো অনেক মেয়েকেউ তো পছন্দ ! কিন্তু তাদের সামনে গেলেতো আর এমন টা হয় না ! কেবল এই মেয়েটার সামনে কেন হয় ?

নিশি একেবারে কাছে চলে এসেছে । আমি চুপ করে দাড়িয়ে আছি ! নিরিহ বালকের মত ! নিশি এসে দাড়ালো ঠিক আমার পাশে !
আহা !!
-দারোয়ান নাই ??
আমি পুলকিত হলাম । এতো জলদি কথা বলবে আমি ঠিক বুঝতে পারি নাই ! আমি অনুভব করলাম আমার বুকের ভিতরটা আবার লাফাতে শুরু করেছে । এবং বেশ জোরেই লাফাচ্ছে !!
আমি বললাম
-দেখছি না তো !
নিশি কি যেন ভাবলো ! আমি ভেবেছিলাম আরো কিছু বলবে কিন্তু আর কিছু বলল না । আমার ইচ্ছা হল আরো কিছু জিজ্ঞেস করি !
যেমন আজকের দিনটা কেমন গেল ?
মন ভাল কি না ?
ভার্সিটির ক্লাস গুলো সব হয়েছেতো ?
দুপুরে কি খাওয়া হয়েছে ?
তরকারীতে লবন বেশি ছিল কি ?
আজকে একটু গরম পরেছে তাই না ?
কিন্তু আমার এসবের কিছুই জিজ্ঞেস করা হয় না !
নিশি কলিংবেল চাপে ! কিছুক্ষন পরেই নিচে লোক চলে আসে দরজা খোলার জন্য !!
আমার স্বপ্নের সময় টুকুর সমাপ্তি হয় !
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×